মিয়ানমার থেকে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৫৬ জনের অনুপ্রবেশ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ৫৬ নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ৫৬ নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তারা এখন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় জড়ো হয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২১ জন নারী ও শিশু রয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে মিয়ানমারের এই ৫৬ নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে। তারা চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মানুষ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

পালিয়ে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিরা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে পুরো এলাকা মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে তারা এপারে পালিয়ে এসেছেন। তারা সেখানে কৃষি এবং জুম চাষ করে জীবনধারণ করতেন।

উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, জড়ো হয়ে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও নিরাপত্তা দিচ্ছে। এদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।

বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। কতজন অনুপ্রবেশ করেছে তা পরে জানানো হবে।

আরও