সরবরাহ কম থাকায় দিনাজপুরের হিলিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম এখন কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আবেদনসহ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা আগের তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ‘পাবনার মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ পর্যায়ে হওয়ায় মোকামে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় কম। নতুন আসা রাখি পেঁয়াজের দাম বেশি। আগে যে পেঁয়াজ আমরা মোকামে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণে কিনেছিলাম, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। আবার কিছু পেঁয়াজ মণপ্রতি ২ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ রেখেছে। এবার ভারতে ব্যাপক পরিমাণে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। ফলে দেশটিতে বর্তমানে ভালোমানের পেঁয়াজের দাম ১০-১২ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ রফতানির ওপর ভারত সরকার আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক ১ এপ্রিল প্রত্যাহার হয়েছে।’
আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশী পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমরা আমদানির অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ রাখছি। সরকার যদি এখনই অনুমতি দেয়, তাহলে এলসি খোলাসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে আমদানি শুরু করতে সর্বোচ্চ দুই-তিনদিন লাগবে।’
এদিকে স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৩ মার্চ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানির অনুমতি থাকলেও দেশী পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১ এপ্রিল থেকে অনুমতি বন্ধ রেখেছে সরকার। সম্প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় নতুন আইপি কবে দেবে, সে খোঁজখবর নিচ্ছে আমদানিকারকরা। এখন পর্যন্ত সরকার অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আমদানি নিয়ে ভাবছে সরকার।’