পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ারদর এ বছরের জুনের শেষ সপ্তাহ থেকেই ঊর্ধ্বমুখী। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে। এর অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত সপ্তাহে ডিএসইকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি।
তথ্যানুসারে, এ বছরের ২৫ জুন অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ারদর ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর ক্রমে ঊর্ধ্বমুখী। সর্বশেষ ৯ অক্টোবর শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ২০ পয়সায়। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। পাশাপাশি এ সময় এর শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
সর্বশেষ সমাপ্ত প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) অগ্নি সিস্টেমের নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আলোচ্য তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে এর ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ১ পয়সা।
গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ১৫ টাকা ৯৫ পয়সা।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটির পর্ষদ।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অগ্নি সিস্টেমস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯২।
এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।