রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বান্দরবান কার্যালয়। এজন্য জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণকাজে নিয়োজিত প্রকৌশল কার্যালয় ও শাখাগুলো সমন্বয় করছে। এলজিইডির জেলা ল্যাবরেটরিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণসামগ্রীর মান পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় বান্দরবান এলজিইডির আয় বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে পরিচালন ব্যয়ের চেয়ে আয় বেড়েছে
এছাড়া ল্যাবরেটরি পরীক্ষাসহ রোলার ভাড়া ও অন্যান্য খাত মিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বান্দরবান এলজিইডির রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। অর্জিত মোট রাজস্ব টাকা ওই অর্থবছরে জেলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলজিইডি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার।
বান্দরবান এলজিইডির জেলা অফিসের উপসহকারী (ল্যাব) হৃদয় দত্ত জানান, সংস্থাটি সড়ক যোগাযোগসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ অবকাঠামো এবং বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পেও অবকাঠামো নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। জেলার বিভিন্ন কার্যালয়ের উন্নয়নকাজের নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ল্যাবরেটরির আয় বহু গুণ বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় এলজিইডির আয় হয়েছে ৩০ লাখ ২ হাজার ১০০ টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৮ লাখ ২২ হাজার ২৬৮ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় বেড়েছে ৭০ শতাংশের রেশি। এদিকে ল্যাবরেটরি পরীক্ষাসহ রোলার ভাড়া ও অন্যান্য খাত মিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বান্দরবান এলজিইডির রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৮ টাকা। ওই অর্থবছরে এলজিইডির বান্দরবান জেলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মোট পরিচালন ব্যয় ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচালন ব্যয়ের চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি। আয় হওয়া মোট রাজস্ব টাকা থেকে নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বান্দরবান পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রুই প্রু অং মারমা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বান্দরবান এলজিইডির ল্যাবরেটরির পরীক্ষার প্রতিবেদন চট্টগ্রামের তুলনায় কম সময়ে পাওয়া যায়। তবে নির্মাণসামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার জন্য জেলা সদরে আরো ল্যাবরেটরি থাকা উচিত।’ একই সঙ্গে উপজেলা পর্যায়েও ল্যাবরেটরি থাকলে সংশ্লিষ্টদের মান পরীক্ষা করতে সহজ হতো বলে জানান তিনি।
বান্দরবান ন্নয়নকাজের নির্মাণসামগ্রী মান যাচাইয়ে এলজিইডির ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানো হয় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী। তবে প্রতিবেদনগুলো উপবিভাগীয় প্রকৌশলীরা দেখভাল করেন বলে জানান তিনি।
সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য এলজিইডি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নির্মাণসামগ্রীর মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে এলজিইডি।