কোষ্ঠকাঠিন্য

সচেতনতা বাড়ানো জরুরি

বিশ্বব্যাপী যে রোগগুলোর প্রকোপ বাড়ছে তার মধ্যে একটি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। বাংলাদেশেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

বিশ্বব্যাপী যে রোগগুলোর প্রকোপ বাড়ছে তার মধ্যে একটি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। বাংলাদেশেও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। যার কারণে মানুষের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ ধরনের চিকিৎসায় অর্থও অনেক বেশি ব্যয় হয়। কয়েক বছর আগে রিসার্চগেটের পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। পুরুষের তুলনায় নারীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। আক্রান্তদের ৬০ শতাংশ নারী এবং বাকিরা পুরুষ। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সবার বয়স ৪৪ বছরের মধ্যে ছিল। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সুপারি খাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মদ খাওয়া, ডায়াবেটিস ও হাঁপানি।

গবেষণাটি যে এলাকাগুলোয় পরিচালিত হয়েছিল তার বেশির ভাগই ছিল শিল্পাঞ্চল ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষ। তাদের বেশির ভাগেরই পান-সুপারি ও অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলোকে আরো জটিল করে তোলে। এছাড়া হাঁপানি ও উচ্চ রক্তচাপে এমন কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

এ রোগ পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না অনেক ক্ষেত্রে। তবে কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ রোগের কষ্টের মাত্রা বা ঝুঁকি কিছুটা কমানো যায়। এছাড়া সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের মাধ্যমেও এ রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।

সমসাময়িক জীবনযাত্রার মানের কারণে আমাদের রোগের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। যখন একজন ব্যক্তির মধ্যে তিন মাসেরও বেশি সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, তখন ধরা হয় সে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত। দীর্ঘমেয়াদি এ রোগে মানসিক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়লেও দেশের মানুষ এ সম্পর্কে এখনো যথেষ্ট সচেতন নয়। এ রোগকে এখনো অবমূল্যায়ন করা হয়। গুরুতর পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত কেউ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় না। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী প্রকোপের মাত্রা একেক রকম। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ রোগের প্রকোপ ১ থেকে ৮১ শতাংশের মধ্যে। আবার কানাডায় এ রোগের প্রকোপ ২-২৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে এ রোগের প্রকোপ ১৭ শতাংশ। এশিয়ার মধ্যে জাপানে এ রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ২৮ শতাংশ।

আরও