দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা গেলেও গত সেপ্টেম্বরে অস্থিরতা দেখা গেছে। গত মাসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনিক গড় লেনদেন ও সার্বিক সূচক দুটোই নিম্নমুখী ছিল। আলোচ্য মাসে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেনে শীর্ষ ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন ও লিন্ডে বাংলাদেশ। এ তিন কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা।
ডিএসইর তথ্য অনুসারে গত মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ৬৪১ কোটি টাকা, গ্রামীণফোনের ৫০৩ কোটি ও লিন্ডে বাংলাদেশের ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া চলতি অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে ব্র্যাক ব্যাংকের ১৫৩ কোটি ও গ্রামীণফোনের ১৫২ কোটি ও লিন্ডে বাংলাদেেশর ৪৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ২৩ শতাংশ। পাশাপাশি এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে। এছাড়া নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ গত সেপ্টেম্বরে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত মাসে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গত মাসে লেনদেন হওয়া কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ৩৪১টির আর অপরিবর্তিত ছিল আটটির দর। এক্সচেঞ্জটিতে গত মাসে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬৯ কোটি টাকা, গত আগস্টে যা ছিল ৮৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে ডিএসইর মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১২ দশমিক ২১।
গত মাসে শেয়ারদর বৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল ইসলামী ব্যাংক, খান ব্রাদার্স ও রহিম টেক্সটাইল। এ তিন কোম্পানির দর বেড়েছে যথাক্রমে ৫৫ দশমিক ১১, ৫০ দশমিক ৪৮ ও ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এছাড়া দর হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল নিউ লাইন ক্লথিং, খুলনা পাওয়ার ও অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ। এ তিন কোম্পানির দর কমেছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৮৮, ৫০ দশমিক ৮৩ ও ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া বাজার মূলধনে শীর্ষে ছিল গ্রামীণফোন, পাওয়ারগ্রিড ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি।
গত মাসে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট, ব্যাংক ও বিবিধ খাতের শেয়ারে। এ তিন খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ১২ দশমিক ২, ২ দশমিক ৪ ও দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে আলোচ্য মাসে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল সিরামিক, সেবা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। এসব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ২০, ১৪ দশমিক ৭ ও ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।