আলোকপাত

‘‌ইমপোর্ট লবি’র অহেতুক আমদানিতে ক্ষয় হচ্ছে আমাদের রফতানি আয়

চলছে ২০২৪ সালের মার্চ। আর দু-তিন বছর সবুর করলেই আমাদের রফতানি আয় অর্জন হবে ১১০ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলার। বিশাল উল্লম্ফন হবে বৈকি! একটি খবরে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬২ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতব্য কিনা সে প্রশ্নে না গিয়ে আমদানির প্রশ্নে যাওয়া যায়। ২০২৭-এর মধ্যে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার ঠিক আছে,

চলছে ২০২৪ সালের মার্চ। আর দু-তিন বছর সবুর করলেই আমাদের রফতানি আয় অর্জন হবে ১১০ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলার। বিশাল উল্লম্ফন হবে বৈকি! একটি খবরে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬২ বিলিয়ন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতব্য কিনা সে প্রশ্নে না গিয়ে আমদানির প্রশ্নে যাওয়া যায়। ২০২৭-এর মধ্যে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন ডলার ঠিক আছে, এবার বলুন আমদানির লক্ষ্যমাত্রা কত? এ তথ্যও দরকার, যা সচরাচর আমাদের গোচরীভূত হয় না। সারা বছরেই খালি রফতানির হিসাব। রফতানির বিপরীতে আমদানি আছে। এ দুইয়ের ব্যবধানে হয় আমরা ‘‌বাণিজ্য উদ্বৃত্ত’ দেশ হব, না হয় হব ‘‌বাণিজ্য ঘাটতির’ দেশ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রফতানি, রফতানি করলাম আর বাণিজ্য ঘাটতি বাড়তেই থাকল, তাহলে পরিণামে কী দাঁড়াবে? দৃশ্যতই আমাদের রফতানি আয় যে পরিমাণ বাড়ছে আমদানির পরিমাণ বাড়ছে তার চেয়ে অনেক বেশি হারে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে দিন দিন। সর্বগ্রাসী ঘাটতি, যেমন আজীবনের সাথি আমাদের বাজেট বা রাজস্ব ঘাটতি। আমরা যা আয় করি জাতীয়ভাবে, তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় করি। তাই ‘বাজেট ঘাটতি’ বরাবর। উন্নয়নের, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) টাকা থাকে না। উন্নয়নের টাকা করতে হয় ধার—দেশে ও বিদেশে। একই দুর্দশা আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে। আমদানি অনেক অনেক বেশি। রফতানি অনেক অনেক কম। অথচ সরকার বারবার তাগাদা দিচ্ছে রফতানি বাড়ানোর। তাগিদ আছে রফতানি বৈচিত্র্যকরণের। হা হতোস্মি, বলাই সার। কোনো উন্নতি নেই। কিছুটা বেঁচে গেছি গরিব কৃষকের ছেলেমেয়েদের কারণে। তারা দলে দলে বিদেশে যাচ্ছে। ডলার পাঠাচ্ছে। তা ব্যয় হচ্ছে ক্রমবর্ধিষ্ণু আমদানি চাহিদা মেটাতে। কিন্তু এতেও তো হচ্ছে না। আমদানি চাহিদা মেটাতে হচ্ছে অন্যান্য সূত্রের ডলার থেকে। তাও এখন ডলার নেই, ডলারের সংকট। এর কুপ্রভাব সর্বত্র। হারে হারে টের পাচ্ছি আমরা। বড় মুশকিল, আমদানি কমানোর ব্যবস্থা হচ্ছে না। আমদানি বিকল্প তৈরির কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। প্রতি বছর বাজেটে দেখা যায় আমদানি বিকল্প তৈরির জন্য সরকার কত রাজস্ব সুবিধা, কর সুবিধা, কর মওকুফ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফল কোথায়? আমদানির বিকল্প তো হচ্ছেই না, বরং আমদানিতে খরচ হলো এক লাফে ৮২ বিলিয়ন ডলার—আমাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সন্দেহ জাগে সর্বত্র। তবে কি ডলার পাচার হচ্ছে? ২০২১-২২ অর্থবছরের এ আমদানি জোয়ার দেখে সবাই অবাক। কোথায় আছে এ ডলার? কী পণ্য দেশে আসছে? ভোগ্যপণ্য, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, মূলধনি যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ—এত আমদানি! মূলধনি যন্ত্রপাতি, কাঁচামালই যদি এত আমদানি হবে তাহলে তার প্রতিফলন বিনিয়োগে কোথায়, কোথায় প্রতিফলন ‘জিডিপিতে’। সন্দেহ গাঢ় হয়। ডলার পাচার করছে ‘দেশপ্রেমিক’ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, আমলা-কামলা এবং বিভিন্ন শ্রেণীর লোকেরা। ওই সময়ই নেমে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজাত মূল্যস্ফীতি। শুরু হয় ডলার সংকট। একেবারে তেল-গ্যাসের ৩০-৪০-৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি। আর যায় কোথায়? সব জারিজুরি হয় শেষ। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নেমে আসে তলানিতে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। ডলার পাচার বন্ধের জন্য বড় বড় আমদানি ঋণপত্র ‘চেক’ করা শুরু করে। অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধ করা হয়। আমদানি ঋণপত্রে মার্জিনের আবশ্যকতা বাড়ানো হয়। নেয়া হয় আরো অনেক মুদ্রা ও অর্থবিষয়ক পদক্ষেপ। সুদনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়। কলঙ্কজনক নয়-ছয় সুদনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়। ফলে আমদানি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমে আসে ৬৯ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি হয় ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। কোথায় ৮২ বিলিয়ন ডলার, আর কোথায় ৬০-৬২ বিলিয়ন ডলার। বিরাট পার্থক্য। এখন কথা হচ্ছে আমদানি বাড়ানোর। চারদিকে অভিযোগ, অতিরিক্ত কড়াকড়ির ফলে দেশে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে। বড় বড় ব্যবসায়ী কর সুযোগ নিচ্ছেন। ফলে দীর্ঘমেয়াদে ‘‌জিডিপি’ প্রবৃদ্ধির হার অর্জনে বিঘ্ন ঘটবে। তাহলে সমস্যা কী? রফতানি বৃদ্ধি ও আমদানি বৃদ্ধি, না রফতানি বেশি বৃদ্ধি, আমদানি কম করে বৃদ্ধি?

বিরাট প্রশ্ন। প্রশ্নটি অগ্রাধিকার নির্বাচনের। আমরা রফতানির জন্য ‘‌জান’ দিতে প্রস্তুত। ‘‌এক্সপোর্ট অর পেরিশ’ আমাদের নীতি বলে প্রতীয়মান হয়। এ সুবাদে দাঁড়িয়েছে সর্বগ্রাসী তৈরি পোশাক ব্যবসা ও ব্যবসায়ী শ্রেণী, যা কোনো ‘‌ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি’ নয়। এর পেছনে সময় দিতে দিতে আমরা ‘রেমিট্যান্স’-এর প্রতি নজর দিচ্ছি কম। আরো নজর কম আমদানিতে। কী কী পণ্য আমরা আমদানি করছি, কেন করছি, এসব পণ্যের বিকল্প কি দেশে নেই—ইত্যাদি প্রশ্ন কার্পেটের নিচে স্থান পাচ্ছে। দেশে বিশাল এক ‘ইমপোর্ট লবি’ তৈরি হয়েছে। ছোট-মাঝারি আমদানিকারক বিলীন হয়েছে। ছোট-মাঝারি, পাইকারি-আড়তদারি ব্যবসা শেষ হয়েছে। তৈরি হয়েছে খুবই স্বল্পসংখ্যক কয়েকটি ‘আমদানি কোম্পানি’, যারা এখন হাজার হাজার কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের নিজস্ব অর্থ আছে, ব্যাংকের ফাইন্যান্স এদের জন্য ডাল-ভাত। এদের নিজস্ব ব্যাংক আছে। বীমা-কোম্পানি আছে। এদের বিশাল বিশাল জাহাজ আছে, যার জন্য ভাড়া গুনতে হয় না। এ দৈত্যাকার ‘আমদানি লবি’র কারণে আমরা আজ অসহায় জাতিতে পরিণত হয়েছি। এরা পণ্যের দাম নামায়-ওঠায়, আকাশে তুলে। বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায়। অনেকে ওই টাকা দেশে রাখে না—এটা আরো বড় দুঃখ।

এখানেই ‘আমদানি’ একটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রফতানি বাড়ানো দরকার, কিন্তু আমদানি কতটুকু বাড়বে তার হিসাবও জরুরি ভিত্তিতে দরকার। কোন পণ্য কতটুকু আমদানি হবে, কোন পণ্যের আমদানি ধারাবাহিকভাবে কমানো হবে, কোন পণ্যের বিকল্প দেশে গড়ে তোলা হবে, কোন পণ্যের আমদানি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করা হবে—এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ‘পথরেখা’ থাকতে হবে। এক্ষেত্রেই কয়েকটি কথা বলা দরকার, যেমন মাটির টব। ঢাকার বাজারে মাটির টব পাওয়া দুষ্কর। সর্বত্র প্লাস্টিকের টব। এর অর্থ কী? দড়ি দরকার, বাজারে গেলে পাটের দড়ি নেই—সব প্লাস্টিকের দড়ি। ছালা দরকার। কিনতে গেলে ছালা পাওয়া যায় সব প্লাস্টিকের। পলিব্যাগ তো কয়েকবার নিষিদ্ধ করার পরও বাজারে এখন দিব্যি বিদ্যমান। চামড়া আমরা রফতানি করি। ঘড়ির বেল্ট দেশী চামড়ার পাওয়া যায় না। প্লাস্টিকেরই বাজার। এমন শত শত উদাহরণ দেয়া যায়। যেসব বিদেশী পণ্যের কোনো দরকার নেই, সেগুলো আমদানি করা হচ্ছে। গরিব কৃষকের ছেলেমেয়েরা বিদেশে কাজ করে যে ডলার পাঠাচ্ছেন তা খরচ করে আনা হচ্ছে ধনীদের শৌখিন বস্তু অথবা অপ্রয়োজনীয় বস্তু। প্লাস্টিকের ফুল আমদানি হবে কেন? কেন বরই আমদানি হবে। কাঁঠাল আমদানি হবে বিদেশ থেকে? বাদ দিলাম এসবের কথা। সরকারি হিসাবে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে চাল ও গম আমদানির পরিমাণ মাত্র ২৫৬ কোটি ডলার। দেখা যাচ্ছে, দুধ ও ক্রিম, মসলা, ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি আমদানিতে ওই বছরে খরচ হয়েছে ৫৭৭ কোটি ডলার। অন্যান্য আমদানির পরিমাণ ছিল ৯১৯ কোটি ডলার। ডলারের মূল্য ১২০ টাকা ধরে হিসাব করে দেখলে বোঝা যাবে যে এ দুধ, মসলা, ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনিতে বছরে কত টাকা ব্যয় হয় আমদানি করতে। এটা হয় প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার দুধ/ক্রিমই আমদানি হয়। চিনি আমদানি হয় ১৫-১৬ হাজার কোটি টাকার। আর ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এ বিশাল পরিমাণ টাকার ব্যবসা করে, আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে বড়জোর পাঁচ-সাতটি বিগ বিজনেস হাউজ। এটা হচ্ছে একটি প্রশ্ন। আরো বড় প্রশ্ন হচ্ছে অন্যত্র। কৃষি মন্ত্রণালয় দাবি করছে, আমরা মাছ, মাংস, দুধ, ফলমূল ইত্যাদি উৎপাদনে সারা বিশ্বে অন্যতম। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান এসবে আমাদের। তাহলেই প্রশ্ন আমদানি কেন? দেশে কি প্রয়োজনীয় পরিমাণ দুধ উৎপাদন করা যায় না? ভারত থেকে গবাদি পশু আমদানি সীমিত হওয়ার ফলে আমাদের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বেড়েছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির পথে অন্তরায় কোথায়? চিনির উৎপাদন কি বাড়ানো যায় না? অভিযোগ, দেশে চিনির উৎপাদন খরচ যা তার চেয়ে কম দামে চিনি আমদানি করা যায়। এ কথা তো সব ক্ষেত্রেই সত্য। তাহলে চিনি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের আখ চাষে উদ্ধুদ্ধ করতে আপত্তি কোথায়? সরিষা চাষও তো বাড়তে পারে। রয়েছে ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে আমদানির প্রশ্ন। এতে কী কী পণ্য আছে আমরা জানি না। তবে মনে করি, এর মধ্যে অনেক পণ্য আছে, যা আমরা দেশীয়ভাবেই উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারি। অবস্থাটা কী ভাবা যাক। মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বে প্রথম দিকে। আবার কাগজের খবরে দেখি ভারতের হয়দরাবাদ থেকে রুই, কাতলা, বোয়াল, পাঙাশ মাছ আমদানি হয়। মিয়ানমার থেকে আসে ইলিশ মাছ। কী দাঁড়াল তাহলে? অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বাজারে গেলে দোকানে পাওয়া যায় দুই ধরনের মাছ। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, ডাল থেকে শুরু করে সব পণ্যই দুই রকমের—দেশের ও বিদেশের। কাগজে দেখি, কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? ভোগ্যপণ্য, শাকসবজি, মসলাপাতি ইত্যাদি থেকে শুরু করে কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, মূলধনি যন্ত্রপাতি—সবকিছুর জন্যই আমরা বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি রফতানির জন্যও আমরা নির্ভরশীল কয়েকটি পণ্য এবং কয়েকটি দেশের ওপর। এ পরিস্থিতি কি কাম্য? মোটেও নয়। যদি পর্যাপ্ত ডলার থাকত, যদি রফতানি বাণিজ্য হতো অফুরন্ত তাহলে এসব প্রশ্ন উঠত না। খাওদাও, ফুর্তি করো। ডলারের কোনো অভাব নেই। প্রশ্ন অবশ্য একটা আছে। উদার বাণিজ্যের বিশ্বে কি আমরা আমদানি নিরুৎসাহিত করতে পারি, পারলে কতটুকু পারি। জরুরি প্রশ্ন। তবে দেখা যাচ্ছে, উদার বাণিজ্যের সমর্থকরাই এখন এ নীতি থেকে সরে আসছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিশ্ব গড়ে তুলতে চেয়েছিল, দেখা যাচ্ছে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্ব আর্থিক, ব্যবসায়িক, বাণিজ্যিক, মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আমাদেরও রফতানি ও আমদানি বাণিজ্যের কৌশল পরিবর্তন করা জরুরি। রফতানি বাড়ানো হোক, আমদানি করা হোক সীমিত, দেশীয়ভাবে তৈরি হোক ভোগ্যপণ্য, শাকসবজি, তরিতরকারি। দেশের বাজারের প্রতি নজর দেয়া হোক। বিশ্বের মানুষকে জামাকাপড় পরানো হচ্ছে, ঠিক আছে—দেশের মানুষও যাতে ন্যায্যমূল্যের ভোগ্যপণ্য পায় তার ব্যবস্থা হোক। দ্রব্যওয়ারি আমদানির প্রয়োজনীয়তার হিসাব হোক। এদের স্থানীয় মূল্য ও আন্তর্জাতিক মূল্য নিয়মিত যাচাই হোক।

ড. আর এম দেবনাথ: অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক

আরও