খুলনায় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার
আব্দুল খালেক ও সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানসহ ৭৫ জনকে আসামি করে
মামলা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) খুলনা মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
মো. ইলিয়াস শেখ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। খালিশপুর থানার ওসি (তদন্ত) আশিস কুমার মৈত্র
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা,
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর
রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, কাজী তালাত হোসেন কাউট ও ৭ নম্বর
ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু।
মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র
ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসে। এ সময় আসামি তালুকদার
আব্দুল খালেক, বাবুল রানা, সাইফুল ইসলাম, এস এম কামাল হোসেন ও মিন্টুর নির্দেশে আসামি
হোয়াইট, শহীদুল ও টোনা তাদের হাতে থাকা বোমা বিএনপি অফিসের সামনে নিক্ষেপ করে। এ সময়
আসামি সাইফুল ইসলাম শর্টগান দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রাণভয়ে
পালিয়ে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে
চলে যাওয়ার সময় অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। তখন মামলা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে
বিএনপি নেতারা জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক সিটি মেয়র
ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম
কামাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানাসহ মহানগর ও জেলা
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপন করেছেন।