চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তিনটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০-১২ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে। পরে আহত শ্রমিকদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সরাসরি ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষের পর দুপুর পর্যন্ত ইপিজেড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতরা বেপজা ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সর্দার মনির হোসেন জানান, বেলা ১২টার পর থেকে আহতরা হাসপাতালে আসতে শুরু করে। দুপুর থেকে এ পর্যন্ত ৬ জন হাসপাতালে এসেছেন। আহতদের জরুরি চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ইপিজেড এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ৯টার দিকে যখন আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা তখন হঠাৎ মডিস্ট, জেএমএস ও মেরিকো কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রমিকদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান জানান, জেএমএস ও মেরিকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করলে সংঘর্ষ থেমে যায়।
মেরিকো কোম্পানির ফিনিশিং ডিপার্টমেন্টের আহত শ্রমিক আলী আকরাম হোসেন বলেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে যৌথভাবে আন্দোলন করার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের কারখানা দাবি মেনে নেয়ায় আমরা কাজে যোগ দিয়েছি। এ কারণে অন্য কারখানার শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা করেছে।