সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর দুই দিনে মোট চারটি সেশনে ১৬টি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রেশার রিসিপশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বরণ করে নেয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ বছর ফল সেমিস্টারে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। সবাই নতুন ক্লাস শুরু করেছে। এ সেমিস্টারের নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন আর উদ্দীপনা নিয়ে তাদের একাডেমিক যাত্রা শুরু করেছেন। প্রথম দিন ক্লাসে উপস্থিতি, পরিচিতি পর্ব এবং ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতায় মুগ্ধ সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক সেশনে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হয়। ক্লাসের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রম, ক্লাব কার্যক্রম এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এদেরই একজন শেখ মেহেরুন্নেসা। ঢাকার মেয়ে মেহেরুন্নেসা ফার্মেসি ব্যাচেলরে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটা এক নতুন যাত্রার সূচনা। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির পরিবেশ অনেক উন্মুক্ত এবং উৎসাহব্যঞ্জক। আমি খুব খুশি এমন সুন্দর একটি ক্যাম্পাসে পড়ালেখা শুরু করতে পেরে। খুশি আমার প্রিয় ফার্মেসি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পারা নিয়ে।’
যায়েদ ইকবাল যাবের ইইই নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন। খুলনার ছেলে যাবের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রথম দিন আসার সময় একটু নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু সিনিয়রদের সহায়তা এবং ক্লাসমেটদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি এখন খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।’
নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের চারপাশে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের বুথে ভিড় করেছেন। খাদিজা আক্তার ও নুসরাত জাহান ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হয়েছেন। দুজনই ঢাকার মেয়ে। খাদিজা আক্তার বলেন, ‘ঢাকার একদম প্রাণকেন্দ্রে আমাদের ক্যাম্পাস। মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা করে অথবা হেঁটেও ক্যাম্পাসে চলে আসা যায়। এটা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে দারুণ সাহায্য করবে।’ অন্যদিকে নুসরাত বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অবকাঠামোটি আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাস ভবনটি সত্যিকার অর্থেই অনন্য অসাধারণ। আর দারুণ ব্যাপার হলো ক্যাম্পাসের খুব কাছেই হাতিরঝিল। আমরা বন্ধুরা ফুরসত পেলেই দলবেঁধে চলে যেতে পারব হাতিরঝিলের প্রাকৃতিক ছোঁয়ায়।’
সদ্য ভর্তি হওয়া সিএসই শিক্ষার্থী ওশিহা তাসনিম অরনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব বিকাশের সুযোগও প্রচুর। বিশেষ করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ক্লাব আঙিনাটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। পাশাপাশি প্রায় ১৯টি ক্লাবের অফিস। সবার সঙ্গে সখ্য গড়ার সুযোগ তৈরি করবে। আমি এখনো ঠিক করিনি, তবে কোনো একটি ক্লাবের সঙ্গে কাজ শুরু করব।’
উৎসাহ আর স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়া এ যাত্রা নতুন শিক্ষার্থীদের জীবনের নতুন অধ্যায়। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উষ্ণ পরিবেশ এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নতুন শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে বলেই প্রত্যাশা সবার।