চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে দুই সপ্তাহ ধরে দেশীয় পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রোজা ও ঈদেও দাম আগের মতোই কমতির দিকেই ছিল। সরবরাহ এমন থাকলে দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকি করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, ‘কয়েক বছরের তুলনায় এবার রমজান ও ঈদের সময় পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম ছিল। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই তার পরও এক কেজি দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে পাচ্ছি। গত বছর রমজান ও ঈদেও আমাদের পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এখন সে অবস্থা নেই। কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি।’
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও কিছুদিন ধরেই দাম নিন্মমুখী অবস্থায় রয়েছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে পণ্যটির দাম কমছে। বাজারে কিছুদিন আগে থেকেই মুড়িকাটা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, এ লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে বাজারগুলোতে তদারকি করছি। ব্যবসায়ীরা কি দামে পণ্য কিনছেন, কি দামে বিক্রি করছেন সেটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে জরিমানা করা হচ্ছে।’