একদিকে সাগর এবং অন্যদিকে পাহাড়— প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা স্থান ডোমখালীর সমুদ্র সৈকত। এক বাজেটে পাহাড় এবং সমুদ্র দর্শন করতে চাইলে ডোমখালী তাই দারুণ অপশন।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মনোরম স্থান মীরসরাই উপজেলার ডোমখালী সমুদ্র সৈকত। এখানে রয়েছে লাল কাঁকড়ার চর। পাশাপাশি ঝাউবন, উত্তাল সাগরে সারি সারি নৌকা, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, হরিণের পদচিহ্ন সবকিছুই ভ্রমণপিপাসুদের মন কেড়ে নেয়।
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার একেবারে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এই স্পটটির নাম ডোমখালী সমুদ্র সৈকত। মূলত শিল্পনগরের কাজ শুরু করার মাধ্যমে মেরিন ড্রাইভের বাঁধ নির্মাণের কারণে বিশাল এলাকা জুড়ে এই সমুদ্র সৈকতের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এটি ডোমখালী সমুদ্রসৈকত নামেও সবার কাছে পরিচিত।
দৈর্ঘ্যে খুব একটা বড় না হলেও সমুদ্র সৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন ভীড় করছেন শত শত পর্যটক। মিরসরাইয়ে উপস্থিত এই সমুদ্রসৈকতটি দেখতে অনেকটাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের মতো। এর দক্ষিণের কোলজুড়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন। আর সাগরের পশ্চিম দিকে নির্মিত সুইস গেট ঘেঁষে জেলেদের চলাচল।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় দারোগাহাট নেমে একটি সিএনজি নিয়ে একেবারে সাগর পাড়ে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ভাড়া জনপ্রতি মাত্র ৪০ টাকা। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেমেই নয়, বরং নিজামপুর কলেজের সামনে নেমেও সেই স্থান থেকে সিএনজি করে ডোমখালী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে।
তবে ডোমখালী সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে এখনো থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তারপরও এখানে ছোট কমলদহ বাজারের বিখ্যাত ড্রাইভার হোটেল রয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।
সমুদ্রসৈকতটির আশপাশে থাকারও তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। তাই পর্যটন এলাকা থেকে ঘণ্টাখানেকের দূরত্বে চট্টগ্রাম শহরের একে খান মোড়ে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে অনায়াসে থাকা যাবে।