বাংলাদেশে এমন কোনো আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাত নেই, যেটি শ্রমশোষণ থেকে মুক্ত। তদুপরি গৃহকর্ম থেকে শুরু করে অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতেও রয়েছে শ্রমশোষণের একচ্ছত্র চর্চা। এর পেছনে বিভিন্ন ধরন ও মাত্রার ছোট-বড় নানা কারণ থাকলেও প্রধান কারণ শ্রমশক্তির চাহিদাতিরিক্ত জোগান। অর্থাৎ শ্রমবাজারে চাহিদার তুলনায় কর্মপ্রার্থী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সেই সুযোগে নিয়োগদাতারা শ্রমিক-কর্মচারীদের অনেক কম বেতন বা মজুরিতে নিয়োগদানের সুযোগ নিচ্ছেন এবং সেটি শুধু যে শিল্প-কারখানা বা অফিস-আদালতেই ঘটছে তা নয়, শিক্ষকতা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, প্রকৌশল বা গবেষণা খাতে সেবা প্রদান পর্যন্ত সর্বত্রই তা প্রায় একই ধাঁচে ঘটে চলেছে। এমনকি যে নারী বা পুরুষ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন তিনিও সেই একই ধরনের বঞ্চনা বা শোষণের শিকার। আর এসব শোষণ ও বঞ্চনার মাত্রা কখনো কখনো এতটাই অন্যায় ও অমানবিকতার পর্যায়ে নেমে আসছে যে সেসবকে কেবল আদিম দাসযুগের সঙ্গেই তুলনা করা চলে।
গত ২২ নভেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে, যেখানে স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী একজন সহকারী শিক্ষকের বেতনের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৭ হাজার টাকা। বেসরকারি এ বিদ্যালয় রাজধানীর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত এবং এর একাধিক শাখা ও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে সম্ভবত এটি আর্থিকভাবে একটি সচ্ছল প্রতিষ্ঠান এবং সে কারণে এটি তার শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন দেয়ার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ করা গেল যে এটি তার স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী শিক্ষককে বেতন দিচ্ছে মাসে ৭ হাজার টাকা, যা শুধু অন্যায্য নয়, অমানবিকও। কারণ একজন সম্মান ডিগ্রিধারী শিক্ষক মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পেয়ে ওই আয় দিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহের পর শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের মতো মানসিক শক্তিটুকু ধরে রাখবেন কোন শক্তির বলে? এটি কি আদৌ সম্ভব? কিন্তু তার পরও অনুমান করি, ওই ৭ হাজার টাকা বেতনের শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার জন্যই বহু সম্মান ডিগ্রিধারী স্নাতক দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে দরখাস্ত জমা দিয়ে লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারে ডাক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন এবং কেউ কেউ হয়তো সাময়িকভাবে নীতি-নৈতিকতার কথা ভুলে গিয়ে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে চরমভাবে বেমানান তয়-তদবিরেরও আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করবেন।
এখন কথা হচ্ছে, দেশে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ নেই বলেই কিংবা সুযোগের তুলনায় কর্মপ্রার্থী বেকারের সংখ্যা বেশি বলেই একজন স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী শিক্ষককে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে, এটি কি কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হতে পারে? সদা শোষণ, বঞ্চনা ও নিগ্রহের শিকার পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম বেতনও তো মাসে সাড়ে ১২ হাজার টাকা, যেটি যৌক্তিক পরিমাণের চেয়ে অনেক কম। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের বেতন মাসে ৭ হাজার টাকা হয় কেমন করে? বলা হতে পারে, উল্লিখিত শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিম্নশ্রেণীতে পাঠদান করবেন এবং তার কর্মঘণ্টা অনেক কম। ফলে তার বেতন কম হওয়াটা অযৌক্তিক কিছু নয়। শেষোক্ত এ বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। কারণ শিক্ষকের বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা কখনো মূল বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। বরং তার মেধা ও চিন্তার পরিসরের ব্যাপ্তিই হচ্ছে তার বেতন নির্ধারণের মূল মাপকাঠি। সেক্ষেত্রে আবার এটাও বলা হতে পারে যে বেশি বেতনপ্রত্যাশী উচ্চ মেধার লোকরা এ পর্যায়ের চাকরিতে আসবেন না ধরে নিয়েই এক্ষেত্রে এমন নিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের চিন্তাভাবনাও গ্রহণযোগ্য নয়। তবে বাস্তবে তেমনটিই ঘটছে এবং এমন নিম্ন মেধার লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কারণেই শিক্ষার গুণগত মান আজ এতটা নিচে নেমে গেছে। অথচ যুক্তির বিচারে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়েই সবচেয়ে মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত যাতে তারা তাদের মেধাসম্পন্ন চিন্তাভাবনা দিয়ে ওই পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে একটি শক্তিশালী প্রাথমিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন।
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা হওয়ার বিষয়টি কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ যেটি জানেন না তা হচ্ছে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পাস করে বেরোনো স্নাতকদের মধ্যে যারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাচ্ছেন, তাদেরও বেশির ভাগ এ ধরনের বেতনই পাচ্ছেন। কারণ কর্ম সুযোগের তুলনায় কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার সুযোগে নিয়োগকর্তারা এ ধরনের নিম্ন বেতন দিয়েই তাদের বহাল রাখতে পারছেন, তা সেটি শ্রমশোষণের যত নিম্ন পর্যায়ের উদাহরণই হোক না কেন। আর ওই স্নাতকরা ওই নিম্ন বেতনেই যারপরনাই খুশি। কারণ সে জানে, ওই যোগ্যতা দিয়ে অনেকে এ চাকরও পাচ্ছেন না এবং নিম্ন বেতনের কারণে সে এটি ত্যাগ করলে অন্যরা তা লুফে নেবে। অন্যদিকে পোশাক খাতের ন্যায় অন্যান্য শ্রমঘন উৎপাদন খাতেও শ্রমিকদের বেতন পোশাক খাতের মতোই নিম্নবর্তী। আর সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, এসবের প্রায় কোনোটিতেই চাকরির কোনো স্থায়ী নিয়োগপত্র নেই। পদোন্নতি, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, গ্রাচুইটি, ভবিষ্য তহবিল, ইন্স্যুরেন্স, পেনশন ইত্যাদি তো নেইই, যেমন নেই গৃহকর্মীদেরও। গৃহকর্মীদের তবু ফাঁকে ফাঁকে কথা বলা, খানিক বিশ্রাম নেয়া কিংবা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানবিক আচরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক শ্রম খাতে সেসবের কোনো বালাই-ই নেই।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর সমাজের অন্যান্য শ্রেণী ও পেশার মানুষের ন্যায় পোশাক শ্রমিকরাও আশা করেছিলেন যে এবার হয়তো তাদের বঞ্চনা ও নিগ্রহের খানিকটা হলেও উপশম হবে। আর সে আশায় বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা যখন মাঠে নামল, তখন মালিকদের গতানুগতিক কণ্ঠের সঙ্গে কণ্ঠ ও সুর মিলিয়ে সরকারও বলতে শুরু করল যে, এসবই হচ্ছে পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র। তা এ সূত্রে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সরকারের মধ্যস্থতায় পোশাক খাতের শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে যে ১৮ দফা সমঝোতা হলো, যার মধ্যে একটি হচ্ছে ১০ অক্টোবরের ভেতর বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, সেগুলোর অধিকাংশ এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হলো না কেন? এগুলোও কি পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র? আসলে যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্রের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতাতেই এ দেশে শ্রমশোষণ চলে এসেছে এবং রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কার ব্যতীত সহসা এক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আর এটি শুধু যে পোশাক খাতের জন্যই প্রযোজ্য তা নয়, অন্যান্য উৎপাদন ও সেবা খাতের ক্ষেত্রেও তা সমান সত্য—এমনকি বেসরকারি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রেও এবং সর্বত্র তা প্রায় সমানভাবে প্রযোজ্য বলেই খোদ রাজধানীতে একজন স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী শিক্ষকের বেতন ৭ হাজার টাকা হতে পারে।
কারখানার শ্রমিক, অফিসের কর্মচারী কিংবা বিদ্যালয়ের শিক্ষক যার মজুরি বা বেতন নিয়েই আলোচনা করা হোক না কেন মূল বিষয় হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মালিক তার অধস্তনকে যেভাবেই হোক কম মজুরি বা বেতন দিয়ে অধিক লাভবান হতে চান। পুঁজি বিনিয়োগ করে বিনিময়ে মালিকের মুনাফা অর্জনে কারোরই কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মুনাফার পরিমাণটি যৌক্তিক কিনা। আর তার চেয়েও বড় কথা, অধস্তনকে আরো অধিক বা যৌক্তিক হারে মজুরি বা বেতন দিলে মালিকের মুনাফায় টান পড়বে কিনা। শ্রমের উৎপাদনশীলতা উন্নয়নসংক্রান্ত গবেষণার তথ্য বলছে যে শ্রমিককে বাড়তি হারে ন্যায্য মজুরি দিলে তাতে উৎপাদনশীলতা এবং সে কারণে মুনাফা দুই-ই বৃদ্ধি পায়। দেখা গেছে, শ্রমিকের ন্যূনতম প্রয়োজন ও সন্তুষ্টি বিধানের জন্য তার মজুরি যদি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা অন্তত ১২-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে শ্রমিকের বর্ধিত মজুরির পেছনে যদি ২ শতাংশও ব্যয় হয়, তাহলেও মালিকের মুনাফার খাতায় অতিরিক্ত ৩ শতাংশ যোগ হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মালিক পক্ষ এ সরল বিষয়টি কখনই এবং কিছুতেই বুঝতে চান না। তাদের কাছে বরং শ্রমিক ঠকিয়ে মুনাফার স্ফীতি ঘটানোই অধিক প্রাণপ্রিয় কৌশল, যা আসলে তাদের চিন্তার গভীরতার ঘাটতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
ওই একই কথা বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের জন্যও প্রযোজ্য। তারা যদি যুক্তিসংগত হারে উচ্চ বেতন দিয়ে মেধাবী স্নাতকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতেন, তাহলে ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানের যে ব্যাপক উন্নতি ঘটত, সেই সুনামই হতে পারত তাদের বাড়তি আয়ের অন্যতম কৌশল। কিন্তু সে পথে না হেঁটে তারা নামমাত্র বেতনে নিম্ন মেধার শিক্ষক নিয়োগ করে বস্তুত শিক্ষার মানেরই অবনমন ঘটাচ্ছেন, যার প্রকারান্তরিক নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পড়ছে পুরো রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার ওপর। আর মানহীন এ শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে জ্ঞান ও দক্ষতার ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটতি নিয়ে যে তরুণ-যুবারা কর্মবাজারে আসছে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতার প্রমাণ দিতে না পারা থেকেই বস্তুত তৈরি হচ্ছে শ্রমশোষণের প্রথম ধাপ। পরে অন্য নানা উসিলায় শোষণের সে ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে চতুর্দিকে এতটাই নানা পরিসর ও মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে যে তা থেকে বেরোনো এখন সত্যি কঠিন হয়ে পড়েছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের শ্রম খাত নিয়ে সারা পৃথিবীতেই এখন এমন একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে গেছে যে মনে হয় যেন শ্রমশোষণই এ খাতের মূল বৈশিষ্ট্য। তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত ও অপ্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্যের বিদেশী ক্রেতারা অহরহই বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগও এক্ষেত্রে কম নয় এবং সেসব অভিযোগের সঙ্গে কখনো কখনো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটিও) অভিন্ন সুরে কথা বলছে। মোট কথা, বাংলাদেশের শ্রম খাত ঘিরে শোষণের অভিযোগ এখন খুবই প্রকট, যদিও এসব অভিযোগের সবই ঢালাওভাবে সত্য নয়। এ দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের এমন বহু কারখানা গড়ে উঠেছে, যেগুলো পরিপূর্ণভাবে শ্রমশোষণমুক্ত। তদুপরি রয়েছে পরিবেশবান্ধব বহু সবুজ কারখানাও। কিন্তু শোষণ বৈশিষ্ট্যের প্রাধান্যের কারণে অন্যদের ভালো উদ্যোগগুলোর অধিকাংশই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের উচিত হবে ওইসব ভালো উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিতে আনার চেষ্টার পাশাপাশি শ্রমশোষণের ক্ষেত্রগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যাপারে আইনানুগ ও প্রেষণামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও নিয়োগদানকারী কর্তৃপক্ষগুলোরও উচিত হবে এ বিষয়গুলো উপলব্ধি করা যে শোষণমূলক মজুরি ও বেতন প্রথা মালিক-শ্রমিক সম্পর্ককে কখনই উচ্চ উৎপাদনশীলতার স্তরে নিয়ে যেতে পারে না এবং তাতে তাদের উভয়ের স্বার্থই বিঘ্নিত হয়। আসলে একটি টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন এমন এক ধরনের মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক যেখানে উভয়েই পরিতৃপ্ত ও লাভবান হবেন এবং তারা পরস্পরের স্বার্থ ও উন্নয়নের জন্য সম্পূরক ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকবেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যত দ্রুত উপলব্ধি করবেন ততই মঙ্গল এবং সে ধরনের মঙ্গল নিশ্চিত করতে পারাটা শুধু মালিক বা শ্রমিকের স্বার্থে নয়, রাষ্ট্র, সমাজ ও বিশ্বসম্প্রদায়ের জন্যও জরুরি।
আবু তাহের খান: সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), শিল্প মন্ত্রণালয়