পেশাদার আন্দোলনকারীরা ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে: ছাত্রলীগ সভাপতি

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, পেশাদার আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য আন্দোলনে নেমেছে। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, পেশাদার আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য আন্দোলনে নেমেছে। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে। তাদের এ ব্লকেডের কারণে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে পারছে না। তারা অনর্থকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যারা নিজেদের স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করছেন তারা কি বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বোঝেন না? আদালতের মাধ্যমে কোটার একটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হয়েছে, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের কোথাও কোটা নেই। তারপরও তারা আন্দোলন করছে।

আজ শনিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৫টায় মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইনমুলক আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে একটাই প্রশ্ন, তারা কি চাকরিজীবী হতে চায়? নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়? ২০১৮ সালে যারা কোটা আন্দোলন করেছিল তারা একজনও বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারা কি বৈষম্য নিরসনের জন্য আন্দোলন করছে নাকি বৈষম্য রাখার জন্য আন্দোলন করছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় তারা কোটার স্বর্গে নয় বরং বোকার স্বর্গে বাস করছে। বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে যারা পিছিয়ে রাখতে চায় তাদেরকে রুখে দিতে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোটার যৌক্তিক সংস্কার চায়। আন্দোলনকারীরা চাইলেই রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু তারা এটা না করে শাহবাগ অবরোধ করে মানুষকে ভোগান্তি দেন।

তিনি বলেন, আজ আমরা ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে বাস্তব তথ্য তুলে ধরব।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে কেউ যদি তার ভেতর বাঁ হাত ঢুকিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তার পরিণাম ভয়াবহ হবে। নারী কোটা নিয়ে নির্দিষ্ট শ্রেণির কিছু আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি। যারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন তাদের কোটা বাতিলে কেন এত মরিয়া? প্রতিবন্ধীরাও আমাদের ভাই-বোন। তাদের কোটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

আরও