বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রথমবারের মতো আসছেন নাসার বিজ্ঞানী ড. শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন সোসাইটির উদ্যোগে আজ জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হবে একটি বিশেষ সেমিনার। সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য হলো বিজ্ঞান ও মহাকাশের সংযোগ: নাসার অভিজ্ঞতা, যা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়াবে এবং তাদের উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
সেমিনারে শিক্ষার্থীরা নাসার সাম্প্রতিক গবেষণা পদ্ধতি, মহাকাশে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জটিল ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত উন্নত টেলিস্কোপ ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি নিয়ে ড. বাহাউদ্দিন বিশদ আলোচনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে এ প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারে এবং মহাকাশ গবেষণার জগতে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারে, তা নিয়েও দিকনির্দেশনা পাবেন। বরিশাল ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এ সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গবেষণার ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
ড. শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কোলোরাডো বোল্ডারের ল্যাবরেটরি ফর অ্যাটমস্ফেরিক অ্যান্ড স্পেস ফিজিকসে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি নাসার গবেষণা সহযোগী হিসেবেও যুক্ত আছেন। তার গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র সৌর ও নক্ষত্রজগতের জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ড. বাহাউদ্দিন পার্কার সোলার প্রোব, ড্যানিয়েল কে. ইনউয়ে সোলার টেলিস্কোপ এবং ইমেজিং ম্যাগনেটোগ্রাফ এক্সপেরিমেন্টের মতো উন্নত যন্ত্রের সাহায্যে মহাকাশ গবেষণায় অবদান রেখে চলেছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাসিব মোল্লা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে একজন আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তার অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করবে। ড. বাহাউদ্দিন আমাদের জন্য প্রমাণ করেছেন যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও আন্তর্জাতিক গবেষণায় ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি অনুষ্ঠেয় এ সেমিনার শুধু একাডেমিক গবেষণার ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
আয়োজকরা মনে করেন, এ সেমিনার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার আগ্রহ তৈরি করবে, তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের স্বীকৃতি পাওয়ার পথে এগিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম তৈরি করবে।