ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন। গতকাল দুপুরে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখাঁর ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের মেম্বার রিশাদ বেগ (৩৫), তার ভাই মজিবর বেগ (৫০) ও তাদের ভাতিজা শোয়েব বেগ (২৪)। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আরজখাঁর ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তোলনে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক কেএম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন গাজীরটেক ইউনিয়নের মেম্বার ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রিশাদ বেগ। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওবায়দুল বারী বালি রাখার জন্য এমপি ডাঙ্গী গ্রামের আওয়াল মুন্সীর কাছ থেকে নদীর পাড়ে এক একর জায়গা ভাড়া নেন। মঙ্গলবার রিশাদ বেগ, তার ভাই মজিবর বেগ ও ভাতিজা শোয়েব বেগ সেখানে বালি রাখার জন্য সীমানা নির্ধারণ করতে যান। এ সময় ওবায়দুল বারীর সমর্থকরা তাদের কুপিয়ে জখম করে।
রিশাদ বেগের ভাই মুরাদ বেগ জানান, ওই জমির মালিক আওয়াল মুন্সী। তিনি বিদেশে থাকেন। তিনি ওই জায়গায় রিশাদকে ভাড়া দিয়েছেন। ওই জমিতে কাজ করতে গেলে ওবায়দুল বারীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে।
তবে কেএম ওবায়দুল বারী বলেন, ‘আমি আওয়াল মুন্সীর কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়েছি। কিছু লোক জমিটি দখল করতে আসে। প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তবে আমি তাদের রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এসব ঘটনা ঘটে গেছে।’
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানার ওসি আব্দুল গফফার জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।