এসইউবি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব

যুবসমাজকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত করাই লক্ষ্য

সমাজের উন্নয়ন ও মানবতার সেবায় নিবেদিত এক স্বতঃস্ফূর্ত প্লাটফর্ম স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।

সমাজের উন্নয়ন ও মানবতার সেবায় নিবেদিত এক স্বতঃস্ফূর্ত প্লাটফর্ম স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্লাবটি সমাজের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরিচালিত ক্লাবটি বিভিন্ন সামাজিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকে। যখনই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়, তখনই এসইউবির সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের শিক্ষার্থীরা ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য দুর্যোগে তারা দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীদের এ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ স্থানীয় জনগণের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়।

ক্লাবটি শুধু দুর্যোগের সময়েই নয়, বরং সারা বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও সক্রিয় থাকে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান কর্মসূচি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি বিতরণ ও গাছ লাগানোর মতো উদ্যোগগুলো ক্লাবের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এছাড়া ক্লাবটি সমাজে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে। এ ক্লাবের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি পুরোপুরি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা নিজস্ব পরিকল্পনা ও উদ্ভাবনী চিন্তা প্রয়োগ করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে। তাদের মধ্যে যে দলবদ্ধতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ দেখা যায়, তা সত্যিই অনুকরণীয়। সামনের দিনগুলোয় ক্লাবটি আরো বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখা, পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও যুবসমাজকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত করাই তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. নওজিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের শিক্ষার্থীরা যে মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তাদের এ উদ্যোগ কেবল সমাজের উপকারে আসে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও নেতৃত্ব ও মানবিকতার গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করে। আমরা চাই এ ক্লাব ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করুক এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক।’

আরও