বর্তমানে
মুদ্রার
অবমূল্যায়ন
বিশ্বব্যাপী
মহামারী
হিসেবে
আবির্ভূত
হয়েছে।
জেপি
মর্গানের
তথ্যানুযায়ী
মার্কিন
ডলারের
নমিনাল
কার্যকর
বিনিময়
হার
গত
বছরের
ডিসেম্বর
থেকে
২৬
সেপ্টেম্বর,
২০২২-এর
মধ্যে
১২
শতাংশ
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
একই
সময়ের
মধ্যে
ইয়েনের
কার্যকর
হার
১২
শতাংশ,
পাউন্ডের
৯
এবং
ইউরো
৩
শতাংশ
হ্রাস
পেয়েছে।
শুধু
মার্কিন
ডলারের
বিপরীতে
হিসাব
করলে
পাউন্ড
স্টার্লিং
২১
শতাংশ,
ইয়েনের
২০
এবং
ইউরো
১৬
শতাংশ
অবমূল্যায়িত
হয়েছে।
এই
মুদ্রার
অবমূল্যায়নের
প্রধান
কারণগুলোর
মধ্যে
রয়েছে
দীর্ঘস্থায়ী
মহামারী,
একটি
বিশাল
আর্থিক
সম্প্রসারণ,
সরবরাহ
শৃঙ্খল
বিঘ্নিত
হওয়া
এবং
সর্বশেষে
ইউক্রেনে
রাশিয়ার
আক্রমণ।
অবমূল্যায়নের
তুলনায়
জীবিকা
নির্বাহের
ব্যয়
বেশি
বেড়ে
যাওয়ায়
অবমূল্যায়নের
কারণে
সাধারণ
মানুষ
অনেক
কষ্টে
আছে।
বিভিন্ন
মুদ্রার
ওপর
নির্ভরতা
এবং
সর্বজনীন
মুদ্রার
অভাব
এ
পরিস্থিতি
আরো
খারাপ
করে
তুলেছে।
বিশেষ
করে
ডলারের
ওপর
অতিনির্ভরতা
আজকের
এ
বিপর্যয়ের
কারণ।
কীভাবে
ডলার
একটি
বিশ্ব
মুদ্রা
হয়?
অতীতে
বেশির
ভাগ
দেশ
সোনার
মান
অনুসরণ
করে
মুদ্রার
বিনিময়
হার
নির্ধারণ
করত,
কিন্তু
সোনার
মান
নিয়ে
মুদ্রার
বিনিময়
আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যের
জন্য
ক্রমেই
অসুবিধাজনক
হয়ে
ওঠে।
এ
কারণেই
১৯৪৪
সালের
ব্রেটন
উডস
চুক্তির
মাধ্যমে
মার্কিন
ডলারকে
একটি
দেশের
মুদ্রার
মান
প্রতিষ্ঠার
মানদণ্ডে
পরিণত
করার
পথ
তৈরি
করেছিল।
এটি
চুক্তিবদ্ধ
দেশগুলোকে
তাদের
মুদ্রার
মান
নির্ধারণে
সোনার
পরিবর্তে
ডলার
ব্যবহার
করতে
সম্মত
হয়।
ডলারের
বিপরীতে
তাই
একটি
সর্বজনীন
মুদ্রা
গ্রহণের
ধারণা
দীর্ঘদিন
আলোচনায়
আছে।
কিন্তু
আজ
অবধি
তা
অধরাই
রয়ে
গিয়েছে।
সর্বজনীন
মুদ্রা
গ্রহণের
কিছু
ইতিবাচক
কারণের
পাশাপাশি
বেশকিছু
নেতিবাচক
কারণও
রয়েছে।
একটি
সর্বজনীন
মুদ্রা
গ্রহণ
করতে
পারলে
বাণিজ্য
আরো
সহজ
হয়ে
উঠবে,
যা
ইইউ
সদস্য
দেশগুলো
ইউরোকে
তাদের
সরকারি
মুদ্রা
হিসেবে
গ্রহণ
করার
সময়
ঘটেছিল।
একক
মুদ্রা
হলে
মূল্যের
বিনিময়
হার
পরিবর্তন
করা
কঠিন
হয়ে
উঠবে
এবং
দেশগুলো
তাদের
রফতানিকে
কৃত্রিমভাবে
সস্তা
করতে
পারবে
না।
স্থিতিশীল
মূল্যের
সঙ্গে
তারা
দীর্ঘমেয়াদি
অর্থনৈতিক
উন্নয়নে
আরো
বেশি
বিনিয়োগ
করতে
পারবে।
মানি
এক্সচেঞ্জ
ফি—একটি
মুদ্রা
অন্য
মুদ্রার
বিনিময়
করার
সময়
অতিরিক্ত
ফি,
যা
মানি
এক্সচেঞ্জ
নামে
পরিচিত।
সাধারণত
ব্যাংকগুলোই
গ্রাহকের
পক্ষ
হয়ে
এ
কাজ
করে
থাকে,
এ
কারণেই
তাদের
পরিষেবার
জন্য
অতিরিক্ত
ফি
প্রয়োজন।
আপনি
যখন
বিদেশে
অর্থ
স্থানান্তর
করতে
চান
তখন
একই
ঘটনা
ঘটে।
একটি
একক
মুদ্রাবাজার
এক্ষেত্রে
নিখুঁত
সমাধান,
যা
এ
সমস্যা
দূর
করতে
পারবে।
এটি
ভ্রমণের
সময়
বা
যেকোনো
ধরনের
বৈদেশিক
লেনদেনের
সময়
অনেক
গ্রহণযোগ্য
হবে।
অর্থের
সদ্ব্যবহার
একক
মুদ্রাবাজার
অর্থকে
আরো
ভালোভাবে
ব্যবহার
করার
উপযুক্ত
সুযোগ
দেয়।
কারেন্সি
এক্সচেঞ্জ
ফি
বাদ
দেয়ার
পরে
আমরা
অতিরিক্ত
ফিগুলোর
জন্য
যে
অতিরিক্ত
অর্থ
দিচ্ছি
তার
প্রয়োজন
হবে
না।
এক্ষেত্রে
প্রথম
বড়
উদাহরণ
হলো
ইউরোপীয়
ইউনিয়নের
সৃষ্টি,
যখন
মূল
ভাবনা
ছিল
ইউরোপীয়
দেশগুলোর
অর্থনৈতিক
নির্ভরতা
বৃদ্ধি
করা।
এরপর
১৯৯৯
সালে
ইউরোপীয়
দেশগুলো
একক
মুদ্রাবাজার
গ্রহণ
করেছে।
এটি
দেশগুলোকে
প্রায়
১৩-২০
বিলিয়ন
ইউরো
বাঁচাতে
সাহায্য
করেছিল,
যা
অর্থনৈতিক
সম্পর্ক
সম্পূর্ণরূপে
সক্রিয়
হওয়ার
পর
থেকে
বিনিময়ের
জন্য
ফি
হিসেবে
দেয়া
হতো।
মুক্ত
বাণিজ্য—মুক্ত
এবং
কার্যকর
বাণিজ্যের
প্রধান
বাধাগুলোর
মধ্যে
একটি
ছিল
বিভিন্ন
বিনিময়
হার,
যা
বাণিজ্যের
অবাধ
প্রবাহকে
বাধা
দিচ্ছিল।
একক
মুদ্রা
সরাসরি
পণ্য
আমদানি
ও
রফতানিতে
ইতিবাচক
প্রভাব
ফেলবে।
কারণ
এতে
অতিরিক্ত
চার্জের
প্রয়োজন
হবে
না।
১৯৯২
সালে
ইউরোপের
অর্থনৈতিক
ও
আর্থিক
ইউনিয়ন
তৈরি
হওয়ার
এ
প্রধান
কারণ।
সাধারণ
মুদ্রা
বাণিজ্যের
দক্ষতা
এবং
সুবিধা
বাড়ায়।
একটি
সর্বজনীন
মুদ্রার
মান
সবার
জন্য
স্থির,
তাই
স্থানীয়
রাজনৈতিক
ও
অর্থনৈতিক
পরিবেশে
ঘটে
যাওয়া
যেকোনো
কিছুর
প্রভাব
থেকে
এটি
রক্ষা
করা
হয়।
যা
হোক,
এ
যুক্তি
সম্পর্কে
কোনো
অনন্য
ধারণা
নেই
এবং
আমরা
বলতে
পারি
না
যে
একক
মুদ্রা
গ্রহণ
করা
শুধু
ভালো
বা
খারাপ
নয়।
একক
মুদ্রা
গ্রহণের
বিপক্ষের
যুক্তি
বিভিন্ন
দেশে
বিভিন্ন
অর্থনৈতিক
অবস্থা।
একক
মুদ্রার
অর্থ
হলো
আগে
কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের
মতো
একটি
কর্তৃপক্ষ
তৈরি
করা,
যার
মুদ্রা
ছাপানোর
এবং
সুদের
হার
নির্ধারণের
অধিকার
থাকবে,
কিন্তু
একেক
দেশের
অর্থনৈতিক
অবস্থা
একেক
রকম।
সে
কারণে
কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের
নীতি
সুষ্ঠু
করা
সবার
জন্য
কঠিন।
বিশ্বব্যাপী
একক
মুদ্রা
চালু
করা
হলে
দেশগুলোর
আর্থিক
স্বায়ত্তশাসন
থাকবে
না,
যা
একক
মুদ্রা
বিকশিত
হওয়ার
ক্ষেত্রে
প্রধান
ত্রুটিগুলোর
অন্যতম।
তাই
নিজ
দেশের
জন্য
বেশি
উপকারী
এমন
ইচ্ছা
ত্যাগ
করতে
হবে।
চীনের
ঘটনা
তার
প্রকৃষ্ট
উদাহরণ।
চীন
আমদানির
চেয়ে
বেশি
পণ্য
রফতানি
করে,
যেখানে
মুদ্রার
অবমূল্যায়ন
হচ্ছে।
এর
প্রধান
কারণ
হলো
যে
কম
ডলারে
বেশি
চীনা
মুদ্রা
কিনতে
পারে
এবং
লোকরা
ব্যয়বহুল
পণ্যের
চেয়ে
সস্তা
পণ্য
কিনতে
চায়।
আর
অর্থের
অবমূল্যায়ন
ঘটে
দেশে
অর্থ
সরবরাহ
বৃদ্ধির
মাধ্যমে।
যখন
বেশি
সরবরাহ
থাকে,
তখন
প্রতিটি
কাগজের
মূল্য
হ্রাস
পায়,
যা
হয়
বেশি
টাকা
ছাপানোর
কারণে
বা
সুদের
হার
হ্রাসের
কারণেও
ঘটে।
একক
মুদ্রা
বিশ্বের
ক্ষেত্রে,
চীনের
একই
নীতি
কার্যকর
করার
কর্তৃত্ব
থাকবে
না।
মুদ্রা
বিনিময়
হারের
পরিবর্তনের
ফলে
কোম্পানিগুলো
সময়ের
সঙ্গে
সুবিধা
লাভ
করে
এবং
দামের
ওঠানামা
থেকে
উপকৃত
হয়,
যা
একক
মুদ্রাবাজার
বাস্তবায়নের
পরে
সম্ভব
হবে
না।
একক
মুদ্রাবাজারের
সুবিধা
এবং
অসুবিধা
উভয়ই
আলোচনা
করার
পর
এটি
স্পষ্ট,
একক
মুদ্রা
বিশ্ব
কার্যকরভাবে
কাজ
করার
জন্য
বিশ্বের
অর্থনৈতিক
অবস্থা
একই
রকম
নয়।
সর্বজনীন
মুদ্রা
প্রতিষ্ঠার
জন্য
বিশ্বের
বিভিন্ন
দেশের
সরকারকে
বোঝানোও
আপাত
কঠিন
মনে
হয়।
যা
হোক,
এর
মানে
এ
নয়
একটি
ইউনিভার্সাল
কারেন্সি
সম্পর্কে
আলোচনা
এবং
একটি
ভালো
সমাধান
তৈরির
জন্য
কাজ
করা
যাবে
না।
এ
আলোচনায়
ডিজিটাল
মুদ্রা
স্থান
নিতে
পারে।
বিশ্বের
জন্য
একক
মুদ্রার
সম্ভাবনা
খুঁজে
বের
করার
জন্য
অর্থনীতিবিদ,
শিক্ষাবিদ
এবং
ফাইন্যান্সিয়াল
অ্যানালিস্টরা
সামনের
দিনগুলোয়
এগিয়ে
আসবেন
বলে
আশা
করা
যায়।
আনোয়ার ফারুক তালুকদার: ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক