এখন নির্বাচন-পরবর্তী সময়। নতুন সরকারের সামনে অনেক অবশ্য করণীয় কাজ। সাধারণত নতুন সরকার গুছিয়ে নেয়ার জন্য অন্তত মাস ছয়েক সময় পায়। এবার এ সুযোগ নেই। কাগজে-কলমে নতুন সরকার হলেও বস্তুত এটি পূর্বতম সরকারের নতুন রূপ। নতুন রূপ কিন্তু কাজ সব পুরনো, জমে থাকা কাজ—যেসব কাজ একেবারে হাত পুড়িয়ে দিচ্ছে। যেমন মূল্যস্ফীতি (ইনফ্লেশন) যার কথা আওয়ামী লীগ তার দলীয় ইশতেহারে প্রথম দিনেই স্থান দিয়েছে। বলেছে: ‘দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।’ ইশতেহারে দেখা যাচ্ছে তাদের মোট ১১টি হচ্ছে বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কাজ। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি রোধ এক নম্বরে এবং তা যথাযথভাবেই। বাকি ১০টি ক্ষেত্র যে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তা কেউ অস্বীকার করবে না। বস্তুত এগুলো বেশ বহুল চর্বিত বিষয়। এসব সাধারণভাবে বর্ণিত হয়েছে। ভালো লেগেছে আমার একটি। কৃষিতে আওয়ামী লীগ লাভজনক করতে চায়। এটি ‘ওভারডিউ ইস্যু’। কৃষির এত অবদান সত্ত্বেও যুগ যুগ ধরে এটি অবহেলিত ও লোকসানি খাত। সরকারের কথা শুনে উৎপাদন করলে, উৎপাদন বাড়ালে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। যেমন এবারই পাটে ও ধানে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সব জিনিসের দাম ৫০, ১০০, ২০০ গুণ বাড়লেও কৃষিপণ্যের দাম সেভাবে বাড়েনি। এমন লোকসানি কারবার যে কৃষকরা করে আমাদের অন্ন জোগাচ্ছেন তা আমাদের সৌভাগ্যই বটে। শত হোক লোকসানের কারবার কে বছরের পর বছর করে। এ অবস্থায় সব অগ্রাধিকারের মধ্যে এটি আমার খুব ভালো লেগেছে। দেখা যাক নতুন সরকার এক্ষেত্রে কী করে। এক্ষেত্রে কেন, বহু ক্ষেত্রেই জরুরি পদক্ষেপ সময়ের দাবি। যেমন মূল্যস্ফীতির সঙ্গেই জড়িত দুটো বিষয়। ডলারের মূল্য স্থির করা এক নম্বর। এটা বাজারভিত্তিক কীভাবে করা হবে অথচ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে এটি চিন্তার বিষয়। কারণ আমরা আমদানিনির্ভর দেশ। দ্বিতীয়ত, ডলারের স্থিতি (রিজার্ভ) কীভাবে বাড়ানো হবে। এর সঙ্গে জড়িত দুটো বিষয়। রফতানি ও রেমিট্যান্স। রফতানি বাজার নানা সমস্যায় জড়িত। বাজার সীমিত আমেরিকা ও ইউরোপে, তাও শুধু তৈরি পোশাক। রফতানি বৈচিত্র্যহীন। রেমিট্যান্সের বাজার মন্দা, হুন্ডি রেমিট্যান্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এসব সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে তা চিন্তা করতে করতেই আসবে আরো অনেক জমানো সমস্যা। যেমন আর্থিক খাত সংস্কার, দেশী-বিদেশী ঋণ, ঋণের ওপর সুদ, রাজস্ব বৃদ্ধি, রাজস্ব ব্যয় সংকোচন, মেগা প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ। ঋণ খেলাপ, অর্থ পাচার, ঘুস-দুর্নীতি, বৈষম্য, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি, ব্যাংকের তারল্য ও আমানত বৃদ্ধি। এসব সমস্যার লেজে লেজে রয়েছে আরো অনেক জরুরি সমস্যা। বস্তুত জরুরি সব সমস্যা এখন বহুল আলোচিত—সরকার তা জানে, দেশবাসী জানে, অর্থনীতিবিদরাও জানে। জানে সবাই ‘সিন্ডিকেট’ সমস্যার কথা। প্রয়োজন শুধু জরুরি পদক্ষেপ। নির্বাচনী বছরের কারণে অনেক পদক্ষেপ সময়োচিত ছিল না বলে অনেকের মত। হতে পারে তা। কিন্তু সে ঝামেলা গেছে। এখন দরকার ‘অ্যাকশন’, চোখ বুজে অ্যাকশন। এখানেই আমার বক্তব্য আরো একটু এগিয়ে। আমি আওয়ামী লীগ চিহ্নিত সমস্যা অথবা অর্থনীতিবিদদের চিহ্নিত সমস্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণের কোনো কারণ দেখি না। তবে এসব সমস্যা সমাধানের পথ ও কৌশল সম্পর্কে আমার কিছু বক্তব্য আছে। কেউ কেউ বলতে পারেন একে ‘উন্নয়ন দর্শন’। যে যেভাবেই বলুন না কেন আমাদের চিন্তাচেতনার কিছু পরিবর্তন দরকার। সামগ্রিকভাবে সমস্যা সমাধানে আমাদের এখন অনেক বিষয় পুনর্বিবেচনা করা দরকার। ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করা দরকার বস্তুনিষ্ঠভাবে। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সমাজ পরিবর্তন, সংস্কৃতি ইত্যাদির গতিপ্রকৃতিও পর্যালোচনা করা দরকার। এসব ক্ষেত্রে প্রধান বার্তা চিহ্নিত করা দরকার।
আমার মতে, আমাদের বড় সমস্যা দ্বিচারিতা। আমরা সমাজতন্ত্রের পথ ছেড়েছি। নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পথও ছেড়েছি। সে পথ ধরেই বাজার অর্থনীতি (মার্কেট ইকোনমি)। খোলা বাজারি পথ। বিশ্বায়ন, উদার বাণিজ্য নাকি আমাদের ঘোষিত দর্শন বা নীতি। কিন্তু বাস্তবে অবস্থা কী? আমরা কি সত্যি সত্যি বাজার অর্থনীতি অনুসরণ করছি। আমরা কী কল্যাণমুখী বাজার অর্থনীতির পথে আছি? বাজার অর্থনীতি বলে প্রতিযোগিতার কথা, দক্ষতার কথা, গুণের কথা ও উদ্যোগের কথা। আমরা কি গত ১৫ বছর এ গতি অনুসরণ করে চলেছি। অভিজ্ঞতার আলোকে বলা চলে—না, আমরা ওই পথে চলিনি। এটা একটা বড় বিচ্যুতি, যার কারণে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ও হচ্ছে। আমরা যে অর্থনীতি, বাণিজ্য নীতি ও রাজস্ব নীতি অনুসরণ করেছি তাকে বলা যায় ‘সিন্ডিকেটীয়ও অর্থনীতি’ বা ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট পথ’। পৃথিবীর অনেক দেশই এ পথ অনুসরণ করে। আমরা সে পথে চলেছি এতদিন। যুক্তি দিয়ে আমাদের বলা হয়েছে ‘বাঙালির ক্যাপিট্যাল’ ছিল না বা নেই। তাকে ক্যাপিটাল গড়ার সুযোগ দিতে হবে। একে অনেকেই ডাকেন ‘প্রাইমারি ক্যাপিটাল অ্যাকুমুলেশন’। এখানে কোনো নীতির বালাই নেই। সরকারি সহায়তার টাকা বানানো। কন্টাক্টে কাজ করা, সুদ মওকুফ, অল্প সুদে ধনপ্রাপ্তি, খেলাপি ঋণকে পুনর্গঠন করা, কর মওকুফ, কর অবকাশ, কম হারে কর প্রদান, নানা ধরনের ভর্তুকি, উচ্চ দরে কন্টাক্ট প্রাপ্তি, বিদেশ থেকে বিশেষ সুবিধায় মাল আমদানি, সরকারি জমি হ্রাসকৃত মূল্যে পাওয়া ইত্যাদি নানা ধরনের সরকারি সুবিধায় গড়ে উঠেছে আমাদের ক্যাপিটাল ও ক্যাপিট্যালিস্ট। এর সঙ্গে মেধা, প্রতিযোগিতা দক্ষতার কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ, প্রশাসনিক কানেকশনই সম্পদ অর্জনের পথ। এটাই আমরা করেছি। উদাহরণস্বরূপ শুধু ব্যাংক খাতের কথাই বলা যায়। বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের পরিচালক পদে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি, একই পরিবারের একাধিক পরিচালক থাকার নিয়ম শিথিলকরণ নানা কৌশলে একটি পরিবার বা ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, প্রভাবশালীদের ঋণের পুনঃতফশিলকরণে ব্যর্থতার কারণে ঋণ পুনর্গঠন ‘নয়-ছয়’ নামীয় সুদনীতির মাধ্যমে সস্তায় ঋণ ধরিয়ে দেয়া, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞায় ঘন ঘন পরিবর্তন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ডলার থেকে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের ডলারে ঋণ প্রদান, রফতানির নামে ভর্তুকি ইত্যাদি মাত্র কয়েকটি উদাহরণ। এসব উদার নীতি ব্যবস্থা, পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট করা হয়েছে। সেখানে মেধা, দক্ষতা প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধি আরেকটি উদাহরণ, যার মাধ্যমে অহেতুক ছোট ছোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হয়েছে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা, বেড়েছে আগ্রাসী ব্যাংকিং। এতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ। আবার খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে সময়মতো কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বাড়ানো হয়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। শাস্তির অভাবে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১ টাকার মাল ২-৩ টাকার ঋণপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছে, টাকা পাচার করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বিশাল ‘কালো অর্থনীতি’। এসবই হয়েছে চোখের সামনে, আমাদের জ্ঞাতসরে। উদ্দেশ্য প্রিয়জনদের হাতে টাকা ধরিয়ে দেয়া-ক্যাপিটাল ফর্মেশনের জন্য। একে ক্রোনি ক্যাপিটালিজম না বললে কী বলা হয়। আমাদের চোখের সামনে নদী, খাল-বিল, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি, সরকারি সম্পত্তি নিকটজনেরা দখল করে নিয়ে সাম্রাজ্য করেছে। চোখের সামনে ১ টাকার আমদানীকৃত ভোগ্যপণ্য ৩ টাকায় বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে অনেকে। স্টক এক্সচেঞ্জে দু-দুবার লুট হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুটেরারা চিহ্নিত। সবাই জানে তাদের নাম। বিচার হয়নি কারো। বাজার এখন বিধ্বস্ত। এদিকে ‘ট্যাক্স একসপেন্ডিচার’-এর মাধ্যমে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে এক শ্রেণীর লোককে। ব্যবসার নাম করে শিল্পের সংরক্ষণের কথা বলে তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমরা গড়ে তুলেছি অদক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কর অব্যাহতি, করহ্রাস, কর অবসান ইত্যাদি হচ্ছে সুবিধা। বছরে এ ‘ট্যাক্স একসপেন্ডিচারের’ পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। কারা পাচ্ছে এ টাকা। এর মধ্যে কিছু পরিমাণ ন্যায্য। বাকিটা প্রশ্নবিদ্ধ। এভাবে আমদানি-রফতানি, জমিদখল, ভোগ্যপণ্য আমদানি ও ব্যবসা, জনশক্তি রফতানি ইত্যাদির মাধ্যমে অনেকে আইনবহির্ভূতভাবে টাকা বানিয়েছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে সিন্ডিকেট। পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট। চাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ, ডাল, খেজুর, ফল থেকে শুরু করে ডিম, আলু প্রভৃতির ব্যবসাও আজ সিন্ডিকেটের কবলে। এটা আমার কথা নয়। মন্ত্রী মহোদয়ের কথা। তারা গত একবছরে সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন উচ্চমূল্যের জন্য। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে, তাদের ধরলে তারা বাজারকে আরো অস্থির করে দেবে—এসব মন্ত্রীদের কথা। পরিষ্কার বোঝা গেছে মন্ত্রীরা সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। এ সিন্ডিকেট কার দ্বারা তৈরি? কারা কারা সিন্ডিকেটের সদস্য। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রীসহ মন্তিসভার অনেকেই বড় বড় ব্যবসায়ী। সিন্ডিকেট কাদের দিয়ে গঠিত তারা যদি না জানেন তাহলে আমরা জানব কী করে? অথচ বাস্তবে সবারই জানা কারা এ ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ন্ত্রণ করে। ‘সিন্ডিকেট’ কি ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের’ বড় লক্ষণ নয়?
দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের সিন্ডিকেট। সৃষ্টি হয়েছে বড় বৈষম্য। বৈষম্য গত এক-দেড় দশকে মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ধনী অতিধনী হচ্ছে। মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত হচ্ছে, গরিব হচ্ছে অতিদরিদ্র। সিন্ডিকেটের লোকেরা সবকিছু দখল করে নিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতি, রাজনীতি, রাজনৈতিক দল সব একাকার হয়ে গেছে। বড় বড় করপোরেট হাউজই এখন নিয়ন্ত্রণ করছে সবকিছু। এসবই হয়েছে উন্নয়নের মধ্যেই। উন্নয়নের তাদের অবদান আছে তারা বলেন। হয়তো আছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে অবদান থাকলেও তাদের মধ্যে অনেকের অনিয়মিত কাজ, অবৈধ কাজ তো আর বৈধ হয়ে যায় না। আমাদের শক্ত একটি আইন আছে। তা হচ্ছে মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন আইন। এতে দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ কী কী তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর নিরিখে বিচার করলে কয়জনের অবস্থা নিষ্কলুষ থাকে। কথা হচ্ছে মানুষ টাকা কামাবে, অর্থ-সম্পদের মালিক হবে তাতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু তা হতে হবে আইনের মধ্যে, নিয়মনীতি মেনে। মেধা, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টাকা বানাতে হবে। এখানেই প্রশ্ন। আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি এটি হচ্ছে। সিন্ডিকেটের অর্থনীতিরই জয়জয়কার সর্বত্র। সর্বত্র ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের দৌরাত্ম্য। নতুন সরকারের উচিত হবে এ সমস্যার দিকে নজর দেয়া। কারণ এরাই সংস্কারবিরাধী, এদের কারণেই বৈষম্য বাড়ছে, এদের কারণেই মূল্যস্ফীতি অনিয়ন্ত্রিত থাকছে। অবিচার, অনিয়ম উৎসাহিত হচ্ছে এ সিস্টেমের কারণে। নতুন সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি তার এ মেয়াদ থেকে বিষয়টির প্রতি নজর দেন তাহলে দেশ উপকৃত হবে। সিন্ডিকেট, ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টরা শেষ পর্যন্ত দেশের কোনো উপকারে আসে না। অতএব, এখন দরকার উন্নয়ন দর্শনের। কৌশলের বড় পরিবর্তন।
ড. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক