রিসার্চ সোসাইটি

নবম বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা। দেখতে দেখতে বাংলাদেশের স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণা সংগঠন প্রতিষ্ঠার আট বছর পেরিয়ে নয় বছরে পদার্পণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা। দেখতে দেখতে বাংলাদেশের স্নাতক শিক্ষার্থীদের গবেষণা সংগঠন প্রতিষ্ঠার আট বছর পেরিয়ে নয় বছরে পদার্পণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের এ গবেষণা সংসদের হাত ধরেই দেশের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে, বিশেষত স্নাতক শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মাঝে গবেষণার প্রতি এসেছে নতুন চিন্তা ও নবজাগরণ। এমন একটা সময় গবেষণা সংসদের সূচনা হয়, যখন ভিন্ন মত ছিল ভয়ংকর রকমের প্রতিরুদ্ধ, মানুষের স্বাভাবিক ও নিরপেক্ষ অবস্থানও হয়ে পড়েছিল হুমকির মুখে। যে সময় সবকিছু একক রাজনৈতিক চিন্তার জাতাকলে পিষ্ঠ ও চিন্তাজগত সীমিত। শিক্ষা ও গবেষণার চেয়ে নিছক রাজনৈতিক স্লোগান হয়ে পড়েছিল মৌলিক। এমন এক বিপরীত মুখে সময়েই প্রতিষ্ঠা এ সংগঠনের। একঝাঁক সৃজনশীল, সুদূরপ্রসারী ও গবেষণামনষ্ক তরুণের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের যাত্রায় নেতৃত্বে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী সাইফুল্লাহ সাদেক। তার মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তাটাই বাংলাদেশে আজকের লাখো ছাত্রছাত্রীর ‘গবেষণা সংসদ’ রূপ পরিগ্রহ করেছে।

আজকে যে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা গবেষণা সংগঠনের সূচনা করছে, প্রতিষ্ঠা করছে নতুন নতুন গবেষণা সংসদ; তার প্রবর্তক হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ, যা দেখতে দেখতে এখন দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দলবদ্ধভাবে এ সংগঠনে গবেষণা শিখছে ও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মৌলিক গবেষণা শেখার প্রশিক্ষণ, গবেষণা সেমিনার, গবেষণা জার্নাল প্রকাশ, কনফারেন্স, নতুন নতুন গবেষণা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের গবেষণায় নেতৃত্বে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে এ সংগঠন।

ছাত্রছাত্রীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা, গবেষণাভীতি দূর করা, গবেষণা ক্যারিয়ারে তাদের ধাবিত করা; সেই সঙ্গে গবেষণায় ছাত্রছাত্রীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে অবদান রাখা, একই সঙ্গে সৃজনশীল, উদার, দেশপ্রেমিক এবং ন্যায়ভিত্তিক প্রজন্ম ও নেতৃত্ব তৈরির সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য নিয়ে মূলত এ সংগঠনের সূচনা হয়েছিল।

আরও