বকেয়া বেতন দাবিতে ফের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। গতকাল সকাল ৯টা থেকে গাজীপুর মহানগরের সারাবোয় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় মহাসড়কের ওই এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। উভয় দিকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে একই দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। সারা দিন মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার একপর্যায়ে রাত ৭টার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে বাড়ি ফিরে যান। গতকাল সকালে তারা একত্র হয়ে ফের মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর মহানগরীর সারাবোয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। ওই পার্কে পোশাক তৈরির কারখানাসহ একাধিক কারখানা আছে। সেখানে শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০ হাজার লোক কাজ করে। প্রতি মাসে তাদের বেতন দিতে হয় ৮০-৮২ কোটি টাকা। বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুথানের পর নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। প্রতি মাসেই আন্দোলন করে বেতন নিয়েছেন শ্রমিকরা। অক্টোবরের বেতনও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মিছিল নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। থানা ও শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন। পরে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টির সমাধান করা যায়নি। রাত হয়ে গেলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।
শ্রমিকরা জানান, কয়েক মাস ধরে আন্দোলন ছাড়া বেতন পাচ্ছেন না তারা। প্রতি মাসে এভাবে বেতন নিতে ভালো লাগে না। বেতনটা সময়মতো পেলে কেউ আর আন্দোলনে যাবে না। বেতন না দিলে আন্দোল চালিয়ে যাবেন তারা।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এক মাসের (অক্টোবর) বকেয়া বেতন দাবিতে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। থানা ও শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’