বিশ্ববাজারে
অপরিশোধিত
জ্বালানি
তেলের
দাম
গড়ে
৮০
ডলারে
নেমে
এসেছে।
বেশ
কয়েক
মাস
অপরিশোধিত
তেলের
মানদণ্ড
ব্রেন্ট
ক্রুডের
দাম
ব্যারেলপ্রতি
৭৫
থেকে
৮৫
ডলারের
মধ্যে
ওঠানামা
করছে।
কিন্তু
বাংলাদেশে
এর
কোনো
প্রভাব
নেই।
অভ্যন্তরীণ
বাজারে
সরকার
যে
দাম
ঠিক
করে
দেয়,
সে
দামেই
ভোক্তা
ক্রয়
করেন।
আর
এ
দাম
নির্ধারিত
হয়
সরকারি
সিদ্ধান্তে।
জ্বালানির
দাম
বাড়ার
সময়
বিশ্ববাজারের
কথা
বলা
হয়েছিল,
যখন
ব্যারেলপ্রতি
ক্রুড
অয়েলের
দাম
ছিল
১১০
ডলারের
ওপর।
প্রতিশ্রুতি
দেয়া
হয়েছিল
আন্তর্জাতিক
বাজারে
জ্বালানি
তেলের
দাম
কমলে
দেশেও
কমানো
হবে,
কিন্তু
সরকার
অন্যান্য
প্রতিশ্রুতির
মতো
এটিও
রক্ষা
করছে
না।
ফলে
জনভোগান্তি
কমছে
না।
বিপিসি
সঞ্চয়
অক্ষত
রেখে
তেলের
দাম
বাড়িয়ে
সমন্বয়
করেছে
আর
ভোক্তাকে
এখন
নিজের
সঞ্চয়
ভেঙে
সে
তেল
কিনতে
হচ্ছে।
এজন্য
ভোক্তাকে
সাশ্রয়ী
দামে
জ্বালানি
তেল
দিতে
যৌক্তিক
সমন্বয়টাও
দরকার।
বর্তমান
উচ্চমূল্যস্ফীতির
সিংহভাগ
অবদান
দেশের
অভ্যন্তরীণ
অর্থনৈতিক
ব্যবস্থাপনাজনিত
সংকট।
জ্বালানি
ও
বিদ্যুৎ
খাতে
ভুল
নীতি,
আর্থিক
ও
ব্যাংক
খাতে
বড়
অনিয়ম,
দুর্নীতি
এবং
অর্থ
পাচার—এসবই
মূল
কারণ।
সরকারের
বেশির
ভাগ
নীতি
ও
সিদ্ধান্ত
হয়
গোষ্ঠী
স্বার্থে,
কিন্তু
শেষ
পর্যন্ত
সব
বোঝা
চাপিয়ে
দেয়া
হচ্ছে
জনগণের
ঘাড়ে।
জ্বালানি
তেলের
ক্ষেত্রেও
বিষয়টি
তাই।
বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম
করপোরেশনের
(বিপিসি) অদক্ষতার
দায়
জনগণের
ওপরই
চাপানো
হচ্ছে
আর
তারা
মুনাফা
করছে।
এ
খাত
থেকে
সরকারের
রাজস্ব
আহরণও
বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক
মুদ্রা
তহবিলের
(আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা
পরিচালক
ক্রিস্টালিনা
জর্জিয়েভা
সম্প্রতি
এক
অনুষ্ঠানে
বলেছেন,
২০২৩
সালে
বিশ্বের
এক-তৃতীয়াংশ
দেশ
মন্দার
কবলে
পড়বে,
তার
পর
থেকেই
জ্বালানি
তেলের
দাম
কমতে
শুরু
করে।
করোনার
সময়
অপরিশোধিত
জ্বালানির
দাম
ব্যারেলপ্রতি
৩০
ডলারের
নিচে
নেমে
যায়।
মূলত
চাহিদা
পড়ে
যাওয়ার
কারণে
জ্বালানির
দাম
ব্যাপক
পড়ে
যায়।
২০২১
সালের
মাঝামাঝি
সময়
যখন
বিশ্বজুড়ে
করোনার
বিধিনিষেধ
উঠে
যায়,
তখন
থেকে
জ্বালানির
দাম
বাড়তে
শুরু
করে
এবং
জ্বালানি
তেলের
দাম
৮৫
ডলার
ছাড়িয়ে
যায়।
সে
সময়
বাংলাদেশ
সরকারও
ডিজেল
ও
কেরোসিনের
দাম
লিটারে
১৫
টাকা
বাড়িয়ে
৮০
টাকা
নির্ধারণ
করে।
এরপর
২০২২
সালের
আগস্টে
দেশের
বাজারে
জ্বালানির
দাম
আবারো
বাড়ানো
হয়।
সেবার
জ্বালানির
দাম
৪২
থেকে
৫১
শতাংশ
পর্যন্ত
বাড়ানো
হয়েছে।
কারণ
হিসেবে
বলা
হয়েছিল
জ্বালানি
তেলের
দাম
ব্যারেলপ্রতি
১১০
ডলার
ছাড়িয়ে
গেছে।
জ্বালানির
দাম
বাড়ায়
অভ্যন্তরীণ
মূল্যস্ফীতির
হার
হঠাৎ
করেই
বেড়ে
যায়।
কারণ
বাংলাদেশে
জ্বালানিপণ্যের
মূল্য
খুবই
স্পর্শকাতর
বিষয়।
এর
সঙ্গে
পণ্য
উৎপাদন
থেকে
শুরু
করে
বিপণন,
বাজারজাত
প্রভৃতি
বিষয়
জড়িত।
তাছাড়া
ভোগ্যপণ্যের
বাজারে
সরকারের
কোনো
নিয়ন্ত্রণ
না
থাকায়
মূল্যবৃদ্ধির
প্রভাব
বাংলাদেশে
একটু
বেশিই
পড়ে।
বলা
যায়,
গুণিতক
প্রভাব
পড়ে।
সরকারের
মন্ত্রীরা
বরাবরই
বলেছেন,
বিশ্ববাজারে
তেলের
দাম
কমলে
দেশেও
দাম
সমন্বয়
করা
হবে।
বিদ্যুৎ,
জ্বালানি
ও
খনিজ
সম্পদ
প্রতিমন্ত্রী
নসরুল
হামিদ
বলেছিলেন,
‘আমরা তেলের
দাম
বাড়াইনি,
কেবল
সমন্বয়
করেছি।
বিশ্ববাজারে
দাম
কমলে
তখন
দেশের
বাজারে
সমন্বয়
করা
হবে।’
দাম
হ্রাসের
প্রসঙ্গ
এলে
বলা
হয়,
বাজার
স্থিতিশীল
হলে
দাম
কমানো
হবে।
বিশ্ববাজারে
জ্বালানি
তেলের
গড়
দাম
ব্যারেলপ্রতি
৮০
ডলার।
আন্তর্জাতিক
বিশ্লেষকদের
পূর্বাভাস,
২০২৩
সালে
বিশ্বের
উন্নত
দেশগুলোয়
মন্দা
ভাব
বিরাজ
করবে।
চাহিদা
খুব
একটা
বাড়বে
না।
চীন
শূন্য
কভিড
নীতি
থেকে
ত্যাগের
কথা
বললেও
সেখান
থেকে
পুরোপুরি
বেরিয়ে
আসতে
সময়
লাগবে।
এ
বাস্তবতায়
জ্বালানি
তেলের
দাম
আর
খুব
একটা
বাড়বে
না
বলেই
বিশ্লেষকদের
পূর্বাভাস,
কিন্তু
বাংলাদেশের
সরকার
জ্বালানি
তেলের
দাম
কমাচ্ছে
না।
এখন
বলা
হচ্ছে,
বিশ্ববাজার
নাকি
স্থিতিশীল
নয়!
অথচ
ব্যারেলপ্রতি
১১০
ডলার
দাম
খুব
বেশি
সময়
স্থায়ী
না
হলেও
এমনকি
সে
দামে
কোনো
তেল
সরকার
কিনেছে
কিনা
সেটি
নিয়েও
সন্দেহ
থাকা
অবস্থাতেই
দাম
বাড়াতে
সময়ক্ষেপণ
করা
হয়নি।
সরকার
বলেছিল
বিশ্ববাজারের
সঙ্গে
সমন্বয়
করে
দেশের
বাজারে
জ্বালানির
দাম
নির্ধারণ
করবে।
এটি
আসলে
একেবারে
নতুন
কোনো
ফর্মুলা
নয়
আবার
কঠিন
কোনো
বিষয়
নয়,
শুধু
সদিচ্ছা
প্রয়োজন।
বিশ্বের
অনেক
দেশেই
এভাবে
বিশ্ববাজারের
সঙ্গে
মিল
রেখে
জ্বালানি
তেলের
দাম
সমন্বয়
করা
হয়।
আমদানি
করা
জ্বালানি
তেলের
দাম
নির্ধারণে
বিশ্বে
প্রধানত
তিনটি
পদ্ধতি
অনুসরণ
করা
হয়।
অধিকাংশ
দেশ
মার্কেট
ডিটারমাইন্ড
বা
বাজারদরের
সঙ্গে
সমন্বয়
পদ্ধতি
অনুসরণ
করে।
আবার
কোনো
কোনো
দেশ
সর্বোচ্চ
দর
বা
প্রাইস
সিলিং
পদ্ধতি
অনুসরণ
করে।
বাংলাদেশের
মতো
কিছু
দেশ
ফিক্সড
প্রাইস
বা
নির্ধারিত
দরে
জ্বালানি
তেল
বিক্রি
করে।
প্রতিবেশী
দেশ
ভারতে
বহুদিন
ধরেই
ডায়নামিক
ডেইলি
প্রাইসিং
মেথড
অবলম্বন
করা
হচ্ছে।
সেখানে
মাসিক
হিসাবে
নয়,
প্রতিদিন
বেন্ট
ক্রুড
অয়েল
বা
অপরিশোধিত
জ্বালানি
তেলের
দাম
বিবেচনায়
দেশের
বাজারে
জ্বালানি
তেলের
দাম
সমন্বয়
করা
হয়।
ভারতে
দামটা
ঠিক
হয়
এভাবে:
বিশ্বের
যেসব
জায়গা
থেকে
তেল
আমদানি
করা
হয়,
তার
সঙ্গে
সরকারি
কর
ও
মুনাফা
যোগ
করে
প্রতিদিন
তেলের
দাম
নির্ধারণ
করে
দেয়া
হয়।
প্রতিদিন
সরকারের
জ্বালানি
মন্ত্রণালয়
ঠিক
করে
দেয়,
কত
দামে
ডিজেল-পেট্রল
বিক্রি
হবে।
অনেক
কিছু
বিকেন্দ্রীকরণ
করা
হলেও
এখানে
ভারত
সরকারের
কড়া
নিয়ন্ত্রণ
আছে।
আবার
যুক্তরাষ্ট্রে
প্রতি
ঘণ্টায়
তেলের
দাম
নির্ধারণ
হয়ে
থাকে।
যুক্তরাজ্যে
প্রতিদিনই
জ্বালানি
তেলের
দাম
ওঠানামা
করে।
কিন্তু
সেখানে
সরকারি
কোনো
সংস্থা
সেটা
নির্ধারণ
করে
না।
ক্রুড
অয়েলের
দাম,
সরকারি
কর,
ভ্যাট
ইত্যাদির
সঙ্গে
নিজেদের
মুনাফা
মিলিয়ে
পাম্প
মালিকরাই
প্রতিদিন
সেটা
ঠিক
করেন।
ফলে
একই
দিন
একেক
এলাকায়
তেলের
দাম
একেক
রকমও
হতে
পারে।
ভারতেও
এলাকাভেদে
তেলের
দাম
ভিন্ন
ভিন্ন
হয়ে
থাকে,
কিন্তু
বাংলাদেশের
সব
জায়গায়
একই
দামে
তেল
বিক্রি
হয়।
যুক্তরাষ্ট্র
ও
ভারতে
শক্তিশালী
নিয়ন্ত্রক
সংস্থা
থাকায়
জ্বালানি
তেলের
দাম
নিয়ে
কারসাজির
সুযোগ
কম।
বাংলাদেশের
বিদ্যুৎ,
জ্বালানি
এবং
খনিজ
সম্পদ
প্রতিমন্ত্রী
বলেছিলেন,
বিশ্ববাজারের
সঙ্গে
মিল
রেখে
প্রতি
মাসে
জ্বালানির
দাম
সমন্বয়ে
কাজ
চলছে।
জ্বালানি
তেলের
বিষয়ে
একটি
রূপরেখা
তৈরির
কাজ
চলছে,
খসড়া
দ্রুতই
চূড়ান্ত
হবে।
এর
পর
থেকে
প্রতি
মাসে
জ্বালানি
তেলের
দাম
সমন্বয়
করা
হবে।
এভাবে
বিদ্যুৎ
ও
গ্যাসের
দামও
পর্যায়ক্রমে
সমন্বয়
করা
হবে।
এর
মধ্যে
বেশ
কয়েক
মাস
অতিবাহিত
হয়েছে
কিন্তু
দাম
আর
সমন্বয়
হয়নি।
আর
কী
সেই
ফর্মুলা,
কারা
দাম
নির্ধারণ
করবে
কোনো
কিছুই
স্পষ্ট
করা
হয়নি।
জ্বালানি
মন্ত্রণালয়
যদি
নিজেদের
মতো
হিসাবপূর্বক
দাম
নির্ধারণ
করে
নির্বাহী
আদেশে
তা
বাস্তবায়ন
করে
তবে
সেটি
হবে
আরেকটি
বড়
বিপর্যয়।
বাংলাদেশ
এনার্জি
রেগুলেটরি
কমিশনকে
দিয়ে
গণশুনানির
মাধ্যমে
প্রতি
মাসে
বিশ্ববাজারের
সঙ্গে
সমন্বয়
করে
দেশের
বাজারে
জ্বালানির
দাম
নির্ধারণ
করা
যেতে
পারে।
সরকার
কতটা
মুনাফা
করবে
আর
কতটা
শুল্ককর
আদায়
করবে,
তারও
একটি
সুনির্দিষ্ট
সীমা
থাকা
আবশ্যক।
জ্বালানি
মন্ত্রণালয়
ও
বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম
করপোরেশনের
কর্মকর্তারা
বলেছিলেন,
যে
নিয়মে
এখন
লিকুইড
পেট্রোলিয়াম
গ্যাস
বা
এলপিজির
দাম
সমন্বয়
করা
হয়,
সে
ফর্মুলা
বিবেচনায়
নিয়েই
জ্বালানি
তেলের
দাম
সমন্বয়ের
কথা
ভাবছে
সরকার।
প্রথমে
প্রতি
তিন
মাস
পরপর
তেলের
দাম
নির্ধারণের
কথা
ভাবা
হয়েছিল,
কিন্তু
এখন
প্রতি
মাসেই
জ্বালানি
তেলের
দর
সমন্বয়ের
কথা
ভাবা
হচ্ছে।
নতুন
কৌশলে
আন্তর্জাতিক
বাজারে
প্রতি
মাসের
শুরুর
দিকে
যে
দাম
থাকবে,
তার
সঙ্গে
পরিবহন
খরচ,
ডিলারদের
কমিশন
ইত্যাদি
যোগ
করে
দেশের
বাজারে
তেলের
দাম
নির্ধারণ
করে
দেয়া
হবে।
ফলে
যখন
বিশ্ববাজারে
জ্বালানি
তেলের
দাম
বাড়বে,
দেশের
বাজারেও
সেটা
বেড়ে
যাবে।
আন্তর্জাতিক
বাজারে
জ্বালানি
তেলের
দাম
কমে
গেলে
দেশের
বাজারেও
দাম
সেই
হারে
কমবে।
কিন্তু
সেই
নীতির
প্রতিফলন
ঘটছে
না।
বিপিসি
উচ্চমুনাফা
ত্যাগ
করতে
চাইছে
না।
তাদের
অদক্ষতাও
জ্বালানি
তেলের
দাম
বৃদ্ধিতে
প্রভাব
রাখছে।
যুক্তরাজ্য,
যুক্তরাষ্ট্র,
এমনকি
ভারতেও
বেশির
ভাগ
গণপরিবহন
রাষ্ট্রীয়
ব্যবস্থাপনায়
চলে।
ফলে
জ্বালানি
তেলের
দাম
বেড়ে
যাওয়া
বা
কমে
যাওয়ায়
রাতারাতি
সেখানে
প্রভাব
পড়ে
না,
কিন্তু
যেহেতু
বাংলাদেশের
পরিবহন
খাতে
বেসরকারি
খাতের
প্রাধান্য
বেশি,
ফলে
তেলের
দাম
কমে
গেলে
যতটা
না
প্রভাব
পড়বে,
দাম
বাড়লে
পরিবহন
ব্যয়
বাড়ে
তার
চেয়ে
বেশি।
জ্বালানি
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন,
যেসব
দেশে
বিশ্ববাজারের
সঙ্গে
মিল
রেখে
মূল্য
সমন্বয়
করা
হয়,
সেসব
উদাহরণ
বিবেচনায়
রেখে
বাংলাদেশেও
এমন
একটি
ফর্মুলা
তৈরি
করতে
হবে,
যাতে
এর
সঙ্গে
সঙ্গে
গণপরিবহন
বা
তেলনির্ভর
অন্যান্য
সেবার
মূল্যও
পরিবর্তন
হয়।
সরকারকে
এমন
একটা
ব্যবস্থা
গড়ে
তুলতে
হবে,
যাতে
তেলের
দাম
বেড়ে
যাওয়া
বা
কমে
যাওয়ার
সুফল
ভোক্তারা
পান।
হয়তো
পরিবহন
খাতেও
সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন
ভাড়া
নির্ধারণ
করে
দিতে
হবে,
এমন
একটি
ব্যবস্থা
চালু
করতে
হবে,
যাতে
তারাও
তেলের
দামের
সঙ্গে
সঙ্গে
ভাড়া
সমন্বয়
করতে
পারে।
সেজন্য
হয়তো
নির্দিষ্ট
সময়
পরপর
তাদের
সঙ্গেও
ভাড়া
সমন্বয়ের
এবং
নজরদারির
একটা
ব্যবস্থা
তৈরি
করতে
হবে।
সামনে
বোরো
মৌসুম।
বাংলাদেশের
চালের
বড়
অংশের
জোগান
আসে
এখান
থেকেই।
আর
বোরো
ফসল
পুরোপুরি
সেচের
ওপর
নির্ভরশীল।
সেচ
কার্যক্রম
আবার
ডিজেলের
ওপর
নির্ভরশীল।
৬০
শতাংশ
চাল
আসে
বোরো
থেকে।
এটা
পুরোটাই
সেচনির্ভর।
৩৭
হাজার
গভীর
নলকূপ,
১৩
লাখ
অগভীর
নলকূপ
থেকে
সেচ
হয়।
সব
মিলিয়ে
১৫
লাখ
কৃষি
যন্ত্রপাতি
আছে,
যার
৭৫
শতাংশই
ডিজেলচালিত।
ডিজেলের
দাম
বাড়ায়
বিঘাপ্রতি
সেচের
খরচ
বাড়বে
৭০০
টাকা।
পাওয়ার
টিলার
ও
ট্রাক্টর
ব্যবহারে
খরচ
বাড়বে
৩০০
টাকা।
এছাড়া
ইউরিয়ার
দাম
বাড়ানোর
কারণে
খরচ
বাড়বে
৫০০
টাকা।
এবার
কৃষক
উভয়সংকটে
পড়েছেন।
সাধারণত
বর্ষা
মৌসুমে
বেশি
বৃষ্টি
হয়
এবং
আমন
চাষে
কৃষককে
কম
সেচ
দিতে
হয়।
এবার
বৃষ্টি
কম
হওয়ায়
তাদের
যেমন
সেচের
ওপর
বেশি
নির্ভর
করতে
হয়েছে,
তেমনি
ডিজেলের
দামও
বেড়েছে।
আর
শীত
মৌসুমে
সবজি
ও
বোরো
চাষে
পুরোপুরি
সেচের
ওপরই
নির্ভর
করতে
হয়েছে।
এছাড়া
জ্বালানি
তেলের
দাম
বাড়ায়
কৃষিপণ্যের
পরিবহন
ব্যয়ও
অনেক
বাড়বে।
সমস্যা
সমাধানে
সরকারকে
পদক্ষেপ
নিতে
হবে।
উৎপাদন
ব্যয়
কমিয়ে
আনতে
সেচযন্ত্রে
ব্যবহূত
ডিজেলের
দাম
কমাতে
হবে।
এটি
দুইভাবে
হতে
পারে।
এক.
কৃষককে
আর্থিক
সহায়তা
দেয়া,
যাতে
তারা
জ্বালানির
বর্ধিত
দাম
শোধ
করতে
পারেন।
দুই.
কম
দামে
কৃষকের
কাছে
সরাসরি
ডিজেল
বিক্রি
করা।
সবচেয়ে
ভালো
প্রক্রিয়া
হলো
আন্তর্জাতিক
বাজারের
সঙ্গে
মিল
রেখে
ডিজেলের
দাম
কমানো।
সরকার
একক
আমদানিকারক
হিসেবে
জ্বালানির
মতো
গুরুত্বপূর্ণ
একটি
পণ্য
নিয়ে
উচ্চ
মুনাফাভিত্তিক
ব্যবসা
করছে।
বাংলাদেশে
বিপিসি
জ্বালানিপণ্যের
একচেটিয়া
নিয়ন্ত্রণ
করে।
তারা
ব্যবসা
করলে
রেগুলেটরের
আওতায়
জ্বালানির
দাম
নির্ধারণ
করা
উচিত।
সরকার
যদি
ভর্তুকি
উঠিয়ে
দিতে
চায়,
তবে
একটা
সহফর্মুলার
মাধ্যমে
আন্তর্জাতিক
দামের
সঙ্গে
দেশীয়
দামের
সমন্বয়
করতে
হবে।
তা
না
হলে
একটা
গড়
মূল্য
স্থিতি
অবস্থায়
রেখে
কম
মূল্যের
সময়
মুনাফাটা
বেশি
মূল্যের
সময়
ভর্তুকি
দিয়ে
দাম
ঠিক
রাখতে
হবে।
বাংলাদেশের
সরকার
এক্ষেত্রে
কার্যকর
কোনো
নীতিই
গ্রহণ
করছে
না।
এম এম মুসা: সহযোগী সম্পাদক, বণিক বার্তা