সম্প্রতি জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হওয়া প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস পিএলসির শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২৩ টাকা ২০ পয়সা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৪ টাকা ৩১ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৬ পয়সা।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে রানার অটোমোবাইলসের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৬২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে রানার অটোমোবাইলসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে রানার অটোমোবাইলসের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৫ টাকা ১৬ পয়সা।
২০২০-২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রানার অটোমোবাইলস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।
কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ-১’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত অন্যান্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩২। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে বাকি ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ২০ টাকা ৪০ পয়সা ও ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা।