ডায়েটে কী থাকবে, কী থাকবে না

চর্মরোগ বিশেষ একটি প্রদাহজনক ত্বকের অবস্থা। একজিমার প্রধান উপসর্গ হলো ত্বকে জ্বালাপোড়া, ফোসকা পড়া ও চুলকানি ফুসকুড়ি।

চর্মরোগ বিশেষ একটি প্রদাহজনক ত্বকের অবস্থা। একজিমার প্রধান উপসর্গ হলো ত্বকে জ্বালাপোড়া, ফোসকা পড়া ও চুলকানি ফুসকুড়ি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি চামড়ায় আস্তরণ তৈরি করতে পারে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের একজিমা সবচেয়ে বেশি হয়। এটি প্রাপ্তবয়স্কদের ও বয়স্ক শিশুদের মধ্যেও পাওয়া যায়। রোগের বিকাশের পেছনে পরিবেশ ও বংশগত কারণগুলো দায়ী বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এর সঠিক কারণ এখনো অজানা। প্রথম তিন মাসে যেসব শিশু সম্পূর্ণরূপে বুকের দুধ পান করায় তাদের একজিমা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

খাবারে অ্যালার্জি থেকে মানুষ বেশিরভাগ সময় একজিমায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে এর ভিন্নতাও থাকতে পারে। একজিমা ও অ্যালার্জির সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যক্তিগত খাদ্যের তালিকা পরিবর্তন করা জরুরি। তবে ময়দার তৈরি রুটি, গরুর দুধ, সয়া, ডিম, মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাবার ডায়েট চার্টে রাখা যায়।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিযুক্ত খাবার একজিমার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে নিম্নলিখিত খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: 

চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামন মাছ চর্বিযুক্ত মাছ, যা একজিমার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। মাছের তেলও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এতে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এবং এটিকে প্রদাহরোধী বলেও বিবেচনা করা হয়। তাই চিকিৎসকরা প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ মিলিগ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কোয়েরসেটিনযুক্ত খাবার: কোয়েরসেটিন হলো এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা উদ্ভিদে পাওয়া যায়। এটিতে অ্যান্টিহিস্টামিন এবং একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এটি বোঝায় যে এটি শরীরে প্রদাহ ও হিস্টামিনের মাত্রা কমাতে পারে। কোয়ারসেটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন আপেল, চেরি, ব্লুবেরি, শাক, ব্রোকলি।

প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার: এ ধরনের খাবার শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। যেমন দই, লাচ্ছি, পনির। এগুলো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করে।

যেসব খাবারে চিনি বেশি থাকে, সেগুলোও একজিমার লক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ ত্বকের প্রদাহ বাড়ে। যেসব পণ্যে চিনি বেশি থাকে সেগুলো হলো কেক, কফি, পানীয়, সোডা ও বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড।

আরও