ভূরাজনীতি

ইসকন, ভারতীয় মিডিয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তর্ঘাত

কিছু ভারতীয় টিভি ও নিউজ মিডিয়া ২০২৪-এর ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে সাংবাদিকতা ভুলে প্রপাগান্ডা মেশিনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিয়ে কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রচার-প্রচারণা

কিছু ভারতীয় টিভি ও নিউজ মিডিয়া ২০২৪-এর ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে সাংবাদিকতা ভুলে প্রপাগান্ডা মেশিনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিয়ে কিছু ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রচার-প্রচারণা দেখলে মনে হবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর গণহত্যা শুরু হয়ে গেছে। ফার্স্টপোস্টের পালকি শর্মা, রিপাবলিক টিভির ময়ুখ চৌধুরীর সংবাদ পরিবেশনা দেখলে মনে হবে সমান্তরাল আরেকটা পৃথিবীতে বাংলাদেশ নামে আরেকট দেশ আছে, যেখানে হিন্দুদের মেরেকেটে ছারখার করে দেয়া হচ্ছে।

  • তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর যে কোনো হামলা হয়নি, তাও সত্যি নয়। অবশ্যই বেশকিছু নাশকতামূলক আক্রমণের শিকার হিন্দু জনগোষ্ঠী হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত হামলার শিকার সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৬৮। সংখ্যাটি অনেক মনে হলেও এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০৬টি স্থাপনার মালিক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। গত ১৬ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ নিপীড়কদের সহযোগীদের ওপর মূলত হামলা চালিয়েছে। বাকি অনেকগুলো আক্রমণও দেখা যাবে আওয়ামী রাজনীতির মদদপুষ্ট হিন্দুদেরই আক্রমণ করা হয়েছে। শুধু হিন্দু হওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার কথা। এছাড়া একই প্রতিবেদনে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
  • এর আগে বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালে দুর্গা পূজার সময়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সে বছর দেশের ২৭টি জেলায় হামলায় ১১৭টি মন্দির-পূজামণ্ডপ ভাংচুর করা হয়। ৩০১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে হামলা হয়। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নিহতের চেয়ে ২০২১ সালে নিহতের সংখ্যা বেশি ছিল, ৯ জন।
  • কিন্তু সেই রকম নিখাদ সাম্প্রদায়িক হামলার সময়ে আমরা ভারতীয় মিডিয়ার এমন লাফ-ঝাঁপ দেখিনি। অথচ ৫ আগস্টের পর থেকে যেন বাংলাদেশের যেকোনো বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় আগুন জ্বলছে। এর একটা বড় কারণ হলো যে ভারতীয় মিডিয়ার একটা বড় অংশকে মোদির প্রশাসন ভয়-ভীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৌশল বা অপকৌশলে দখল করে নিয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। ফলে বেশির ভাগ মিডিয়াই মোদির রাজনৈতিক বয়ান প্রচারে ব্যস্ত থাকে। সেই হিসেবে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ প্রজেক্ট চরমভাবে ব্যর্থতার মুখ দেখায় সেটা মোদির জন্য এক বড় পরাজয়। সেই পরাজয়ের গ্লানি আর আক্রোশ থেকেই ‘গদি’ মিডিয়ার এ উল্লম্ফন।
  • এ রকম পরিস্থিতিতে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আগুনে ঘি ঢেলে দিল। এটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। হ্যাঁ এটা মানা যেত যদি সত্যি চিন্ময় এমন কোনো কাজ করত যে যেখানে গ্রেফতার না করে উপায় ছিল না। কিন্তু যে রকম মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা খুব একটা ধোপে টেকে না। অক্টোবরের ২৫ তারিখে চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণী জোট এক মহাসমাবেশে চিন্ময় বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানে গেরুয়া পতাকা বাংলাদেশের পতাকার ওপরে ছিল এবং এতে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে বলে একটা রাষ্ট্রদোহ মামলা করেন ফিরোজ খান বলে বিএনপির একজন নেতা। এ মামলা করার সময় ফিরোজ খান বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনো অনুমতি নেননি বলে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুধু তা-ই নয়, রাষ্ট্রদোহ মামলা করতে গেলে আগে রাষ্ট্রের অনুমতি নিতে হয়। যে কেউ জামাল কামাল যদু মধু এসে সেই মামলা করতে পারে না।
  • এ রকম একটা গোলমেলে মামলা দিয়ে যখন চিন্ময়কে গ্রেফতার করা হলো স্বাভাবিকভাবেই সেটা ভারতীয় মিডিয়ার হাতে একটা তুরুপের তাস হয়ে উঠল। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের আরেকটি ভয়ংকর নমুনা হিসেবে সেটাকে উপস্থাপন করা শুরু করা হলো যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে ফালতু অজুহাতে রাষ্ট্রদোহের মতন গুরুতর মামলা দিয়ে তাদের ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
  • শুধু তা-ই নয়, এরপর যখন চিন্ময়কে আদালতে তোলা হলো সেখানেও তাকে জামিন দেয়া হলো না। গ্রেফতার করে যেই ভুল করা হয়েছিল সেটা আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়া হলো। আর জামিন না দেয়ার পরবর্তী ঘটনা আমরা সবাই জানি। আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময়ের সমর্থক আর পুলিশের সংঘর্ষ আর পরবর্তীকালে কিছু সন্ত্রাসীর হাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হলেন, যে সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই হিন্দু।
  • এই যে এই নিরীহ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হলেন এর দায় যেমন ওই সন্ত্রাসীদের, তেমনি কিছুটা দায় অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এড়াতে পারে না। চিন্ময়কে গ্রেফতার করার মতো কোনো জোরালো কারণ ছিল না এবং ভুলক্রমে গ্রেফতার করলেও সেই ভুল জামিন দিয়ে শোধরানোর সুযোগ ছিল। সেটাও তারা করেনি। তাই এই অহেতুক প্রাণ হারানোর দায় এ সরকারকেও নিতে হবে।
  • আর এদিকে ভারতীয় মিডিয়া সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে প্রথমেই প্রচার করল যে সাইফুল ইসলাম চিন্ময় দাসের আইনজীবী ছিল এজন্য ইসলামী জঙ্গিরা তাকে খুন করেছে। এরপর সমালোচনার মুখে তারা কেউ কেউ খবর পাল্টায়। কিন্তু অপপ্রচার বিন্দুমাত্র থামেনি। মূলত সাইফুল ইসলাম যে হিন্দু সন্ত্রাসীদের তারা নিহত হয়েছেন সেই খবরটি তারা বেমালুম চেপে গিয়ে প্রচার করে যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন।
  • ভারতীয় মিডিয়ার এ মিথ্যাচার উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সমর্থকদের উসকে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পশ্চিম বাংলার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের পান্ডাদের নিয়ে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহড়া দেয় গত সপ্তাহে। বাংলাদেশের সঙ্গে সব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে হুমকি দেয় যে বাংলাদেশকে তারা ভাতে মারবে। এরপর তারা বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে যেয়ে বিশাল সমাবেশ করে যার ফলে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। একদল আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে সরাসরি আক্রমণ চালিয়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনা ঘটায়, যেটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন।
  • তবে এই যে এত হইচই সেই চিন্ময় দাসের গ্রেফতার নিয়ে কিন্তু এই ব্যক্তি যে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে সেটা কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয় মিডিয়া পুরোপুরি চেপে গেছে। যে দুই-একটা তাও বলেছে, তাদের বক্তব্য হলো যে এটা ভুয়া খবর, কারণ এ নিয়ে একটা ভুয়া ভিডিও বের হয়েছিল। কিন্তু বিন্দুমাত্র সাংবাদিকতার সততা থাকলে তারা উল্লেখ করত যে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান দৈনিকে প্রচার হয়েছে যে চিন্ময় দাসকে ইসকন বাংলাদেশ গত জুলাইয়ে বহিষ্কার করেছে। তার আগে, ২০২৩-এর অক্টোবরে ইসকনের যুক্তরাজ্যে অবস্থিত আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা কার্যালয় থেকে একটা চিঠি ইস্যু হয়, সেই চিঠির কপিও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সেখানে স্পষ্টত চিন্ময় দাসের ওপর বেশ কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেখানে বলা হয় চিন্ময় কোনো ব্যবস্থাপনা বা নেতৃত্বের পদে থাকতে পারবেন না। ১৮ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ইসকনের পদধারী ব্যক্তির উপস্থিতি ছাড়া ইসকনের কোনো সম্পত্তিতে রাত যাপন করতে পারবেন না।
  • ইসকন বাংলাদেশের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে যখন এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো জানাচ্ছিলেন তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান যে কয়েকজন শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তার মানে হলো চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে শিশুদের সঙ্গে অসদাচরণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং সেটা প্রমাণিত হয়েছে, না হলে নিশ্চয়ই তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতো না। চিন্ময় দাস ২০২৩-এর অক্টোবরে ওঠা তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আসছিলেন। এর ফলে ২০২৪-এর জুলাইয়ে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু এসবই—নিষেধাজ্ঞা এবং পরবর্তী সময়ে বহিষ্কার—হয়েছে খুবই গোপনে। মাত্র ২০২৪-এর অক্টোবরে এসে ইসকন বাংলাদেশ স্বীকার করেছে যে চিন্ময় ইসকন থেকে বহিষ্কার। কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা এতদিন ধরে একজনের বিষয়ে যার বিরুদ্ধে শিশুদের সঙ্গে অসদাচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে।
  • তাই চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত দ্রুত শুরু করা উচিত। সেই সঙ্গে ইসকন বাংলাদেশের আইনি কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দেয়া উচিত কেন এ তথ্য এতদিন গোপন রাখা হয়েছে। হ্যাঁ তারা সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে, কিন্তু তার পরও তো চিন্ময় কোনো নির্দেশ মানেননি। তার মানে এর পরও তিনি আরো কিছু শিশুর ওপর নির্যাতন যে চালাননি তার গ্যারান্টি কী?
  • শুধু তাই না, ইসকন থেকে বহিষ্কারের পর তিনি সম্মিলিত সনাতনী জাগরণী সংঘের নেতা বনে যান। এখন স্বাভাবিকভাবেই এ সংঘের নেতাদের প্রতি কিছু প্রশ্ন ওঠে। বাইরের মানুষ হয়তো জানত না, কিন্তু এনারা তো জানতেন যে চিন্ময়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের গুরুতর অভিযোগ আছে। তার পরও কী করে তাকে নেতা বানিয়ে লাখ লাখ সনাতনীদের সমাবেশে তাকে উপস্থাপন করা হলো? এ রকম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে তিনি এর মধ্যে আরো কিছু শিশুকে নির্যাতন করেননি তার কোনো গ্যারান্টি আছে? আর আসলেই তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এ অপরাধের দায়ভার অন্য হিন্দু নেতাদের ওপর পড়বে না কেন?
  • আরেকটা বিষয়, আওয়ামী লীগের আমলে যখন হিন্দুদের ওপর বড় বড় নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তখন কিন্তু এ নেতাদের এ ধরনের মহাসমাবেশ আয়োজনের তেমন কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। উল্টো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যান গত বছরের জুনে এসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বাইডেনের কাছে চিঠি দেয় তখন উল্টো হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা পাল্টা বিবৃতি দেয় আমরা খুব ভালো আছি, এসব মিথ্যা প্রচারণা।
  • যেকোনো ভায়োলন্সের ঘটনাই নিন্দনীয়, তার পরও বলছি হাসিনার আমলে যেসব ভয়ংকর নিপীড়ন হিন্দুদের ওপর ঘটেছে আগস্টের ৫ তারিখের পরে সেই ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটেনি, যা ঘটেছে তা বেশির ভাগই রাজনৈতিক। তার পরও দেখা যাচ্ছে একের পর এক হিন্দু সম্প্রদয়াকে উত্তেজিত করে একের পর এক মহাসমাবেশ আর সেই সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়ার উন্মাদনা তো রয়েছেই।
  • শুধু তাই না, খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নয়জনের মতো সনাতনী ভাই-বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এই পুরো জুলাই ম্যাসাকার নিয়ে এ হিন্দু নেতারা একটা বক্তব্য পর্যন্ত দেননি, এমনকি হিন্দু যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য একটা সমবেদনাও তারা প্রকাশ করেননি।
  • তাই কিছু হিন্দু নেতা প্রকৃতপক্ষে তাদের কমিউনিটির জন্য কাজ করছেন নাকি ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দোসর ভারতের হয়ে কাজ করছেন এটা বোঝা মুশকিল। এসব নেতাকে চিহ্নিত করে তাদের নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করার কাজ সাধারণ সনাতনী ভাই-বোনদের করতে হবে।
  • তবে শুরুতে যেটা বলেছি সেটা আবার বলি, চিন্ময় ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারেরও একটা বড় দায় আছে। রাষ্ট্রদ্রোহ নাম দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নমূলক মামলা গত ফ্যাসিস্ট রেজিমে আমরা অনেক দেখেছি। এই অত্যাচারী নিপীড়ক শাসন শেষ হওয়ার পর আবার কেন সেই নিপীড়কের অস্ত্র ব্যবহার করে মামলা বা গ্রেফতার করা হচ্ছে এর একটা সদুত্তর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা চাই।
  • নতুন বাংলাদেশ গড়তে গেলে আমাদের সব ধর্মের মানুষদের মধ্যে সম্প্রীতি খুব জরুরি। কিন্তু যারা এ সম্প্রীতির পথে ষড়যন্ত্র করছে, সে যেই ধর্মেরই হোক না কেন তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

নতুন বাংলাদেশ হোক সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব লিঙ্গের মানুষের।

ড. রুশাদ ফরিদী: শিক্ষক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরও