খেলাপি ঋণ আদায় অর্থ ঋণ আদালতকে আরো সক্রিয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে হাইকোর্টে হওয়া রিট মামলার বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রিট মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য দুইটি বেঞ্চ রয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও গভর্নরের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে, যাতে এই বেঞ্চগুলো আগামী তিন মাস শুধু রিট মামলাগুলো পরিচালনা করে।
কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না উল্লেখ করে ড. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক হয়তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে, ব্যাংক খাতের যে সব খারাপ সিনড্রোম ছিল সেগুলো কারেকশন হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠছে। কোনো ব্যাংক বন্ধ করার ইচ্ছা সরকারের নেই। এটা আমরা সকলকে আশ্বস্ত করছি। আমানতকারীদের সুরক্ষা দেয়া হবে। ব্যাংক খাতে হারানো আস্থা ফিরে আনায় আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
ভালো ব্যবসায়ীদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নাই জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যারা ঋণ নিয়ে ঠিকমতো ফেরত দেন ও ঠিকমতো কর দেন, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। তারাই ভীতু হয়ে আছে যারা বিগত সরকারের সময়ে নানাভাবে অনেক কিছু করেছে।
তিনি বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের বেতন ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোনো কোনো প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ সচিব ড. মুহাম্মদ খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা আইএমএফের তিন বছর মেয়াদী ঋণ কর্মসূচিতে রয়েছি। এর বাইরেও অতিরিক্ত সহায়তা সহায়তা চাওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের মধ্যে আমরা আইএমএফ থেকে এক বিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশা করছি। আগামী ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ টিম বাংলাদেশে আসছে। তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবির ৬০০ মিলিয়ন ডলার ও বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক লেন, যেসব দুর্বল ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না, তারা যাতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারে সেজন্য খুব দ্রুত উদ্যোগ দেখা যাবে।