বুলগেরীয় শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা আসো ট্যাভিশিয়ান মারা গেছেন ২০২০ সালের এপ্রিলে। রেখে গেছেন শিল্পকর্মের বিপুল সংগ্রহ। আগামী ফেব্রুয়ারি সেই সংগ্রহশালা থেকেই শিল্পকর্ম বিক্রি করতে যাচ্ছে বিক্রয় প্রতিষ্ঠান সোথবি’জ। শিল্পকর্মের বিক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য কমপক্ষে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিল্পকর্ম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ যাবে ট্যাভিশিয়ান ফাউন্ডেশনে।
নিলামের অপেক্ষায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ‘মার্গারেট অফ অস্ট্রিয়ার প্রতিকৃতি’ যার মূল্যমান ধরা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ লাখ ডলার। রয়েছে ৩-৪ লাখ ডলার মূল্যের ড্যানিয়েল ক্রেস্পির আঁকা ‘ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড’। এছাড়া ১৫২০ সালের দিকে নির্মিত মার্বেলের পেনিলোপ ভাস্কর্যও রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, ভাস্কর্যের মূল্য ২ লাখ ডলার হতে পারে।
বিক্রির তালিকায় রয়েছে ১৯৪৯ সালে তৈরি করা ফ্রাঁসোয়া জিলোর চিত্রকর্মও। এর আগে এটি কখনও বাজারে আসেনি। জিলো ছিলেন পিকাসোর সঙ্গী ও সহশিল্পী। মোর্টন জি নিউম্যান ১৯৫১ সালে প্যারিসের গ্যালারি লুইস লেইরিস থেকে এটি প্রথমে কিনেছিলেন। পরবর্তীতে এটি নিউম্যানের উত্তরাধিকারীর মাধ্যমে বর্তমান মালিকের কাছে পৌঁছায়। সোথবি’জ নভেম্বর মাসে পিকাসোর আঁকা ফ্রাঁসোয়া জিলোর প্রতিকৃতি নিলামে তুলবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ওল্ড মাস্টার পেইন্টিংস বিভাগের সহ-সভাপতি জর্জ ওয়াচটার। তিনি ট্যাভিশিয়ানকে বেশ কয়েকটির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
আসো ট্যাভিশিয়ান ফাউন্ডেশন সম্প্রতি উইলিয়ামস্টাউন, ম্যাসাচুসেটসের ক্লার্ক আর্ট ইনস্টিটিউটে শত শত শিল্পকর্ম উপহার দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় শিল্পকর্মের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন উইং তৈরি করার জন্য অর্থায়ন করতে যাচ্ছে, যা ২০২৭ বা ২০২৮ সালে উদ্বোধনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্যাভিশিয়ান ছিলেন মিউজিয়ামের একজন প্রাক্তন ট্রাস্টি।