অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট

আত্মবিশ্বাসী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে

অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অধ্যয়ন করা ছিল আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

সাদিয়া খান রিশতা

শিক্ষার্থী, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, বিইউএফটি

অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অধ্যয়ন করা ছিল আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আমি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) একজন শিক্ষার্থী হিসেবে গর্বিত। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে দক্ষ পেশাজীবী তৈরি করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হলো তৈরি পোশাক শিল্প, যেখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দক্ষ মার্চেন্ডাইজারের চাহিদা। এ বিভাগে পড়াশোনা করে একজন শিক্ষার্থী শুধু পোশাকের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত জ্ঞানই অর্জন করেন না, বরং পণ্যের সোর্সিং, কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট, প্রডাকশন প্ল্যানিং, মার্কেট ট্রেন্ড বিশ্লেষণ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কেও সম্যক ধারণা লাভ করেন।

এ বিভাগের শিক্ষাক্রম অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক, যেখানে থিওরির পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল নলেজ, ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট, ইন্টার্নশিপ এবং প্রেজেন্টেশন—সবকিছুর সমন্বয় রয়েছে। আমি এখানে শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পেয়েছি, যা ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং শুধু একটি পেশা নয়, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং এবং ক্রিয়েটিভ ক্যারিয়ার, যেখানে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বাড়ানো যায়। বিইউএফটিতে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলতে পারি, এ বিভাগ আমাকে আত্মবিশ্বাসী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তা হওয়ার উপযুক্ত করে তুলছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ রফতানি খাতে অবদান রাখার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। ভবিষ্যতে আমি এ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এ জন্যই আমি অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়ছি।

আরও