সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ক্লাবটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ২০১৬ সালের রংপুর বন্যা-পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্লাবটি বড় পরিসরে কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করে। ক্লাবটি প্রতি বছরই শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান ক্যাম্পেইন, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন, শিশুদের ঈদ উপহার এবং এতিমদের জন্য সাহরি-ইফতার আয়োজনসহ নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। পরবর্তী সময়ে রংপুর, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা প্রদান করে। ফেনী, শেরপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, লক্ষ্মীপুর ও কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোয় সহায়তা করা হয়।
সম্প্রতি ক্লাবটি রংপুরের বন্যায় চর কালীর আলগাতে শিশুখাদ্য, শুকনা খাবারসহ ৩৫০টি পরিবারকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। একই সঙ্গে পুনর্বাসন কার্যক্রম হিসেবে চারটি বাড়ি ও ১১টি টয়লেট নির্মাণ করা সেখানে। এখন পর্যন্ত ক্লাবটি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, লাইট অব হোপস ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সংস্করণ ফাউন্ডেশন ও থ্যালাসেমিয়া হাসপাতাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে। এছাড়া পরিবেশ দিবসসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিইউবিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে মানবতার সেবায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে দেড় হাজার কম্বল বিতরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ক্লাবটি।
ক্লাবটির মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিইউবিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী আবুবকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘বিইউবিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব ও এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক দলটি এক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর। আগামী দিনের যাত্রায় ক্লাবটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন জাতি গঠনে নানা সমাজসেবামূলক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করা। কারণ আমরা বিশ্বাস করি একটি মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি আগামী দিনের পৃথিবীর নেতৃত্বে থাকবে। এ লক্ষ্যই অতীতের মতো বিইউবিটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব নানা সামাজিক ও মানবিক কাজে নিয়োজিত ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা করছি।’