বিশ্লেষণ

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের কার্যকারণ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে করণীয়

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য ও জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার ছোট একটি দেশ বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রায় ১২ শতাংশ পাহাড়ি এলাকা। এসব পাহাড়ের অধিকাংশই বৃহত্তম চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলায় অবস্থিত।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্য ও জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ এশিয়ার ছোট একটি দেশ বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে আসছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতির প্রায় ১২ শতাংশ পাহাড়ি এলাকা। এসব পাহাড়ের অধিকাংশই বৃহত্তম চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলায় অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসুমের পাহাড়ধসজনিত হতাহত ও বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি একটি নিয়মিত ঘটনা। পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘ সময় তাপমাত্রার তারতম্য, বৃষ্টিপাত এবং কিছু মানবসৃষ্ট কারণে পাহাড়ের উপরিভাগের শিলাগুলো নরম ও বিচূর্ণ হয়। পরবর্তী সময়ে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি পাহাড়ে অনুপ্রবেশ করে শিলার স্তরগুলোয় পাহাড়ি বালি জাতীয় মাটির ওজন বৃদ্ধি করে, ফলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে ওজনে বৃদ্ধি পাওয়া পাহাড়ি মাটি ভারসাম্য রাখতে না পেরে সমগ্র পাহাড় বিরাট খণ্ড অথবা অংশবিশেষ আকারে ধসে নিচে পড়ার ঘটনাকে পাহাড়ধস বা ভূমিধস বলে।

বাংলাদেশের পাহাড়ধসের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৬৮ সালে কাপ্তাই- চন্দ্রোঘোনা সড়কে প্রথম পাহাড়ধস ঘটে। এ কারণে বাংলাদেশে প্রথম একজনের মৃত্যু হয় ১৯৭০ সালে ঘাগড়া-রাঙ্গামাটি সড়কে। ১৯৯০ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসজনিত হতাহত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৯০-২০০০ সাল পর্যন্ত পাঁচটি পাহাড়ধসের (১৯৯০, ৯৭, ৯৮, ৯৯ ও ২০০০) ঘটনায় ৭৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ধসের ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্যোগ ঘটে ১১ জুন ২০০৭; সে সময় চট্টগ্রামের ছয়টি স্থানে একসঙ্গে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় ১০৫ জন। এরপর থেকেই প্রতি বর্ষা মৌসুমে (২০০৭-২১) চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ধস একটি নিয়মিত দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে পাহাড়ধসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে ২০০৭ (১২৭ জনের মৃত্যু ও ১২৫ জন আহত), ২০১২ (১১০ জনের মৃত্যু ও ৪৬১ জন আহত) এবং ২০১৭ (১৬৪ জনের মৃত্যু ও ১৮০ জন আহত) এ তিন বছরে। বাংলাদেশে পাহাড়ধসের ইতিহাসে ভয়াবহ দুর্যোগ দেখা দেয় ২০১৭ সালের জুনে। সে সময় টানা তিনদিনের (১১-১৩ জুন) অতিবৃষ্টির পানি পাহাড়ি মাটি ধারণ করতে না পেরে ধসে পড়ে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করে ১৬৪ জন; এর মধ্যে শুধু রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় মৃত্যুবরণ করে পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন। পূর্ববর্তী এক গবেষণায় (নিগার সুলতানা, ২০২০), ২০০০-১৯ পর্যন্ত পাহাড়ধসের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে জুন-আগস্ট পর্যন্ত পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রতি বছর গড়ে ছোট-বড় ১১টি পাহাড়ধস হয়। গত কয়েকদিনের (৪-৭ আগস্ট, ২০২৩) টানা বর্ষণে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের টাইগারপাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি সদর, বাঘাইছড়ি এবং বিলাইছড়ি উপজেলার কয়েক জায়গায় পাহাড়ধস হয়েছে।

প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট উভয় কারণে মূলত চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে পাহাড়ধস হয়ে থাকে। বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্ট, সরজমিন মাঠ পর্যবেক্ষণ ও মতামত পর্যালোচনা করে চট্টগ্রামের পাহাড়ধসের জন্য যে কারণগুলো চিহ্নিত করা যায় তা হলো বর্ষা মৌসুমে অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধসের অন্যতম একটি কারণ। পাহাড়ধসের ইতিহাস থেকে দেখা যায়, পাহাড় ধসের সময় (জুন-জুলাই) গড় পরিমাণ থেকে সবসময়ই অধিক বৃষ্টি হয়েছে। যেমন—২০০৭ ও ২০১৭ সালে পাহাড়ধসের সময় ২৪ ঘণ্টায়  বৃষ্টির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪২৫ এবং ৩৪১ মিলিমিটার। পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা যায়, স্বল্পকালীন (দুই-সাতদিন) সময়ে দৈনিক ৪০ মিলিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত পাহাড়ধসের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং জুন-জুলাইয়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবজনিত অতিবৃষ্টি চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের ঝুঁকি তৈরি করে। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোর ভূমিরূপ ও মাটির প্রকৃতি এখানে নিয়মিত পাহাড়ধসের আরেকটি কারণ। এই পাহাড়ি ভূমিতে বালির আধিক্যের পাশাপাশি প্রচুর পলি মাটিও রয়েছে। এই অঞ্চলের পাহাড়ি ভূমিরূপ মূলত স্তরায়িত ও অ-স্তরায়িত উভয় প্রকার পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত। এক গবেষণায় দেখা যায়, ৩৫ ডিগ্রির ওপর ঢালসম্পন্ন পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস বেশি হয়, তাছাড়া স্তরায়িত ও পলিমাটি পাহাড়ের তুলনায় অ-স্তরায়িত ও বালিমাটির পাহাড়ে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা বেশি।

পাহাড়ি অঞ্চলের বনভূমির বৃক্ষগুলো মাটির গভীর পর্যন্ত মূল প্রেরণের মাধ্যমে মাটির দৃঢ়তা বৃদ্ধি ও মাটির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্বত্য এলাকার বনভূমি যেমন পাহাড়গুলোকে সরাসরি বৃষ্টির পানির আঘাত থেকে রক্ষা করে, তেমনি বৃষ্টির পানিকে বৃহৎ আকারে মাটির ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। কিন্তু গত কয়েক দশক নির্বিচারে পার্বত্য অঞ্চলের বন ও গাছপালা ধ্বংসের ফলে বৃষ্টির পানি সহজে পাহাড়ি বেলে-দোআঁশ মাটিতে প্রবেশ করে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০-১০ পর্যন্ত সময়ে পাহাড়ি পাঁচটি জেলায় প্রায় ১ হাজার ১২৮ বর্গকিলোমিটার পাহাড়ি বন ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে, এতে বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পাহাড় কাটার ফলে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসের অন্যতম একটি কারণ। পাহাড় কাটার মাটি দিয়ে বিভিন্ন নিম্নভূমি ভরাট, জমি ভরাট, ইটের ভাটা, সড়ক যোগাযোগ নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি ভূমির ঢাল বৃদ্ধি পায়, মাটির বুনট হ্রাস পায়, গাছপালা মারা যায় এবং বৃষ্টির পানি মাটির গভীরে দ্রুত অনুপ্রবেশ করে। যেসব পাহাড় খাড়াভাবে কাটা হয় সেসব পাহাড়ে ধসের ঝুঁকির মাত্রাও বেশি থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩৭ বছরে চট্টগ্রামের ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি পাহাড়ের আংশিকভাবে কাটার ফলে বিলুপ্তির পথে রয়েছে এ অঞ্চলের অধিকাংশ পাহাড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ছাত্র এবং আমার এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এ ২২ বছরে শুধু খুলশী ও নাসিরাবাদ এলাকায় পাহাড় কমেছে ৫ দশমিক ২৩, এর মধ্যে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ এলাকায় নির্মিত হয়েছে ঘরবাড়ি বাকি ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এলাকায় বিভিন্ন শিল্প কারখানা, শিক্ষাসহ বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্দরনগরীতে ৫৩টি জায়গায় পাহাড় কাটার চিহ্ন পেয়েছে, এর মধ্যে ২৫টি স্থানে পাহাড় কাটা হয় ২০১৯ সালে। পাহাড় কাটার স্থানগুলো এখন পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। পাহাড় কাটার কারণে নিঃশেষ হচ্ছে বনভূমি, বন্যপ্রাণীর আবাস, এছাড়া পাহাড় কাটা মাটির পলি দ্বারা নালা-নর্দমা খাল ভরাট হয়ে বর্ষা মৌসুমে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গত তিনদিনের (৫-৭ আগস্ট, ২০২৩) বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যায় এবং ১০-১২ ঘণ্টার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পাহাড় কাটার মাটি দিয়ে বিভিন্ন নিম্নভূমি ভরাট, জমি ভরাট, ইটের ভাটা, সড়ক যোগাযোগ নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি ভূমির ঢাল বৃদ্ধি পায়, মাটির বুনট হ্রাস পায়, গাছপালা মারা যায় এবং বৃষ্টির পানি মাটির গভীরে দ্রুত অনুপ্রবেশ করে। যেসব পাহাড় খাড়াভাবে কাটা হয় সেসব পাহাড়ে ধসের ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে। চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আরো কিছু কারণ হলো—পাহাড়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যাপর চাপ ও অপরিকল্পিত বসতি, পাহাড়ি এলাকায় ভারী যানবাহনের আধিক্য, অবৈধ স্থাপনা, অনিয়মিত জুম চাষ এবং মানুষের সচেতনতার অভাব ইত্যাদি। ভূতাত্ত্বিক কাঠামো নষ্ট করে পাহাড় কাটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি, অপরিকল্পিতভাবে পাহাড়ের ঢালে বসতি গড়ে ওঠা, মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন ও অতিরিক্ত জনসংখ্যা ইত্যাদির সঙ্গে অতিবৃষ্টি যোগ হয়ে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধস হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, পাহাড়কাটা ও বর্ষাকালের অল্প সময়ে অতিবর্ষণ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের মাত্রাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

২০০৭ সালে পাহাড়ধসজনিত মৃত্যুর ফলে গঠিত তদন্ত কমিটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ৩৬ দফা সুপারিশ করেছিল। এসব সুপারিশের উল্লেখযোগ্য হলো—জরুরি ভিত্তিতে পাহাড়ি এলাকায় বনায়ন, ওয়াল নির্মাণ, পানি নিষ্কাষণ ড্রেন ও মজবুত সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ, পাহাড়ের পানি ও বালির দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা, টেকসই বসতি স্থাপন, পাহাড়ি বালি উত্তোলন বন্ধ, পাহাড়ি এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নিষিদ্ধ করে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা। কিন্তু চট্টগ্রামে পাহাড়ের ঢাল ও পাদদেশে অবৈধ বসতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিদ্যমান থাকায় এখানে পাহাড়ধসজনিত দুর্যোগের ঝুঁকির মাত্রা বেশি। যেখানে পাহাড় আছে সেখানে কম-বেশী পাহাড়ধস হবেই। পাহাড়ধস কখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, তবে যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমানো সম্ভব। এজন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে: ১. যেকোনো ধরনের পাহাড় কাটা এবং বন উজাড় সম্পূর্ণ বন্ধ করে পাহাড়ে সবুজের আচ্ছাদন বৃদ্ধি, ২. ভূমি ব্যবহার নীতিমালার আলোকে ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান তৈরি, ৩. পাহাড়ে অবৈধ বসতি স্থাপন উচ্ছেদ, ৪. ভূতাত্ত্বিক জরিপপূর্বক পাহাড়ধসপ্রবণ এলাকা মানচিত্রে প্রদর্শনের ব্যবস্থা, ৫. আদিবাসীদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জুম চাষ এবং পাহাড়ি মাটির ক্ষয় হয়—এমন কর্মকাণ্ড নিরুৎসাহিত করা, ৬. পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়সম্পর্কিত ডাটাবেস তৈরি করে নিয়মিত আপডেট, ৭. পাহাড়ধস দুর্যোগ বিষয়াবলি জাতীয় দুর্যোগ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে পূর্বাভাস দেয়া, ৮. সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ আইন যথাযথ প্রয়োগ এবং প্রকৃত পাহাড় উপযোগী বনায়ন বৃদ্ধি, ৯. পার্বত্য এলাকায় জনবসতির ক্রমবর্ধমান চাপ হ্রাস এবং ১০. সর্বোপরি টেকসই পাহাড় ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং পাহাড়ি পরিবেশ ও অধিবাসীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

ড. মো. ইকবাল সরোয়ার: অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আরও