ঢাকার মতিঝিলে ৬ ফেব্রুয়ারি ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’ কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে স্কুল গবেষণা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে। ৭ম-১০ম শ্রেণীর গবেষণায় আগ্রহী স্কুল শিক্ষার্থীরা মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছে। গবেষণা কী, ব্যক্তি ও সামষ্টিক জীবনে গবেষণার ভূমিকা, গবেষণার বিভিন্ন ধাপ, গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় মনন, সমাজের প্রচলিত বয়ানের বিপরীতে কোনো বিষয়কে ভিন্নভাবে দেখা, নৈতিকতা ও গবেষণার সম্পর্ক, ফিলোসফি অব সায়েন্স ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় ক্ষুদে গবেষকরা ৩ জনের গ্রুপ আকারে বিন্যস্ত হয়ে গ্রুপভিত্তিক তাদের আগ্রহের ক্ষেত্র সম্পর্কে লিখিত আকারে জমা দেয়। তারা তাদের চিন্তাগুলোকে বাংলাদেশ ও বিশ্ব বাস্তবতার আলোকে সাজিয়ে উপস্থাপন করে। তাদের আগ্রহের বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সেশনে গবেষণা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
একই দিনে ঢাকার সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গবেষণা পদ্ধতি নির্ধারণের ওপর বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর অঞ্চলের ৭ম-১০ম শ্রেণীর যেসব শিক্ষার্থী ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের নিয়েই এ আয়োজন। ক্ষুদে গবেষকরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরিবেশ দূষণ, প্রকৃতি সংরক্ষণ, কৃষি, শিশু নির্যাতন, টোকাইদের জীবন, জনসংখ্যার আশীর্বাদ, অর্থনীতি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব, ক্যান্সার, খালের জীববৈচিত্র্য, প্রজন্মান্তরে মানসিকতার পরিবর্তন, আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, মহাকাশ, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে গবেষণা প্রস্তাবগুলো শিক্ষার্থীরা দিয়েছে সেগুলোর গবেষণা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।
আগামী ১১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিতব্য ১০ম চিন্তার চাষ ক্ষুদে গবেষক সম্মেলন, ২০২৫-এ শিক্ষার্থীরা যাতে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চিন্তার চাষ পরিচালিত স্কুল গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ কর্মশালা ও সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গবেষণায় হাতেখড়ি কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মুখ্য সমন্বয়ক জোবায়ের আহমেদ অর্ণব। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্কুল গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয়ক জাহিদুল ইসলাম জনি এবং গৌরব দেবনাথ।
গবেষণা পদ্ধতি নির্ধারণ সেশনটি পরিচালনা করেন চিন্তার চাষের নির্বাহী পরিচালক, এস এম মেসবাহ আর রহমান ও পরিচালক জাহিদুল ইসলাম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনটির সমন্বয়ক শামসুদ্দোহা শৌমিক ও ফারিয়া আঞ্জুম। সমগ্র আয়োজনে বণিক বার্তা বাংলা গণমাধ্যম সহযোগী ও দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ইংরেজি গণমাধ্যম সহযোগী।