‘হাসি উপহার’ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে তারুণ্যের শক্তি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিবেদিত। ২০১৭ সালে কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর হাত ধরে শুরু হওয়া এ সংগঠন ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আমরা’ স্লোগানকে ধারণ করে মানবিক কাজ পরিচালনা করছে। সংগঠনটি যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্ম-উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘হাসি উপহার’ টিম প্রধানত ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ এবং অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া টিমের সদস্যরা নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং অন্যদের রক্তদানে উৎসাহিত করে আসছেন। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, জরুরি ওষুধ সরবরাহ এবং তাদের আবাসস্থল পুনর্নির্মাণে সাহায্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অসহায় মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন।
‘হাসি উপহার’ সংগঠনটি এ পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ উপহার এবং দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করেছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেড় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য নতুন কাপড় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদের বাজার দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনটির কর্মীরা।
মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পথচলা সংগঠনটি বর্তমান ৩০ জনের অধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও হাসি উপহার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু ও অসহায় মানুষের মাঝে আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই ভালোবাসার উষ্ণতা, ভাগ করে নিতে চাই ঈদের আনন্দ। আমরা চাই তারাও হাসুক সাধারণ শিশুদের মতো করে।’
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও হাসি উপহার সংগঠনের সভাপতি জিহাদ হোসাইন বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর সমাজের। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ঈদে আনন্দ করুক সাধারণ শিশুদের মতো করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আসন্ন ঈদুল ফিতরে প্রায় ১৫০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নতুন কাপড় ও দরিদ্র মানুষের বাড়ি ঈদের বাজার দেয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য কামনা করছি।