স্পন্ডিলাইটিস

যেসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে

ডায়েটে নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া বাদাম, তেলবীজ ও মাছ খাওয়া জরুরি।

 ডায়েটে নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া বাদাম, তেলবীজ ও মাছ খাওয়া জরুরি। এগুলো হাড়কে মজবুত করে, জয়েন্টে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যা জয়েন্টের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

 আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

 ভাজা খাবার, অত্যধিক মাংস এবং তৈলাক্ত খাবারের মতো অ্যাসিড তৈরির খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

 মিষ্টি, মিষ্টান্ন ও পরিশোধিত খাদ্য খাওয়া এড়াতে হবে।

 স্পন্ডিলাইটিসের জন্য হাঁটা ভালো। প্রথম দিকে ৫-১০ মিনিট করে হাঁটা শুরু করা উচিত, তা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। ওষুধ খেয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাঁটা শুরু করার চেষ্টা করা উচিত।

 নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করতে হবে। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় একবার ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দিলেও ব্যথা কমানো যায়।

 ঘুমের পদ্ধতিও ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। উপুড় হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমায়। কখনো বালিশ ছাড়া ঘুমানো যাবে না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, তবে বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের ওপর আরো চাপ পড়তে পারে।

 ঘাড় বা পিঠ বাঁকা করে দীর্ঘক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতে হবে। অফিসের ডেস্কে একটানা বসে কাজ করা যাবে না। মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে হবে।

 ল্যাপটপ চোখের সোজাসুজি রেখে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে হবে।

আরও