ইউরোপজুড়ে শিল্প জালিয়াতির বিস্তৃত নেটওয়ার্ক

মহান চিত্রশিল্পীর সৃষ্টিকর্ম থেকে প্রভাবিত হয়ে চিত্র তৈরির উদাহরণ ঢের। তবে একটা অন্ধকার দিকও আছে। বিখ্যাতদের চিত্রকর্মকে নকল করে সেটাকে চড়া দামে বিক্রি করা। শিল্পামোদীদের ঠকিয়ে এভাবে অর্থ উপার্জনের ইতিহাস যথেষ্ট প্রাচীন। এমনই একটা চক্রের খবর পাওয়া গেছে সম্প্রতি। পিকাসো থেকে ব্যাঙ্কসি; কে নেই তাদের জালিয়াতির তালিকায়! যুগান্তকারী ও বৈশ্বিকভাবে সমাদৃত চিত্রশিল্পীর সৃষ্টিকর্মকেই তারা লক্ষ্যবস্তু বানায়। তারপর তৈরি করে হুবহু নকল। ইউরোপের অন্তত ৩৮ জন ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা ঊনিশ, বিশ ও একুশ শতকের শিল্পীদের কাজ জালিয়াতি করে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে।

২০২৩ সাল থেকে এ বিষয়ক অনুসন্ধান চালানো হচ্ছিল। অনুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত খবর যৌথভাবে সামনে এনেছে দ্য প্যারামিলিটারি কারাবিনিয়েরি আর্ট স্কোয়াড এবং পিসা প্রোসিকিউটর্স অফিস। প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

অনুসন্ধান শুরু হয়েছে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে। প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল চুরি ও জালিয়াতি হওয়া চিত্রকর্ম উদ্ধার। বিষয়টি নিয়ে পিসার প্রধান প্রসিকিউটর তেরেসা অ্যাঞ্জেলা ক্যামেলিও জানান, ব্যাঙ্কসির আর্ট সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল এবং সহযোগিতা করেছেন জালিয়াতদের শনাক্ত করতে।

তদন্তের সূত্র ধরেই ইতালিয়ান পুলিশ ক্লদ মোনেঁ, ভ্যান গঘ, সালভাদর দালি ও মার্ক চ্যাগাল, ফ্রান্সিস বেকন ও পিয়েত মোন্দ্রিয়ানের চিত্রকর্ম জালিয়াতি হওয়ার প্রমাণ পায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ১০০ চিত্রকর্ম, যার বাজার মূল্য প্রায় ২২ কোটি ডলার। তাদের সৃষ্টিকর্ম জব্দ করার পাশাপাশি ইউরোপের ছয়টি ওয়ার্কশপে অভিযান চালানো হয়। সেই তালিকায় ভ্যানিসের একটা কর্মশালাও ছিল।

প্রোসিকিউটরের অফিস থেকে দাবি করা হয়েছে, অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে ২০২৩ সালে। সে সময় ২০০টি জাল চিত্রকর্ম সামনে আসে। সে সূত্র ধরে ইতালির পিসার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিছু কাজ জব্দ করা হয়। তারপর ধীরে সেখানকার এক নিলাম আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠানের মারফত উঠে আসে জালিয়াত চক্র ও তাদের কাজের গতিপথ।

আরও