৫০ বছরে বাংলাদেশ

অনেক অগ্রগতি আছে, তবে জ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনাও প্রয়োজন

২০০৮-এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় আমি ছিলাম শীর্ষস্থানীয় এক মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান। পুঁজিবাজারে শেয়ারের পতন, ব্যাংকিং খাতে মন্দ ঋণের বোঝা, আর কোম্পানির মুনাফায় ধস দেখে আমরা সবাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং বাজারে নিয়মানুবর্তিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সে সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠছিল

২০০৮-এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সময় আমি ছিলাম শীর্ষস্থানীয় এক মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ প্রধান। পুঁজিবাজারে শেয়ারের পতন, ব্যাংকিং খাতে মন্দ ঋণের বোঝা, আর কোম্পানির মুনাফায় ধস দেখে আমরা সবাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং বাজারে নিয়মানুবর্তিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সে সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠছিল বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২০ সালের শুরুতেই নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ নতুন সংকট তৈরি করেছে, যার প্রভাবে মন্দায় পড়েছে সারা বিশ্ব। করোনার কারণে দেশে দেশে সংকট তীব্র হচ্ছে। ধনী-গরিব সব দেশেই এর প্রভাব পড়েছে। বেশির ভাগ দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকোচন হবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। কর্মহীন হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে মহামন্দায় বড় বড় অর্থনৈতিক পরাশক্তি বিপাকে পড়েছিল। দশকজুড়ে চলে মহামন্দা। এবারের মন্দা কতদিন থাকবে বা শেষমেশ কতটুকু ক্ষত তৈরি করবে, সেটি নিয়েই চিন্তিত সবাই।

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সামগ্রিক অর্থনীতি সংকুচিত হবে দশমিক শতাংশ। এমন তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, সংকট বিনিয়োগকে অনিশ্চিত করে তুলেছে, অর্থনীতির ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ২০২০ ২০২১এই দুই বছরে সারা বিশ্বে ১১ কোটি থেকে ১৫ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্রের তালিকায় চলে আসবে। বিশ্বজুড়ে পূর্ণকালীন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বেশির ভাগ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। কিন্তু করোনার প্রভাবে দেশের চলমান অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতিধারা থমকে গেছে। দেশের প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারাত্মক সংকটে পড়তে হয় পর্যটন, পরিবহন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, এনজিও, ছোট-বড় সব ধরনের শিল্প ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংক সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশে গরিব লোকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। প্রায় বছরজুড়েই দেশে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নানা অজুহাতে চলছে কর্মী ছাঁটাই। হোটেল, রেস্তোরাঁ, দিনমজুরসহ বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মতত্পরতা স্বাভাবিক হয়নি। বাংলাদেশের লাভজনক বা অর্থনীতি নির্ভর করে এমন প্রতিটি খাতই হুমকির মুখে। দেশের অন্তত ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ কর্মক্ষম, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছর। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এমন বাস্তবতায় করোনার আঘাত অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এলোমেলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গেল কয়েক মাসে কর্মহীন, চাকরি হারানো বা বিদেশফেরতদের সংখ্যা আরো বেড়েছে। নতুন নিয়োগ বা কাজের জোগান বর্তমানে খুবই সীমিত। সবচেয়ে বেশি শঙ্কায় রয়েছেন সদ্য পাস করা উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণী। কর্মসংস্থান বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ বৈশ্বিক প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখে উঠতে পারে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে ব্যাংকের মাধ্যমে। বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় ব্যাংক খাতকে সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এই প্রথম বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কর্মীদের বেতন-ভাতা হ্রাস করা হয়েছে। ছাঁটাই হয়েছেন বেশ কয়েকশ ব্যাংক কর্মকর্তা। প্রথম পর্যায়ের করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রণোদনা প্যাকেজ ছিল মোট জিডিপির দশমিক শতাংশ। পরবর্তীকালে প্রণোদনা কিছু বাড়ানো হয়। পত্রিকান্তরে জেনেছি, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় দফা প্রাদুর্ভাব সামনে রেখে আরেকটি নতুন আর্থিক প্রণোদনা পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সরকারের নানামুখী উদ্যোগে দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে বৈশ্বিক করোনার গতিপথ কোন দিকে যাবে, তার ওপরই নির্ভর করছে আগামীর অর্থনীতি।

২০২১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি। পেছনে তাকালে নিশ্চিত যে, গেল ৫০ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। মাথাপিছু আয়, ব্যক্তির সক্ষমতা, রাস্তাঘাট, দালানকোঠা, নগরায়ণ, প্রবাসী আয়, আমদানি-রফতানি, রাজস্ব আয়, শিক্ষার প্রসার প্রায় সবকিছুরই বৃদ্ধি হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাও এগিয়েছে। বাংলাদেশে ব্যক্তি খাতের প্রসার এবং একটি শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা সমাজও গড়ে উঠেছে। দেশে নারীর উঠে দাঁড়ানোর গল্প অপরাপর সমমানের দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য। তার পরও আমরা বলতে পারছি না, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ মসৃণ। করোনাকালে হয়তো মসৃণ হওয়ার কথাও নয়। তবে যে সামাজিক পুঁজি, যে মজবুত অর্থনৈতিক ভিত আমাদের এগিয়ে যাওয়াকে টেকসই করতে পারত, সেই মূল জায়গাতেই আমরা পিছিয়ে আছি।

এরই মধ্যে যাত্রা হয়েছে একটি নতুন বছরের। অনেকের আশা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে নবোদ্যমে যাত্রা করবে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক মহামারীর ফলে সৃষ্ট সংকটের বিপরীতে নতুন সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশাকে পুঁজি করে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে আমাদের সাফল্যের তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর মতো অনন্য অর্জন। একই লয়ে চলছে মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা বন্দর নির্মাণের মতো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য তৈরি হবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রত্যাশার অধিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে রেমিট্যান্সপ্রবাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। সম্প্রতি চাঙ্গা আবহ তৈরি হয়েছে পুঁজিবাজারে।

গত বছর মার্চের শেষ দিকে দেশে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হলে সরকারকে নতুন করে অনেক সমীকরণ মেলাতে হয়েছে। ভাবতে হয়েছে অনেক কিছু। কভিডের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ, থমকে যাওয়া শিল্প-কারখানায় গতি আনতে জোগাতে হয়েছে প্রণোদনা। কার্যত ২০২০ সাল জুড়েই অচলাবস্থা ছিল নতুন বিনিয়োগে। সামলাতে হয়েছে রফতানি খাতের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। অতিমারী বৈদেশিক শ্রমবাজারে যে ধাক্কা দিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর। কভিড এসে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন যে মাত্রা যোগ করেছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষম করে তোলার চ্যালেঞ্জও রয়েছে নতুন বছরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো চালু করা যায়নি। ফলে নারীশিক্ষা বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সাফল্য নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ঘরবন্দি হয়ে থাকার ফলে গ্রামাঞ্চলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে নারী নির্যাতন বাল্যবিবাহের পরিমাণ। নারী দরিদ্ররা যাতে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে না পড়ে, তার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরি। সামনে রয়েছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা; যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ এবং লিঙ্গসমতা অর্জন নারীর ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জোর দেয়া হয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎপাদনশীল কাজের সুবিধা নিশ্চিতের বিষয়ে। এসব দিকে পিছিয়ে পড়া মানে সুযোগ হাতছাড়া হওয়া। পর্যায়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

কৃষিতে আমাদের অগ্রগতির বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পোলট্রি, গবাদিপশু মত্স্য চাষেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি যান্ত্রিকীকরণকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে কভিডের পাশাপাশি হাওড়ে বন্যা জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক। চালের বাজারজুড়ে অস্থিরতার আশঙ্কা কেন জানি থেকে থেকে ফিরে আসছে। এদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের উৎসাহজনক দাম পাওয়ার বিষয়টি সবসময়ই আলোচিত হয়ে আসছে।

কৃষির অন্যান্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে জোর দিতে হবে। কভিডের কারণে বিশ্বব্যাপী ডিজিটালাইজেশনের বিস্তার অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছে এবং হবেও। অবস্থায় টেকসই মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কৌশল গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান স্বল্পদক্ষ শ্রমবাজারকে নতুন দক্ষতার শ্রমবাজার কর্মসংস্থানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাশাপাশি আইসিটি খাতভিত্তিক শিক্ষার ওপর আরো জোর দেয়া প্রয়োজন। নইলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিঘাত মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আগামী বছরগুলোয় বিশ্বব্যাপী কী ধরনের কাজের চাহিদা বাড়তে পারে, কী ধরনের কাজের চাহিদা কমতে পারে, তা বিবেচনায় নিয়ে দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত শিক্ষাগত রূপান্তরও করতে হবে।

কভিড একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা। এর সুবাদে বাংলাদেশকেও প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে একটি রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এর প্রভাববলয়ের মধ্য দিয়েই হাঁটতে হবে। নতুন বছরে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে অন্য দেশগুলো বিশেষ করে বিকাশমান অর্থনীতিগুলো কী ধরনের পরিকল্পনা করছে, সেগুলোর পর্যালোচনাপূর্বক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। মুজিব বর্ষ উদযাপনও কভিড বিবেচনায় আরো এক বছর বর্ধিত করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু বঞ্চনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু দেশের উন্নয়নের সুবিধা অধিকাংশই ধনিক শ্রেণীর অধিকারে চলে যাচ্ছে। ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমাতে হলে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা বেগবান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন তথা কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাঠামোগত রূপান্তরের মাধ্যমে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলাই হোক নতুন বছরের প্রত্যয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে একটি জ্ঞানভিত্তিক ভবিষ্যত্মুখী সমাজই কেবল বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করতে পারে শুধু সম্পদশালী নয়, সম্মানের স্থানে।

 

মামুন রশীদ: অর্থনীতি বিশ্লেষক

আরও