স্থানীয় সরকারে দলীয় ও প্রতীকনির্ভর নির্বাচন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জেলা পরিষদের অধীনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমন্বিত ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গঠন করা প্রয়োজন।
গতকাল গভর্ন্যান্স অ্যাডভোকেসি ফোরামের (জিএএফ) উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জন-আকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব উঠে আসে।
সভায় স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ে ফোরামের বক্তব্য উপস্থাপন করেন জিএএফের সমন্বয়কারী ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। তিনি বলেন, ‘কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সেখানে স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ, অধিদপ্তর, সেবা ইত্যাদি বিষয়ক ২৩টি সুপারিশের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আরো অংশীজন নিয়ে পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। স্থানীয় সরকারকে একই কাঠামোর অধীনে আনতে হলে আলাদা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। বিদ্যমান জেলা পরিষদকে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ক্ষমতার দিক থেকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কতটুকু এগিয়ে নেয়া যায় সেটিই এখন ভাবার বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কঠিন হবে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থার আদলে জেলা সরকারকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তা ভাবতে হবে।’
বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সারোয়ার তুষার ও উমামা ফাতেমা বক্তব্য রাখেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।