দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭ টাকা করে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমায় দাম আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ভারতের বাজারে মূল্যবৃদ্ধিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়। কিন্তু বর্তমানে শুধু ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দরে এ জাতের পেঁয়াজ ৫৬-৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা পাঁচদিন আগেও ৪৯-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর নতুন করে আবারো পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে যে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৭ টাকা দরে। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১১-১২ টাকার মতো বেড়ে গেছে।’
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে নিম্নমানের পেঁয়াজ কিনে হিলি বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে বন্দরেই পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ফলে আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি।’
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমদানি কমার অজুহাতে গত সপ্তাহ থেকেই হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বাড়তে বাড়তে ৪৩-৪৪ টাকার পেঁয়াজ ৫৬-৫৭ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে যেসব মোকামে সরবরাহ করতাম, সেখানকার ক্রেতারা ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা। তবে গত তিন-চারদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে পারছেন না। এতে করে ভারতের মোকামগুলোতেই দাম খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাড়ি ভাড়াও কিছুটা বেড়েছে। এসব কারণে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা কমে এসেছে। আগে প্রতিদিন ৪০-৫০ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১০-১৫ ট্রাকে নেমেছে।’