বাংলার বাইশ কবি রচিত ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে দেখা যায় যে চাঁদপুত্র লখিন্দরকে প্রবল সুরক্ষা দিয়ে লোহার বাসরে রাখার পরও তাকে বাঁচানো গেল না। সদ্যবিধবা বেহুলার বিলাপজড়িত প্রশ্ন ছিল—‘কি সর্পে দংশিলো আমার লখাইরে।’ কবি বিজয় সরকারের এক গানের কথায়, ‘কি সাপে কামড়ালো আমারে, ওরে ও সাপুড়িয়া রে/ জ্বলিয়া পুড়িয়া মইলেম বিষে।’ জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের অপ্রত্যাশিত বিদায়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে ‘কি সাপে কামড়ালো’ এত সুরক্ষিত এ ক্ষমতাধর দলের রাজত্বকে। কেউ বলছেন ‘ফ্যাসিবাদ’, কেউ বলছেন ‘সীমাহীন দুর্নীতি’।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্ভবত আওয়ামী সরকারের পতনের প্রধান কারণ যে আর্থিক অব্যবস্থাপনা তা ধরতে পেরেছেন। তাই একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশবাসীকে। এ সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে তিনি এমন কথা বলেছেন। আওয়ামী সরকারের পতনের মূল হেতু হিসেবে শুধু ‘ফ্যাসিবাদ’ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। আসলে বোঝানো হচ্ছে রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্র—যা পতনের মূল কারণ নয়। রাজনৈতিক বা নির্বাচনগত স্বৈরতন্ত্রই যদি আওয়ামী পতনের মূল কারণ হতো তাহলে ২০১৪-এর পরই সরকারকে বিদায় নিতে হতো।
এ পল্লীপ্রধান বাংলাদেশে গ্রামে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে দেখুন মানুষ ‘ফ্যাসিবাদ’ বোঝে কিনা। কিন্তু তারা মূল্যস্ফীতির দহন হাড়ে হাড়ে টের পান। বেকারত্বের যন্ত্রণা অনুধাবন করেন। ধনিকতুষ্টির কুনীতিপ্রবণ এ ব্যর্থ অর্থনীতির সর্পই আওয়ামী সরকারকে ‘দংশন’ করেছে। বর্তমান সরকারকেও যেন একই সাপে না কামড়ায় সেজন্যই মজবুত অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি। আর্থিক অব্যবস্থাপনা, রাজনীতিকদের লজ্জাহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার টিকিট ভাঙিয়ে কিছু মানুষের সম্পদস্ফীতি ও অর্থ পাচারই জনতার মধ্যে মূল ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। তাই আওয়ামী লীগের অধিকাংশ লোকরাও গত সরকারের বিপক্ষে গিয়েছিল। কারণ সাধারণ সমর্থকরা চোখের সামনে দেখেছে কীভাবে পাতিনেতা থেকে শুরু করে হাতিনেতারা সম্পদ গড়ছে এবং বাইরে পাঠাচ্ছে। বাঙালির পরশ্রীকাতরতার গুণটি এক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল। অবশ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার স্বভাবটিও মধ্যবিত্ত বাঙালির মানসপটে আসীন।
গণতন্ত্রের শপথে তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা একটি দল শেষ পর্যন্ত ‘দরবেশতন্ত্র’-এর আরাধনায় নিমজ্জিত হয়ে ব্যাংক খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছিল। এখনো এ খাত আইসিইউতে আছে। ধনিকতুষ্টির ব্রত সব রাজনৈতিক দলেরই থাকে। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সহায়তায় মাত্র ডজনখানেক অলিগার্ককে কোষাগার লুণ্ঠনের লাইসেন্স প্রদানের মহোৎসবে পরিণত হয়েছিল। পুঁজিলুণ্ঠককে ব্যক্তিপুঁজির উপদেষ্টা বানানো এবং খ্যাতিমান অর্থ পাচারীকে দেয়া হয় অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। এসব সিদ্ধান্ত কোনো অসতর্কতা থেকে করা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এটি করেছিলেন সুচিন্তিতভাবেই যেন রাক্ষসকুল অবাধ ভক্ষণকর্ম চালিয়ে যেতে পারে এবং প্রয়োজনে দলকে তহবিল জোগাতে পারে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় গুণহীন-মানহীন অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বসানো হলো যেন তারা অভ্যাসগত আনুগত্যের দ্বারা এ ক্ষমতাসীন ব্যবসায়ীদের ইচ্ছাপূরণে সহায়তা দিতে পারে। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে শুরু করে বিচার বিভাগ সবই নেমে পড়ল খেলাপি ও পাচারীদের সুরক্ষাদানের সেবায়। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে ব্যবসায়ীদের দখলদারত্ব আইন বিভাগকেও তাদের ক্লাবে পরিণত করেছিল। আইন, বিচার ও শাসন—এ তিন বিভাগের সহায়তায় ধনিকতুষ্টি ও বানিয়াগোষ্ঠীর লুণ্ঠনের কাজ এত প্রবল ছিল বলেই বাংলাদেশ ধনিক বৃদ্ধির আনুপাতিক হারে উপমহাদেশে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আয়বৈষম্য ছিল বেসামালভাবে বর্ধমান, যা বিদ্যমান সামাজিক কাঠামোর জন্য এক অস্থিরতার উৎপাদক হিসেবে কাজ করেছিল। গণ-অভ্যুত্থান এসবেরই সম্মিলিত অগ্ন্যুৎপাত।
আওয়ামী পতনের সঠিক কারণ না জানলে সংস্কারের সঠিক রোডম্যাপ পাওয়া যাবে না। জন-আকাঙ্ক্ষা না বুঝলে হাজার মানুষের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে। ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা নিয়ে তাত্ত্বিকদের বিতর্কের মাঝে যদি অর্থনীতি দুর্বলতর হয় তাহলে সরকারের টিকে থাকা কঠিন হবে। জনপ্রিয়তা কমবে, গণ-অধৈর্য বাড়বে। তখন জয় থাকতে ভঙ্গ দিতে হবে। সরকারপ্রধানকে ধন্যবাদ যে তিনি জনতার মূল চাহিদা বুঝতে পেরেই একটি মজবুত অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দার্শনিক কার্ল মার্ক্স বলেছেন যে অর্থনীতিই সমাজের অন্যান্য সব উপাদানের নির্ধারক। ভয়ে ভয়ে মার্ক্সের নাম বললাম। এখনো তিনি নিষিদ্ধ হননি কিংবা বিমানবন্দরে এ নাম উচ্চারণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ সম্ভবত আসেনি। যেকোনো গণ-অভ্যুত্থানে মার্ক্স, রুশো, মাও, লেনিন—এদের শিক্ষা অবিকল্পনীয়। তাদেরও ভাষায় অর্থনীতি সবার আগে ঠিক করতে হবে। এ মজবুত অর্থনীতির মূল বুনিয়াদ রচনা করবে বিনিয়োগ। এবার আমরা দেখব কীভাবে এ সময়ে দেশের বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব।
কথায় বলে, ঘোড়াকে জোর করে নদীতে নামানো যায়, কিন্তু পানি খেতে বাধ্য করা যায় না। বিনিয়োগের বিষয়টিও সে রকম। সরকার বাধ্য করতে পারে না। বিনিয়োগ না বাড়লে নিয়োগ বাড়ে না। বাড়ে বেকারত্ব ও সামাজিক অস্থিরতা। উৎপাদন কমে যায় ও অর্থনীতিতে সংকট বাড়ে। ব্যক্তি বিনিয়োগ জিডিপির শতকরা ২৪ ভাগে আটকে আছে যা আরো কমতে পারে। এর সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগ যুক্ত হয় জিডিপির শতকরা ৫-৬ ভাগ যা বর্তমানে অপ্রতুল রাজস্ব ও কিঞ্চিৎ অকার্যকর আমলাতন্ত্রের কারণে আরো কমে যেতে পারে। সে কারণেই বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছর মাত্র ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছে। আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের ‘আউটলুক’ ঋণাত্মক করে দিয়েছে, যা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে।
এদিকে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি গণমানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে প্রকৃত ভোগ কমিয়ে দিয়েছে। ভোগ জিডিপির ৬০-৬৫ ভাগ। এটি হাতির মতো ধীরে চলে। থামতে বললেও থামতে চায় না। অর্থনীতিতে মূল তেজি ভাব সৃষ্টি করতে পারে বিনিয়োগ, যা ঘোড়ার মতো চলে। কখনো থেমে যেতে পারে। আবার কখনো উদ্দামগতিতে ছুটতে পারে। জন মেনার্ড কেইনস এটিকে বলেছেন ‘অ্যানিমেল স্পিরিট’। একে চাঙ্গা করাই সরকারের কাজ। ঘোড়দৌড়ে আমরা দেখেছি যে অনেক ভালো ঘোড়াও পেছনে পড়ে যায়। ওর মর্জি ভালো থাকে না বলে। এ মর্জি ভালো থাকার কাজটি সরকারকে করতে হয়। বর্তমান সরকারের এ জায়গায় বেশকিছু বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে, যা মজবুত অর্থনীতির পূর্বশর্ত তৈরি করে না।
‘দরবেশতন্ত্রের আদর্শে’ উজ্জীবিত গত সরকারের সুদনীতিতে নয়-ছয়ের গোয়ার্তুমি শেষতক মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। সেই পাপের ফল এখন আমরা ভোগ করছি বলে বিলম্বিত উচ্চ সুদহারের যন্ত্রণা বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে। বড় ঋণ এখন দেয়া ঠিক হবে না। মাঝারি ও ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতারা উচ্চ সুদে ঋণ নিলে পথে বসবে। কথায় বলে, দানশীলতা শুরু হয় ঘর থেকে। বিনিয়োগের বিষয়টিও তাই। ঘরের লোকরা বিনিয়োগ না করলে পরের লোকরা আসবে না। ৫ আগস্টের পর ঘরের বিনিয়োগকারীরা দমে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায় যে বিদেশ থেকে এ বছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মূলধনি পণ্যের আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলওসি) খোলার পরিমাণ কমে শতকরা ৪১ ভাগ। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা তাদের ‘পর্যবেক্ষণ কাল’ পার করছেন, যা বিনিয়োগ কমিয়ে একটি মজবুত অর্থনীতির নির্মাণকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে।
‘উন্নয়নের সরকার/বারবার দরকার’ স্লোগানদাতা ধুরন্ধর ব্যবসায়ীরা কেউবা এখন দৌড়ের ওপর, কেউবা শ্রীঘরে। বাকিরা ‘সরকার কোন দিকে যাবে’ এ নিয়ে বিভ্রান্ত। এক-এগারোর সরকারের পরও এ রকম পরিস্থিতি ঘটেছিল। তবে বর্তমান অবস্থা তার চেয়েও অনিশ্চিত, যা সরকার নিজেই কিছুটা সৃষ্টি করেছে। এক-এগারোর সরকার ক্ষমতায় আসার পর টাইম ম্যাগাজিন বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে যে শিরোনাম দিয়েছিল তা হলো ‘টু ইয়ার্স
টু ডেমোক্রেসি’। অর্থাৎ বিষয়টি স্পষ্ট ছিল যে দুই বছর বাদে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফেরাবে সরকার। ‘টাইম’ সাময়িকী এ বিষয় স্পষ্ট করেছিল যে সেই সরকারের পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনী। বর্তমান সরকারের পেছনেও সেনাবাহিনী হয়তো পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। কিন্তু বহির্বিশ্বে তা স্পষ্ট নয়। এ সরকার কখনো সাংবিধানিক, কখনো বিপ্লবী, কখনো দীর্ঘস্থায়ী, কখনো ‘এই বুঝি নাড়ি পড়ে যায়’। ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে’—এটি এখনো গোলকধাঁধা। এ বিষয়গুলো শুধু অস্পষ্টই নয়, মাঝে মাঝে শঙ্কাজনকও বটে। এর মধ্যে বিনিয়োগের কীর্তন চলে না। বিনিয়োগের চাকা না ঘুরলে অর্থনীতি ‘মজবুত’ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বিনিয়োগ কম হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে মুনাফা কমে যায় এবং সরকারের রাজস্বও কমে যায়। এতে বাজেটের সংস্থানে আবার ব্যাংক ঋণের ওপর চাপ বাড়বে। কিন্তু ব্যাংক তো টাকা দিতে পারবে না। অনেকগুলো ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকাই দিতে সক্ষম নয়। অধিকাংশ ব্যাংকের নতুন করে ঋণ দেয়ার ক্ষমতা নেই। ব্যক্তি খাতের ঋণপ্রবাহ না বাড়লে প্রবৃদ্ধি বাড়ে না। কম প্রবৃদ্ধির আমলে সরকারের পক্ষে বাইরে থেকে ঋণগ্রহণও এক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে গণ্য হবে।
অর্থনীতিবিদ মরিস অবস্টফেল্ড ও কেনেথ রৌগফ তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন যে কোনো দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে গেলেও আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের সুদহার কমবে এমন কথা নেই। এতে ওই দেশের ঋণ-জিডিপির হার পূর্বাপেক্ষা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আওয়ামী আমলে পুঞ্জীভূত বিদেশী ঋণের উচ্চ মাত্রার কালপর্ব পেরিয়ে নিম্ন প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ বর্ধমান ঋণ-জিডিপির চাপে পড়েছে, যা অর্থনীতিকে মজবুত হতে সাহায্য করবে না। লেনদেনের ভারসাম্যে আর্থিক হিসাব গত সরকারের আমলে রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। আজও সে অ্যানিমিয়া কাটেনি। ফলে রিজার্ভ ক্রমাবনতির ফাঁদ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। এ উৎকণ্ঠা না কাটলে অর্থনীতি ‘মজবুত’ হবে না।
২০ নভেম্বর নাগাদ রিজার্ভ নেমেছে সাড়ে ১৮ বিলিয়নে, যা আশাব্যঞ্জক নয়। বর্ধিত রফতানি, উচ্চ প্রবৃদ্ধির রেমিট্যান্স ও ‘কষিয়ে নামানো’ আমদানির পরও রিজার্ভ খুব একটা ওপরে তোলা যাচ্ছে না। এ রকম অস্বস্তির রিজার্ভ অব্যাহত থাকলে অর্থনীতি মজবুত হবে না। কারণ মনমতো মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল না আনলে অর্থনীতির গতিময়তা ফিরবে না। অবশ্যই আজকের এ অবস্থার জন্য পূর্ববর্তী সরকার মূলত দায়ী। কিন্তু নবযুগের বাতাসও বিনিয়োগের পালে লাগছে না যেটি নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর লেগেছিল। কারণ তখন রোডম্যাপ ছিল পরিষ্কার।
এত অস্থিরতা নব্বইয়ের অভ্যুত্থানোত্তর অস্থায়ী সরকার দেখায়নি। আইন-শৃঙ্খলাও ভালো ছিল। নবযুগের চাঁদাবাজি এতটা প্রবল ছিল না। উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে একটা ঐকতান ছিল, যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। আজ উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে তিন রকম রাগরাগিণী বের হচ্ছে। এজন্যই প্রধান উপদেষ্টার কথায় এত বৈপরীত্য দৃশ্যমান যা পরিবেশকে আরো অনিশ্চিত করে তুলছে। সরকারের সংস্কারগত মনোভাবের দোদুল্যমানতা ও নিজেদের বাচনিক স্ববিরোধিতা না কাটালে অস্থিরতা কাটবে না। এ অস্থিরতায় বিনিয়োগ না বাড়লে ‘মজবুত অর্থনীতির’ প্রতিশ্রুতি এক অতৃপ্ত স্বপ্নই থেকে যাবে।
ড. বিরূপাক্ষ পাল: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ড-এ অর্থনীতির অধ্যাপক