খুলনা নগরে বেড়েছে অনিবন্ধিত ইজিবাইক

খুলনা নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের হিসাবে নিবন্ধিত ইজিবাইকের সংখ্যা আট হাজার। সেখানে চলাচল করছে ১৫-২০ হাজার বা তার বেশি।

খুলনা নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের হিসাবে নিবন্ধিত ইজিবাইকের সংখ্যা আট হাজার। সেখানে চলাচল করছে ১৫-২০ হাজার বা তার বেশি। সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া হয় এ বাহনে। এতে নষ্ট হচ্ছে সড়কের শৃঙ্খলা। অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে মোড়ে মোড়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অভিযোগ রয়েছে, নকল ব্লু-বুক এবং স্টিকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন উপায়ে চলছে বাহনটি।

নগরবাসী বলছেন, প্রধান সড়কে বাহনটির সংখ্যা ও রুট নির্ধারণে সিটি করপোরেশন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কার্যকর হয়নি। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যানবাহনটি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাছাড়া বিদ্যুতের ওপরও এটি চাপ ফেলছে। প্রতিবার একটি ইজিবাইকে চার্জ দিতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় গড়ে ৬-১০ ইউনিট। সে হিসাবে অবৈধ প্রায় ১০ হাজার ইজিবাইকের চার্জ দিতে লাগে ৬০ হাজার ইউনিট বা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যা খুলনায় ঘাটতি বিদ্যুতের অর্ধেক।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৮ হাজার ইজিবাইক, ২ হাজার ৯৮টি মালবাহী ইজিবাইক ও ১৭ হাজার রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয়। তবে খাতা-কলমে ইজিবাইক ও রিকশার সংখ্যা নির্ধারিত থাকলেও সড়কের চিত্র ভিন্ন। প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে রিকশার সংখ্যা কমলেও ইজিবাইক চলাচল করে প্রায় তিন গুণ।

খুলনা সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স অফিসার (যানবাহন) মো. রবিউল আলম ও ইজিবাইক লাইসেন্স পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে আট হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া হয়। কিন্তু সড়কে ইজিবাইক চলছে এর বেশি। করপোরেশনের জনবল কম থাকায় তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না।’

তারা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে মাসিক ১ হাজার টাকা চুক্তিতে অবৈধ অনেক ইজিবাইক চলছে। অন্যদিকে অনুমতিপত্র দেখানোর পরও বৈধ চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। ইজিবাইক আটকে রাখা হয়।

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (কেএমপি) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মনিরা সুলতানা বলেন, ‘নগরীতে প্রবেশের তিনটি চেকপোস্টে প্রচুর অবৈধ ইজিবাইক ধরা হয়। তবে সমস্যা হচ্ছে অবৈধ ইজিবাইক চালকরা হুবহু ব্লু-বুক ও নকল স্টিকার তৈরি করে চালাচ্ছে। দেখে বোঝার উপায়ই নেই এটি নকল। এছাড়া দেখা গেছে, একটি লাইসেন্স নেয়ার পর সেই লাইসেন্সেই ১০টি গাড়ি চালানো হচ্ছে। আবার একজনের নামের ইজিবাইক চালাচ্ছেন অন্য ব্যক্তি। ফলে বৈধ লাইসেন্স শনাক্ত করা মুশকিল হয়। এগুলো নির্ণয় করতে সার্ভার প্রয়োজন। কিন্তু সেটি আমাদের নেই।’

মাসোহারা নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি যোগদানের পর রিকশা বা ইজিবাইক থেকে টাকা নেয়া বন্ধ করা হয়েছে। তবে কিছু অসংগতি থাকতেই পারে। কোনো সার্জেন্ট অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও