পুলিশ বাহিনী কাজে ফিরতে শুরু করেছে। তারা স্বাভাবিক কাজে ফিরলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত ৯০ শতাংশের ওপরে থানাগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে। এ পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশকে আমরা সংগঠিত করে ফেলেছি। যারা যত অপকর্ম করে ফেলেছে, তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। এছাড়া দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যঞ্জক। পুলিশ সংগঠিত হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা সবাই মিলে এসব জিনিস প্রতিহত করতে পারব। পরিস্থিতির আরো উন্নতি হলে সব নিয়মিত বাহিনী সন্ত্রাস দমনে তাদের অভিযান পরিচালনা করবে। সবাই মিলে দেশটাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাব।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবরগুলোর ৮০ শতাংশ আতঙ্ক আর ২০ শতাংশ সত্য। মানুষের মধ্যে হানাহানির এ জিনিসটা আস্তে আস্তে কমে আসছে। অতীতেও যখন রাজনীতি ছিল, তখন কিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে, যেটা কাম্য না। আমরা সবাই মিলে এটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসব।
জনগণের জন্য রাজনীতি করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, এজন্য সবাইকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। মিছিল হবে, মিটিং হবে। রাজনীতি থাকবে, থাকতেই হবে। সেখানে মানুষ কথা বলবে। কিন্তু সেটি যেন ধ্বংসাত্মক না হয়। রাজনীতিবিদরা যেন জনগণের জন্য কাজ করেন। তারা নিশ্চয়ই জনগণের মনোভাব বুঝবেন।
তিনি বলেন, একটি অদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী কাজে নামে। ৫ আগস্ট অরাজক পরিস্থিতি বেশি হয়েছে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যঞ্জক। তবে আত্মতুষ্টির কারণ নেই। আমাদের আরো কাজ করে যেতে হবে। পুলিশকে সংগঠিত হতে হবে। সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনী কাজ শুরু করলে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হবে।
সেনাপ্রধান বলেন, খুলনায় এসে অত্যন্ত ভালো লাগল। এখানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায়ও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমার কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী দেশে ৩০টির মতো ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক কারণে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা। বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে রাজনীতিবিদসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। সবাইকে একসঙ্গে সুন্দর দেশ গঠনে কাজ করতে হবে।
এর আগে সেনাপ্রধান খুলনা বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন। এছাড়া খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ডিআইজি, কেএমপি কমিশমানারসহ
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।