অভিমত

লোডশেডিং: আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা

কোনো একসময় আমরা লোডশেডিংয়ে অভ্যস্ত ছিলাম তখন সক্ষমতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হতো, কিন্তু এখন পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী বিদ্যুতের সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট, যদিও এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে জ্বালানি এবং গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতার কারণে।

কোনো একসময় আমরা লোডশেডিংয়ে অভ্যস্ত ছিলাম তখন সক্ষমতাকে সবচেয়ে বড়  চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হতো, কিন্তু এখন পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী বিদ্যুতের সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট, যদিও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে জ্বালানি এবং গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতার কারণে।

বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে এটা একটা বড় প্রশ্ন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণ সক্ষম থাকার পরও কেন আমাদের দিনের পর দিন লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সক্ষমতা অর্জনে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে, আরো হচ্ছে যার ফলে জাতীয় গ্রিডে আরো নতুন সক্ষমতা যোগ হতে যাচ্ছে, তা হলে সাধারণের ভাগ্য বদল কবে হবে।

কিছুদিন দেখা গিয়েছিল, বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে বলা হলো, কোন কোন এলাকায় কখন বিদ্যুৎ থাকবে বা থাকবে না, যা হোক এটা একটা পদ্ধতি হতে পারে, মানুষ আগে থেকে তৈরি থাকতে পারে, কিন্তু বিগত অক্টোবরের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পর এখন আর কোনো নিয়মের মধ্যে নেই আমরা, যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, কতক্ষণ থাকবে নিশ্চয়তা নেই, আছে স্বল্প ভোল্টেজের সমস্যা যাতে সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এরই সঙ্গে আছে আরো নানা সমস্যা, কেউ বাড়িতে নেই, এসে দেখলেন তার ফ্রিজটি চলছে না বা অন্য কোনো যন্ত্রপাতি আর চালু করতে পারছে না। কারণ বিদ্যুতের আসা-যাওয়া এত ঘন ঘন যে সব দিক সামাল দেয়া বেশ কঠিন।

এরই মধ্যে ফেসবুকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অক্টোবরের বিপর্যয়ের জন্য জনগণকে ধৈর্য ধারণের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। যাক সাধারণ মানুষ তার বার্তায় খুশি হয়েছে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ এবং অবস্থা আর কতদিন বিরাজ করবে, তার একটি পরিষ্কার ধারণা সাধারণকে দেয়া দরকার যাতে সে মতে তারা তৈরি থাকতে পারে, একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে হাত দিয়ে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে, তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বা ধরনের পেশায় যারা আছেন তাদের অগ্রিম জানা থাকা বিশেষভাবে দরকার। বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণও সাধারণ মানুষ জানতে চায়, অতীতে অনেক তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তা জনসমক্ষে আর আসেনি।

এরই মধ্য পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে তা থেকে জনসাধারণ কিছুটা ধারণা পাচ্ছে। কিছু পত্রিকায় বলা হয়েছে, সঞ্চালনা এবং ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অভাবে ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার কেউ বলছে, তা একেবারেই নয়, বরং গ্রিড ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতাই এর জন্য দায়ী। সাধারণের এত জানার ইচ্ছা নেই। তারা চায় বিদ্যুৎ বিল সময়মতো পরিশোধের পর বিদ্যুৎ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে। কিন্তু তা তো থাকছেই না। তাহলে এই যে অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা তা সাধারণের কোনো কাজে আসছে না। এটা অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি একটি ব্যাপক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় করা শুরু হয়েছে বেশকিছু দিন থেকেই। অফিস সময় পরিবর্তন হয়েছে এবং বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সমস্যা আগামী কিছুদিনের মধ্যে নিরসন হবে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ যে সমস্যা তা কী করে নিরসন হবে।

প্রতিমন্ত্রী কারণ সম্পর্কে মোটামুটি সবাইকে অবহিত করেছেন, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, চুক্তি সাপেক্ষে আমদানির চেষ্টাও কার্যকর হয়নি। পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে হলে যে পরিমাণ গ্যাস দরকার সে পরিমাণের চেয়ে সরবরাহ অনেক কম। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে তাই নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কভিডের দীর্ঘ ধকলের পর স্কুল-কলেজগুলো চলতে শুরু করলেও লোডশেডিংয়ের কবলে আবারো সময় কমিয়ে আনতে হয়েছে। তবে আশার কথা, আগামী নভেম্বর থেকে সমস্যা থাকবে না বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের বিদ্যুৎ বিতরণ ইউটিলিটি, বিতরণকারী কোম্পানিগুলো গ্রিড কোড মেনে বিদ্যুৎ বণ্টন করে না। এটি একটি ভয়াবহ খবর। এতে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জানা যায়, কিছু কিছু উৎপাদন কারখানা যারা উচ্চতর ভোল্টেজ ব্যবহার করে, যেমন স্টিল মিলসগুলো তারা যদি গ্রিড কমপ্লায়েন্ট না হয় এবং ন্যাশনাল লোড ডেস্পাস সেন্টার (এনএলডিসির) নির্দেশনা না মানে, তা হলে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গ ভারসাম্য নষ্ট হলে গ্রিড ভারসাম্যহীন হতে পারে, আমরা এখনো সঠিক জানি না কী কী কারণে অক্টোবর এত বড় বিপর্যয় ঘটেছিল। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালগুলো। সেখানকার রোগীরা কষ্ট পেয়েছেন বেশি। বিষয়গুলো এখনো পরিষ্কার হয়নি, গ্রিড বিপর্যয়ের ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, যার পরিমাপ হওয়া দরকার। এগুলো জনসমক্ষে আশা দরকার। ভবিষ্যতে যেন ধরনের পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে, সে ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। কোন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কত মেগাওয়াট উৎপাদন হবে, কোন ইউনিট চালু থাকবে, কোনটি বন্ধ থাকবে, তা যাতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হয়। এজন্য ব্যাপক বিনিয়োগ দরকার। এটি সত্যি, গ্রিড ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন/পরিবর্তন এখন সবচেয়ে জরুরি।

জানা যায়, আগামী ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী, রূপপুর ইত্যাদি ইউনিট চালু হবে, দুর্বল গ্রিডের ওপর ভর করে আরো বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হলে সমস্যা বাড়বে ছাড়া কমবে  না। আমরা অধিক উৎপাদন করব কিন্তু এর সুফল সহজলভ্য হবে না। এগুলোয় বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে।

পানি, গ্যাস, যাতায়াত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব বলাই বাহুল্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এর সঙ্গে সম্পর্কিত সে সঙ্গে ডিজেল এবং মোমবাতির দাম যোগ হয়েছে। সরকারও এক্ষেত্রে যথেষ্ট সজাগ এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। কিন্তু প্রতিকার সম্পর্কে সন্ধিহান জনসাধারণ, সামনে আরো কত দুর্ভোগ কে জানে।

আমার একটি ছোট্ট সার্ভেতে যেটা বোঝা গেল, সমস্যাগুলো জায়গা ভেদে ভিন্নতর, ঢাকার বাইরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি যেমন কুমিল্লা, তবে যশোরে অবস্থা কিছুটা ভালো। বর্তমান লোডশেডিংয়ের আরেকটি ফিচার হলো খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বিদ্যুতের আসা এবং যাওয়া, অর্থাৎ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে তো প্রায় দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা থাকে না। হঠাৎ অনেক বেশি ভোল্টেজ আবার এতটাই কম যে মনে হচ্ছে আলোই নেই। তবে গড়ে সারাদিন এবং রাত ধরে - ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না এটা প্রায় সব জায়গায় একই রকম। - ঘণ্টা  বা কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি বিদ্যুৎ না থাকায় বিল কম হয়েছে সেটা কিন্তু নয়। অন্যদিকে বেড়েছে মোমবাতির দাম, ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে। দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দামের কথা তো বলাই বাহুল্য।

আরো জানা গেল রংপুর, লালমনিরহাট এলাকায় কখনো কখনো ১৪-১৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না এটি কিন্তু অক্টোবরের গ্রিড বিপর্যয়ের আগে থেকেই, সে কারণে এখানে বড় কলকারখানা তেমন গড়ে ওঠেনি, তবে  নানা ধরনের চালকল আছে, যা মূলত চলে তাদের নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে। বিদ্যুৎ লাইনের এতটাই নাজেহাল অবস্থা যে সামান্য বাতাসে বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেলেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। অর্থাৎ আমরা যে এত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম সেগুলোর সুবিধা সবার কাছে সমভাবে যাচ্ছে না।

নারায়ণগঞ্জ এখন প্রায় শহর, বহু লোক প্রতিদিন এখন ঢাকায় অফিস করে ফিরে যায়। এখানে প্রচুর কলকারখানা স্থাপন হয়েছে বিশেষ করে তৈরি পোশাকের পশ্চাৎ সংযোগ শিল্প যেমন ডায়িং, নিটিং ইত্যাদি শিল্প যেখানে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন। এখানেও লোডশেডিং নিত্যনৈমিত্তিক, যা একদিকে যেমন গৃহস্থালির প্রয়োজনে, তেমনি শিল্পের প্রয়োজনে। এখানে লোডশেডিং আগেও ছিল। অক্টোবরের গ্রিড বিপর্যয়ের পর কিছুটা বেড়েছে। বেশির ভাগ লোক আইপিএস ব্যবহার করে যাতে গরমে কিছুটা স্বস্তিতে জীবন কাটাতে পারে। তা হয়তো সব ধরনের সাধারণ জনমানুষ ব্যবহার করতে পারে না। অর্থাৎ সাধারণের ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। চট্টগ্রামে একই অবস্থা। বাসাবাড়িতে অবস্থা, শিল্প-কারখানার দুর্গতি তো আরো বেশি।

সাধারণ মানুষ জানে যে বিদ্যুৎ তৈরির কাঁচামাল অর্থাৎ গ্যাস সরবরাহের স্বল্পতা, এলএনজির দাম বৃদ্ধি, অন্য দিকে সৌরবিদ্যুৎ, বাতাস, বায়োগ্যাস, হাইড্রো, বায়োমাস থেকে বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সে রকম না বাড়ার কারণে বিকল্প জ্বালানি খাতনির্ভর বিদ্যুৎ চাহিদামাফিক উৎপাদন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে সাধারণ মানুষ আশা করে যেটুকু পাওয়া যায় তা যেন গুণগত মানসম্পন্ন হয়। অনেক কষ্টের গৃহে  ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক তৈজসপত্রের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু না হয়, কেউ কোনো ভরসা দিতে পারছে না কখন বিদ্যুৎ থাকছে কি থাকছে না।

গ্রিড ব্যবস্থাপনার যে সমস্যা তা দীর্ঘদিনের, সরকার সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থার দিকে কম নজর দিয়ে শুধু উৎপাদনের দিকে গিয়েছে এটা একটা দুর্বলতা। তবে গ্রিড ব্যবস্থাপনার কথা দীর্ঘদিন থেকেই বলা হচ্ছে। এই ফোন করে বলতে হচ্ছে যে সঞ্চালন কতটুকু কমাতে বা বাড়াতে হবে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এখন রিয়েল টাইম ইনফরমেশন ব্যবস্থায় যেতে হবে, যাতে সবার সব রকমের তথ্যে একসেস থাকে এবং স্ব-প্রণোদিত হয়ে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারে। বিশেষ করে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অন্তত ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাদের ক্ষেত্রে ধরনের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা অবিলম্বে প্রয়োজন।

কথা সবাই এখন বলছে, গ্রিডের সেফটি সিস্টেম কী রকম, ব্যাকআপ কী রকম রাখতে হবে, সে কারণে কী ধরনের মেশিনারি দরকার, যাতে এগুলো সঠিক সময়ে তাদের কার্যদক্ষতা দিয়ে পুরো গ্রিড বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারে। ঠিক সময়ে গ্রিড ওভারহলিং অর্থাৎ সঠিক সময়ে ভালোভাবে পরীক্ষাপূর্বক মেরামত করে রাখা যায়, যাতে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার যায়, ধরনের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানা ধরনের নতুন উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যার সঙ্গে সমন্বয় করেই আমাদের পথ চলতে হবে। এনার্জি সোর্সগুলোর বিন্যাস অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

ক্যাপাসিটি চার্জ আর একটি বিষয় যেমন সরকার যখন কোনো পাওয়ার প্লান্টের সঙ্গে চুক্তি করে তখন সরকারকে এটি দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়, যা নির্ভর করে প্লান্টের ক্যাপাসিটি এবং তার স্থাপন খরচের ওপর, এক্ষেত্রে পাওয়ার উৎপাদন বা কেনা হোক বা না হোক, সে কারণে ধরনের চুক্তি খুবই দক্ষতার সঙ্গে করা হয়।

লোডশেডিং আমাদের জীবনে একটি পুরনো ব্যাপার, তবে এখনকার লোডশেডিংয়ের কারণটি ভিন্ন, কোনো একসময় যখন আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ছিল না তখন লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অনিবার্য বলেই ধরে নেয়া হতো, সাধারণ মানুষ যখন কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখবে বলে আশা করে আছে তখনকার লোডশেডিং সাধারণকে কিছুটা আশাহত করে।

 

ফেরদাউস আরা বেগম: সিইও

বিল্ডএটি একটি পাবলিক প্রাইভেট প্লাটফর্ম

আরও