জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ ১১ অঞ্চল

অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ দরকার

একটা সময় পর্যন্ত হয়তো জলবায়ু পরিবর্তনকে দৈব-দুর্বিপাক মনে করা হচ্ছিল কিন্তু ক্রমান্বয়ে এর দুর্বিষহ উপস্থিতি প্রকট হচ্ছে। আমরা তা টেরও পাচ্ছি। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন বর্ষাকালে হয়তো বৃষ্টির দেখাই পাওয়া যাবে না কিংবা শীতকালে বৃষ্টি বা বন্যা হবে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যা স্বাভাবিক কিন্তু তা মার্চ-এপ্রিলে হলে তো মোটেই স্বাভাবিক নয়। খরার কারণে ফসল

একটা সময় পর্যন্ত হয়তো জলবায়ু পরিবর্তনকে দৈব-দুর্বিপাক মনে করা হচ্ছিল কিন্তু ক্রমান্বয়ে এর দুর্বিষহ উপস্থিতি প্রকট হচ্ছে। আমরা তা টেরও পাচ্ছি। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন বর্ষাকালে হয়তো বৃষ্টির দেখাই পাওয়া যাবে না কিংবা শীতকালে বৃষ্টি বা বন্যা হবে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যা স্বাভাবিক কিন্তু তা মার্চ-এপ্রিলে হলে তো মোটেই স্বাভাবিক নয়। খরার কারণে ফসল নষ্ট হবে, গরমের সময় এতই গরম পড়বে যে মানুষ অসহায় বোধ করবে। এগুলো আগেও যে হতো না তা নয়, এখন এর প্রকোপ বাড়ছে। এতে কৃষিতে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাবে। অর্থাৎ চরম আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন জলোচ্ছ্বাস, যা আগে একটা নির্দিষ্ট সময়ে হতো তা এখন যেকোনো সময়ে হতে পারে। এমন জলোচ্ছ্বাস হতে পারে তা প্রতিরোধে আমাদের ব্যবস্থা নেই বা আমাদের তৈরি যে সাইক্লোন শেল্টারগুলো আছে তাদের সক্ষমতার বাইরে। সমুদ্রের পানি বেড়ে লবণাক্ততা বাড়বে।

জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ, সবাই যে যার মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে পরিবর্তিত ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া যায় বা অ্যাডাপ্টেশন করা যায়, ব্যাপারে অনেক নতুন আবিষ্কারও হয়েছে বা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং গবেষকরা বলছেন কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যা অপরিবর্তনীয় যার সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে চলতে হবে। প্রকৃতির ওপর মনুষ্যসৃষ্ট বিপদের ব্যাপকতা যা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনমানের ওপর প্রভাব ফেলছে; ঝুঁকি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা তো নিতেই হবে। ইন্টারগভর্ণমেন্টাল প্যানেল ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ব্যাপারে কাজ করছে। তাদের ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট শিগগিরই প্রকাশিত হবে, যেখানে আমরা আমাদের দেশের এবং অন্যান্য দেশের তথ্য জানতে এবং তারা কী কী ধরনের অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং তাতে কীভাবে উপকৃত হচ্ছে তা জানতে পারব। তাতে আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে।

বাংলাদেশেও ব্যাপারে অনেক মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান কাজ করছে এবং বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে যাতে এর মাত্রা কমে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর ওপর এলাকাভিত্তিক প্রভাব নির্ণয় করা হয়েছে। দেখা যায় উত্তর-পশ্চিম এলাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং শুষ্কতার কারণে এসব এলাকার কৃষির ক্ষেত্রে বিশেষ করে শস্য, পশুসম্পত্তি, মত্স্যজাত পণ্য, পানি, স্যানিটেশন, এনার্জি (শক্তি), স্বাস্থ্য ইত্যাদির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং লবণাক্ততার অনধিকার প্রবেশের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর একইভাবে কৃষি ক্ষেত্রে, জলাবদ্ধতা, সুপেয় পানির অভাব, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য এবং এনার্জির ওপর প্রভাব পড়বে।

একইভাবে বন্যার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, চর এলাকা যেখানে কৃষির সঙ্গে সঙ্গে পানি, শিল্প, অবকাঠামো, মানুষের বসবাসের জায়গা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ বাড়বে। অন্যদিকে সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক জোনে ফিশিং, অবকাঠামো, মানুষের বসবাস, পানি, স্যানিটেশন এবং জীবন এবং সম্পদের ওপর প্রভাব পড়বে। সামগ্রিকভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় কনজেশন বাড়বে বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে, শহরে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যার ফলে পানি (দিক-নির্ণয়), কৃষি (শস্য) ইত্যাদির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

এরই মধ্যে খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বা ন্যাপ প্রণীত হয়েছে যেখানে ১১টি জলবায়ু ঝুঁকি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো হলো সাউথ-ওয়েস্টার্ন কোস্টাল (যেমন সাতক্ষীরা, খুলনা), সাউথ-ইস্টার্ন কোস্টাল (যেমন চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী); চিটাগং হিল ট্রাক্টস (যেমন সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতিয়া); রিভার, ফ্লাড প্লেইন ভাঙনপ্রবণ এলাকা (যেমন সিরাজগঞ্জ); ফ্ল্যাশ ফ্লাড এরিয়া (যেমন সিলেট); খরাপ্রবণ বরেন্দ্র এলাকা (নওগাঁ); উত্তর এবং উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল (যেমন ঠাকুরগাঁও); চলনবিল এবং নিমাঞ্চল (যেমন উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল), চর এবং দ্বীপ, বে অব বেঙ্গল এবং সামুদ্রিক অঞ্চল এবং শহরাঞ্চল (যেমন ঢাকা)

অঞ্চল ভিত্তিতে রয়েছে চরম উষ্ণতা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদ-নদীসৃষ্ট বন্যা, নদীভাঙন, খরা, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস, তীব্র শীত, বজ্রপাত, শহরাঞ্চলের বন্যা এবং সমুদ্রের অম্লায়ন ইত্যাদির প্রকোপ দেখা যাবে, কিছু এখনই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সিলেটের দীর্ঘ বন্যা, বরিশালের বন্যা উল্লেখযোগ্য।

ন্যাপ প্রণয়নে স্থানীয় অভিযোজন প্রক্রিয়া কৌশলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ একটি জলবায়ুসহনশীল দেশে পরিণত করতে এতে ১১০টি কর্মকাণ্ড প্রস্তাব করা হয়েছে। ন্যাপ প্রণয়ন এর সফল বাস্তবায়ন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিতে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। চূড়ান্ত ন্যাপ স্থানীয় খাতভিত্তিক অভিযোজন চাহিদা নিরূপণ এর অর্থায়ন কৌশল নির্দেশ করার পাশাপাশি তা সফলভাবে বাস্তবায়নে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করবে।

এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসা দরকার। সেক্ষেত্রে একটি বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি যে তাদের বিনিয়োগ একাধারে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের অভিযোজন এবং মিটিগেশন এবং একই সঙ্গে সমাজের কল্যাণের ক্ষেত্রে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সুদৃঢ় সহযোগিতা এবং নীতি তৈরির ক্ষেত্রে মনোযোগ বিশেষভাবে দরকার।

এক তথ্যে দেখা যায়, আমেরিকাকে আগামী সেঞ্চুরি অর্থাৎ ২১০০ থেকে প্রতি বছর দুই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য। উন্নত দেশগুলো হয়তো ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবে, কিন্তু আমাদের কী হবে! আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিষয়ে নানা পরিকল্পনা হচ্ছে আগামী কপে ব্যাপারে আরো অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা আসতে পারে। এগুলো ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে সেগুলো সঠিকভাবে মেনে আমাদের প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাতে হবে। সেজন্য সঠিক তথ্য, ডাটা বিশ্লেষণ জরুরি। সবার আগে দরকার নিজের অবস্থানকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। তাই পরিবর্তনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

কৃষি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প, যা প্রায় এক বিলিয়নের অধিক মানুষকে কর্মসংস্থান করে এবং প্রায় দশমিক ট্রিলিয়ন ডলারের খাদ্য তৈরি করে, চারণভূমি এবং শস্যভূমি মিলে পৃথিবীর অর্ধেক বাসযোগ্য এলাকা দখল করে আছে, যা জনবসতি এবং খাদ্যের সংস্থান এবং সে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের জীববৈচিত্র্যেরও বাসস্থান।

কৃষি খাত যা আমাদের খাদ্য জোগায় সে দিকটায় নজর দেয়া বিশেষ জরুরি। সাম্প্রতিক হিট ওয়েভের কারণে ফ্রান্স বলছে তাদের শস্য উৎপাদন ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে। গমের উৎপাদন হ্রাস পেলে আমাদের বেশি দাম দিয়ে এগুলো কিনতে হবে। এরই মধ্য আমরা দেখেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্যশস্যের দাম কীভাবে বেড়েছে। জলবায়ুর বিষয়ে আমাদের তাই সচেতন হতে হবে এবং এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এর মোকাবেলা করা যায় এবং বেশি উৎপাদন অব্যাহত রাখা যায়। কেউ আবার বলছিলেন এই যে আমাদের এত বিখ্যাত পাট, আমরা যাকে আদর করে বলি সোনালি আঁশ, এর উজ্জ্বলতাও হ্রাস পেতে পারে। কারণ যে জলাশয়ে এগুলো ধোয়া হয় সেখানে পানিই হয়তো থাকবে না। এটা অবশ্যই সত্যি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ঝুঁকি আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

এটা মনে করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের এসব অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি নেয়া দরকার বেসরকারি খাতের, কিন্তু খাত বিষয়ে তেমন অবগত নয় অথবা অর্থের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় অভিযোজন কর্মকাণ্ড গ্রহণে আগ্রহী হতে এবং নতুন ধরনের জলবায়ুসহায়ক প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে না। এটি একটি আনন্দের বিষয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং জাতিসংঘের খাদ্য কৃষি সংস্থার সহায়তায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি খাতের গবেষণা সংস্থা জড়িত একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।

বেসরকারি খাত বিশেষভাবে মাইক্রো, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলো জলবায়ু বিষয়কে কীভাবে দেখে এবং বাংলাদেশভিত্তিক জলবায়ুসম্পর্কিত কর্মকাণ্ড এবং বিনিয়োগের ওপর তাদের কী ধরনের ধারণা একটি ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার তৈরি করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, বন ভূমি ব্যবহার খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকে অনুপ্রাণিত করার জন্য জাতীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, এগ্রো মেশিনারিজ, ফিশারিজ এবং লাইভস্টক খাতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

ধরনের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, এদের বেশির ভাগ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আশঙ্কাকে খুব একটা বড় কিছু মনে করছেন না। তবে তারা বলেছেন এলাকাভেদে এর প্রভাব বিভিন্ন যেমন কোনো এলাকায় হয়তো বন্যার প্রকোপ বেশি আবার কোনো এলাকায় খরার প্রভাব বেশি। কারণে জাতীয় নীতিমালায় এলাকাভিত্তিক প্রশমন পরিকল্পনা করা দরকার। উদ্যোক্তারা বলেছেন, কৃষি খাত যদিও অনেক যান্ত্রিকায়ন হয়েছে তদুপরি প্রকৃতির ওপর নির্ভরতা কমানো সম্ভব হয়নি যে কারণে যারা এগ্রো মেশিনারি তৈরি করেন তাদের মতে তারা সারা বছর তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন না। বরং তাদের উৎপাদনে থাকতে হয় সারা বছর কিন্তু বিক্রয় কর্মকাণ্ড যেকোনো জলবায়ুজনিত কারণে কমে যায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সাধারণত ঋণ নিয়ে যন্ত্র কেনে কিন্তু উঁচু হারে বিদ্যুৎ বিলের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া এগ্রো শিল্পগুলো কোন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের উদ্যোগ সামনে নিয়ে যাবে ব্যাপারে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়। শিল্প হিসেবে তাদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বা মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, কিন্তু তাদের বক্তব্য খাতের দেখভালের দায়িত্ব কখনো কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে, কখনোবা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রেফার করা হয়। ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা প্রয়োজন।

কৃষিকে সবচেয়ে বড় শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এখনই এমন নীতিমালা দরকার যার মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা, জলবায়ু ঝুঁকি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, উৎপাদনশীলতা ধরে রাখা যায়। আমরা জানি কৃষি খাত প্রায় ৪১ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। তাই খাতকে আমাদের যেভাবেই হোক সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হবে।

 

ফেরদাউস আরা বেগম: প্রধান নির্বাহী, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং, ডেভলপমেন্ট (বিল্ড)

আরও