প্রায় এক সপ্তাহ কর্মবিরতিতে থাকার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আবার আগের মতো
কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নওগাঁ জেলা পুলিশের সদস্যরা। শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালুর
মধ্য দিয়ে সব ধরনের কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় আবারো আগের মতো পুলিশি কার্যক্রম
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে জেলা পুলিশের সদস্যরা। এর আগে সকাল ১০টায় পুলিশ সুপারের
নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল শোডাউন বের হয়। এ সময় এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক
প্রদক্ষিণ করে।
কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসার পর পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, এই কয়দিন রাস্তায় থেকে বুঝেছি একজন
ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় কতটা কষ্টে কাজ করেন। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেক শিক্ষার্থী
কাজ করলেও প্রকৃত অর্থে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। বিশজন শিক্ষার্থী যে কাজ করতে হিমশিম
খেয়েছে, একজন ট্রাফিক পুলিশ একাই সে কাজ করতে পারেন। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ কার্যক্রম
শুরু করায় সড়কে স্বস্তি ফিরেছে। পুলিশ আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের ভাই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় পুলিশের পাশে থাকব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নওগাঁর অন্যতম সমন্বয়ক আরমান হোসেন
বণিক বার্তাকে বলেন, ছন্দপতনের পর জনগণ থেকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হলে একটা দেশে কী পরিমাণে
অরাজকতা হয় সে চিত্র গত এক সপ্তাহে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তাই পুলিশ বাহিনীকে দ্রুত
মাঠে ফেরাতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম। পুলিশ সদস্যরা আমাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।
এখন তাদের সব কার্যক্রমে আমরা পাশে থেকে সহযোগিতা করব।
নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, আন্দোলনরত
শিক্ষার্থীদের সবসময় সহযোগিতা করেছে জেলা পুলিশ। তাই আন্দোলন চলাকালীন বা পরবর্তী সময়ে
এখানে কোনো প্রকার সহিংসতা ঘটেনি। গত কয়েকদিন যাবৎ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ টহলের মাধ্যমে
থানার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। জণগণের জানমাল রক্ষায় এখন থেকে সব থানার কার্যক্রম
আগের মতো চলবে।
তিনি বলেন, ছাত্রদের সমন্বয়করা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করছেন। শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোয় পুলিশ সদস্যরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেশের জন্য আমরা আইনের কাঠামোর ভেতরে থেকে কাজ করে যাব।