ফরিদপুরে সারের দাম নিয়ে চিন্তায় আমন চাষীরা

ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় পুরোদমে চলছে আমন আবাদ। জমি পরিচর্যা ও ধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক।

ফরিদপুরের নয়টি উপজেলায় পুরোদমে চলছে আমন আবাদ। জমি পরিচর্যা ও ধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক। এরই মধ্যে অনেকে আবাদ সম্পন্ন করেছেন। কৃষক বলছেন, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বাড়বে। সে তুলনায় বাজারে ধানের দাম না পেলে তাদের লোকসান হবে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেকেই রোপা আমন চাষাবাদ শুরু করেছেন। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ায় মাটি আমন আবাদের উপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন স্থানীয় কৃষক।

বোয়ালমারীর কয়েকজন কৃষক জানান, প্রথম ভাগে যারা রোপা আমনের চারা রোপণ করতে পেরেছেন, তাদের জমিতে চারা সবল হয়েছে। এরই মধ্যে ধান গাছের সবুজতায় মাঠ ভরে গেছে। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তিত চাষীরা। কারণ বেশি দামে সার কিনে চাষাবাদ করলে খরচও বাড়বে। তবে সে অনুপাতে ধানের দাম না পেলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।

সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কৃষক আবু মোল্যা ও মুন্নু মাতুব্বর বলেন, ‘এ বছর পাটের ফলন কম, দামও কম। তাই ধান চাষ বেশি করেছি। মাঠে ধান গাছ খুব ভালো হয়েছে। অতিরিক্ত পানিতে খেত তলিয়ে না গেলেও উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছি।’

সালথা বাজারের সার ব্যবসায়ী মো. হিমায়েত হোসেন বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে আমরা সার ও কীটনাশক বিক্রি করছি। বাড়তি দামে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।’

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় ৭৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ টনের বেশি। ধানের উৎপাদন সন্তোষজনক করতে কৃষি কর্মকর্তারার কাজ করছেন।

সালথা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘এ বছর পাট কাটার পরই ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। আর কিছুদিন পরই আবাদ সম্পন্ন হবে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকের পরামর্শ দিচ্ছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে যদি কোনো ব্যবসায়ী বেশি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও