বিমান বাহিনী প্রধানের বগুড়ায় এসটিওএল পোর্ট রানওয়ে পরিদর্শন

এ রানওয়ে ভিভিআইপি ফ্লাইটগুলির জন্য একটি বিকল্প এবং জরুরি অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে যা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করে। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত মোতায়েনকে সহজতর করার লক্ষ্যে এটি একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে।

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বগুড়ায় শর্ট ফিল্ড টেক অফ এন্ড ল্যান্ডিং (এসটিওএল পোর্ট) রানওয়ে পরিদর্শন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। রোববার (১২ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ কথা জানিয়েছে।

পরিদর্শনকালে বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, পর্যায়ক্রমে এ বিমানবন্দর সামরিক এবং বেসামরিক উভয় বিমান চলাচল অপারেশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যা জাতীয় স্বার্থে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। বগুড়া বিমানবন্দর সিএএসইভিএসি এবং এমইডিইভিএসি মিশনের জন্য অপরিহার্য, যার মাধ্যমে এ এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এ রানওয়ের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং জরুরি উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। সময়মতো পুনঃকার্পেটিং করা সম্ভব হলে এই রানওয়ের ভবিষ্যত অবস্থার অবনতি রোধ করবে যা পরবর্তীতে অতিরিক্ত অর্থ সাশ্রয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এ রানওয়ে ভিভিআইপি ফ্লাইটগুলির জন্য একটি বিকল্প এবং জরুরি অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে যা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করে। বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত মোতায়েনকে সহজতর করার লক্ষ্যে এটি একটি কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে।

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পুনঃকার্পেটিংয়ের মাধ্যমে রানওয়ের উন্নতি সাধন এবং বাণিজ্যিক বিমান উড্ডয়নের জন্য পরবর্তীতে রানওয়ে বর্ধিত করার ব্যাপারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ ব্যাপারে বেবিচককে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং নানাবিধ সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি (বাফওয়া) কর্তৃক সেবামূলক কার্যক্রমের আওতায় মানবিক সহায়তা হিসেবে দরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এরই মধ্যে বিমান বাহিনীতে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির সদস্য ছাড়াও ঢাকাসহ শীতপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত সকল ঘাঁটি, ইউনিট, স্টেশন এবং এর আশেপাশে শীতার্তদের কেন্দ্রীয় বাফওয়া হতে কম্বল বিতরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতি (বাফওয়া) এর সভানেত্রী সালেহা খান বগুড়ায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। বিমান বাহিনী প্রধানের পরিদর্শনকালে বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও