কৃষি ভাবনা

বোরোর ভালো উৎপাদন মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সহায়ক হবে

ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। এ দেশে ধান উৎপাদন হয় তিনটি মৌসুমে। এগুলো হলো আউশ, আমন ও বোরো। উৎপাদনের পরিমাণ বিচারে বোরো শীর্ষে। তারপর রয়েছে যথাক্রমে আমন ও আউশ।

ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। এ দেশে ধান উৎপাদন হয় তিনটি মৌসুমে। এগুলো হলো আউশ, আমন ও বোরো। উৎপাদনের পরিমাণ বিচারে বোরো শীর্ষে। তারপর রয়েছে যথাক্রমে আমন ও আউশ। একসময় আমন ও আউশ ছিল ধানের প্রধান মৌসুম। বোরোর মৌসুম ছিল কম গুরুত্বপূর্ণ। হাওর, বিল ও অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলে এর আবাদ ছিল সীমিত। কিন্তু আধুনিক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ফলে বোরোর আবাদ ক্রমাগতভাবে বেড়ে যায়। হ্রাস পায় ঝুঁকিপূর্ণ আউশ ও আমনের আবাদ। বোরো ধানের মৌসুম অনেকটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ। এ ধান সেচনির্ভর, আধুনিক উপকরণের প্রতি সংবেদনশীল এবং এর ইউনিটপ্রতি ফলন বেশি। কৃষকের লাভও বেশি। ফলে বোরো ধান চাষে এখন কৃষকদের অগ্রাধিকার। উঁচু, নিচু ও সমতল সব রকম জমিতেই চাষ হয় বোরো ধান। মোট ধানের প্রায় ৫৪ শতাংশই উৎপাদিত হয় বোরো মৌসুমে। আমন ও আউশের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৯ ও ৭ শতাংশ। অতএব দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও বাজারে খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীলতার জন্য বোরো ধানের ভালো উৎপাদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।

এবার বোরোর আবাদ হয়েছে ৫০ দশমিক ৪৫ লাখ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ২৬ লাখ টন। বছরের শুরুতে খরা ও পরে বন্যার কারণে এবার আউশ ও আমনের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল বোরোর উৎপাদন বৃদ্ধির। তবে উপকরণের উচ্চমূল্য, পানি সেচের বিভ্রাট, সাম্প্রতিক খরা ও ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে তাদের প্রচেষ্টায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। তবু সারা দেশে মাঠের অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বোরোর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। গত বছর বোরোর উৎপাদন ছিল ২ কোটি ১০ লাখ টন চাল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২ কোটি ৭ লাখ টন। এবার বোরোর উৎপাদন হতে পারে ২ কোটি ১২ লাখ টন চাল। এরই মধ্যে হাওর, বিল ও অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলে আবাদকৃত আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। সামনের মে মাসের মধ্যভাগ নাগাদ সমতলের ধান কাটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। আগাম বন্যা, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি থেকে মাঠের ধান নিরাপদ থাকলে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। তাতে আগামী আমন ধানের মৌসুম আসা পর্যন্ত খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। চালের মূল্যবৃদ্ধি অনেকটা থেমে যাবে। এতে কমবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এর পেছনে রয়েছে এবারের খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিজনিত উৎপাদন হ্রাস। বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি ও মূল্যবৃদ্ধি। গত নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা নেমে আসে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশে। গত মার্চে তা আরো কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশে। শীতকালীন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, শাকসবজির মূল্যহ্রাস এবং আলু-পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দরপতন এর প্রধান কারণ। সামনে বোরো ধানের চাল বাজারে এলে এর দাম কমবে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরো শিথিল হয়ে আসবে। তবে এক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তদারকি জোরদার করতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও সিন্ডিকেটের কারসাজি থামাতে হবে। বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ আরো দৃশ্যমান ও কার্যকর করতে হবে।

বোরো উৎপাদন মৌসুমে একসঙ্গে অনেক বেশি ধান আসে কৃষকের ঘরে। তাতে বিক্রিয়যোগ্য উদ্বৃত্ত বেড়ে যায়। কিন্তু এ সময় পর্যাপ্ত ক্রেতার অভাবে কখনো কখনো ধানের দাম কমে যায়। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান তখন কৃষকদের সুরক্ষা দিতে পারে। আমন ও বোরো উৎপাদন মৌসুমে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয় করে। এর তুষ ছাড়িয়ে তা চালে রূপান্তরের পর গুদামে মজুদ করে রাখে। অন্যদিকে চাতালের মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে সরকার চাল ক্রয় করে গুদামে মজুদ করে। অনুৎপাদন সময়ে যখন ধান-চালের দাম বেড়ে যায়, তখন ভোক্তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে তা খোলা বাজারে বিক্রি করে। পাশাপাশি দারিদ্র্য নিরসন সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তা নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার দীর্ঘকাল ধরে এ ধরনের কৌশল গ্রহণ করে আসছে। এবার কৃষক পর্যায়ে ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। চালের দাম ৪৯ টাকা। ধান সংগ্রহ করা হবে সাড়ে তিন লাখ টন। চাল ১৪ লাখ টন। মোট সংগ্রহ হবে সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল। চাল হিসেবে প্রায় ১৬ লাখ টন।

গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ সংগ্রহ অভিযান। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। নিকট অতীতে ধান সংগ্রহের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত লাখ টন। কিন্তু তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এরপর ক্রমান্বয়ে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চাল সংগ্রহের পরিমাণ। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারের অনীহা ও বিভিন্ন জটিলতার কারণে কৃষকরা দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে পরিবহন খরচ চুকিয়ে গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তারা অপেক্ষাকৃত কম দামেই খামার প্রান্ত থেকে চাতালের মালিক, করপোরেট হাউজ ও বড় ব্যবসায়ীর এজেন্টদের কাছে ধান বিক্রি করে দেন। এরই মধ্যে হাওরে এবং অন্যান্য অঞ্চলে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা দরে। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য ১ হাজার ৪৪০ টাকা। অর্থাৎ কৃষকরা ধানের সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম দামে ধান সংগ্রহ করে ১ হাজার ৯৬০ টাকা মণ ধরে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে তারাই লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া উৎপাদন মৌসুমে মোটা দাগে সরকারকে চাল সরবরাহ করতে হয় বিধায় চাতালের মালিক ও ব্যবসায়ীরা বাজারে প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছেন না। ফলে ধানের উৎপাদন মৌসুমেও চালের দাম ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে নামছে না।

এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে চাল সংগ্রহ না করে কৃষকদের খামার প্রান্ত থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। মোট উৎপাদনের ন্যূনপক্ষে ১০ শতাংশ ধান সংগ্রহ করা যৌক্তিক। তাতে এবারের বোরো মৌসুমে ৩০ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতো যুক্তিপূর্ণ। ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার অনেকটা রক্ষণশীল ভূমিকা নিয়েছে। এবার ধানের নিট উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রতি কেজি ৩৩ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয় ও ১০ শতাংশ মুনাফা যোগ করে দাঁড়ায় ৩৭ টাকা। কৃষকদের মুনাফা ২০ শতাংশ ধরা হলে ধানের সংগ্রহ মূল্য দাঁড়াবে প্রতি কেজি ৪০ টাকা। সে তুলনায় ধানের সংগ্রহ মূল্য কম। চালের উৎপাদন খরচ এবার প্রতি কেজি ৪৮ টাকা ৮৮ পয়সা। এটি প্রায় সংগ্রহ মূল্যের সমান।

গত বোরো মৌসুমে ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৩২ টাকা। সিদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ টাকা। আতপ চাল ৪৪ টাকা কেজি। সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল। এবার ধান সংগ্রহের পরিমাণ কমেছে ১ লাখ ৫০ হাজার টন, চালের বেড়েছে দুই লাখ টন। ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। প্রতি বছর ধান-চালের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ফলে বাজারে চালের ভিত্তিমূল্য ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে আমাদের ভোক্তাদের ধৈর্যশীল ও সহনশীল হতে হবে।

বর্তমানে বোরো ধান কাটার সময় হলেও বাজারে চালের দামে স্বস্তি ফিরে আসেনি। মাঝারি সরু চালের দাম এখনো অনেক চড়া। মোটা চালের দাম বেশি। সরকারি গুদামে এখন চাল মজুদের পরিমাণ ৮ লাখ ৮৪ হাজার টন। বোরোর উৎপাদন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান সামনে রেখে এত বেশি চাল মজুদ রাখা যুক্তিযুক্ত ছিল না। এখন থেকে আরো এক মাস আগেই অতিরিক্ত চার-পাঁচ লাখ টন চাল খোলা বাজারে ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল। তাতে চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি অনেকটাই থামানো যেত। আমাদের খাদ্যশস্যের বাজার অস্থির থাকার একটি প্রধান কারণ হলো ব্যবস্থাপনায় সমস্যা ও অপ্রতুল হস্তক্ষেপ। বর্তমানে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন মূলত ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে চালের মজুদ থাকে প্রায় এক কোটি টন। আর সরকারের কাছে থাকে মাত্র ২২ লাখ টন। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজি করে যখন চালের দাম বাড়ায় তখন সরকার থাকে খানিকটা নির্বিকার। সরকারের সামান্য হস্তক্ষেপ হয় অনেকটা অকার্যকর। এক্ষেত্রে বাজারে সত্যিকারভাবে প্রভাব বিস্তার করার মতো হস্তক্ষেপ করতে হলে সরকারের খাদ্যশস্য মজুদ বাড়াতে হবে এবং প্রয়োজনের সময় খোলা বাজারে তা ছেড়ে দিতে হবে। বর্তমানে চালের মোট উৎপাদন ও চাহিদা বিবেচনায় ন্যূনতম ৪০ লাখ টন চাল সরকারিভাবে মজুদ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ পরিপ্রেক্ষিতে আরো প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদের জন্য গুদাম নির্মাণ করা উচিত। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আউশ ও আমন ধানের উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে খাদ্যশস্য সরবরাহের ক্ষেত্রে। এ সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। তারা অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জনের জন্য চালের দাম বাড়িয়েছেন। এর আগে যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার চালের দাম বেশি দিতে হয়েছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চাল আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। মোট ১৬ লাখ টনেরও বেশি চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টন চাল। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৪ হাজার টন সরকারিভাবে এবং ৪ লাখ ৬৯ হাজার টন বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে চাল সংগৃহীত হয়েছে। এক্ষেত্রে চাল আমদানির জন্য বেসরকারি ব্যবসায়ীদের উৎসাহ ছিল কম। আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ধাপে ধাপে নিম্নতম পর্যায়ে নামিয়ে এনেও ব্যবসায়ীদের ভালোভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায়নি। ফলে সরকারিভাবে বেশি পরিমাণে চাল আমদানি করতে হয়েছে। চালের সঙ্গে গম আমদানি করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টন। গত অর্থবছরে তার পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ২৮ হাজার টন। সামনে গমের আমদানি আরো বাড়বে। তবে এবার বোরো ধানের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির ওপর এখনই বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত। পুনর্বিন্যাস করা উচিত খাদ্যশস্য আমদানির ওপর শুল্কহার। সেই সঙ্গে দেশ থেকে সুগন্ধি চাল রফতানি উৎসাহিত করা উচিত।

বোরো ধান কাটা শেষ হলে কৃষকদের বিক্রয়যোগ্য উদ্বৃত্ত বাড়বে। বাজারে বৃদ্ধি পাবে চালের সরবরাহ। এ অবস্থায় খোলা বাজার থেকে চাল কিনে মজুদ বাড়ানোর প্রচেষ্টা নিতে পারে সরকার। তাতে ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নির্ভরতা হ্রাস পাবে। প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান এবং বাজার থেকে চাল কিনে মোট ২৫ লাখ টন চাল মজুদের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত চলতি বোরো মৌসুমে। তাতে খাদ্যশস্যের বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। হ্রাস পাবে চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা। ফলে খাদ্যশস্যের দামে স্থিতিশীলতা আসবে। কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবে।

ড. জাহাঙ্গীর আলম: কৃষি অর্থনীতিবিদ; সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সাবেক উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ

আরও