দেশের বাজারে মশলা পণ্য এলাচের চাহিদার বেশিরভাগই আসে গুয়েতেমালা থেকে। এছাড়া পণ্যটি ভুটান, ভারত ও গ্রেট ব্রিটেন থেকেও আমদানি করা হয়েছে। গত দশ মাস দশ দিনে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৮ কেজি এলাচ আমদানি হয়েছে। আর গত চার মাস দশ দিনে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার কেজি। তার আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত আট মাসে আমদানি হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৯ টন।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে গত ১০ মে পর্যন্ত সময়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৮ কেজি এলাচ আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেট ব্রিটেন থেকে মাত্র ১০ কেজি আমদানি হয়েছে। বাকিগুলো গুয়েতেমালা, ভুটান ও ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে গুয়েতেমালা থেকেই আমদানির পরিমাণ বেশি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এবং বুড়িমারি, হিলি ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এসব এলাচ খালাস দেয়া হয়। গত ১ জানুয়ারি থেকে ১০ মে পর্যন্ত সময়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৪ কেজি। এ এলাচগুলো খালাস দেয়া হয়েছে বুড়িমারি, হিলি ও ভোমরা স্থলবন্দর এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দিয়ে।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ৯৮১ টন, ডিসেম্বরে ২২৮ টন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ১৮৬ টন, ফেব্রুয়ারিতে ২১৫ টন, মার্চে ১০৪ টন, এপ্রিলে ২২৫ টন, মে মাসে ২১০ টন, জুনে ৮৫০ টন এলাচ আমদানি হয়েছে।
সরেজমিন কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবচেয়ে ভালো মানের এলাচ খুচরাতে কেজি ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ গ্রামের দাম ৩০০ টাকা।
টিসিবির গত বুধবারের তথ্যানুযায়ী, মানভেদে খুচরাতে এলাচের কেজি ৪ হাজার ৫শ থেকে ৫ হাজার ৫শ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪ হাজার ৬শ টাকা। ১০ মে থেকে দাম বেড়েছে।
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে দেশে এলাচ আসে। সেগুলোর হিসাব এনবিআরের তথ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। নেত্রকোনার সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে প্রতিকেজি পাঁচশ টাকা দরে এলাচ আসে।