রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী
লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন শতাধিক। এদের মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং
মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত
হয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে
রংপুরের প্রধান সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে। তবে
পুলিশকে কোনো সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়নি।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এসব সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত একজন হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী খরশু মিয়া। তার বাড়ি নগরীর গুড়াতি পাড়ায়। অপরজনের পরিচয় এখনো
নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সরদার মিজানুর
রহমান মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা দাবিতে রংপুরের রাজপথ
দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। নগরীর কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মিছিল-স্লোগানে
প্রকম্পিত হয়ে উঠছে পুরো রংপুর মহানগর।
রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে রংপুর টাউন হল সংলগ্ন সড়কে জমায়েত হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে চারপাশ। এতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সমবেত হন। তাদের এ জমায়েতে সরকারবিরোধী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে সেখানে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে অসহযোগ আন্দোলনের কারণে নগরীর দোকানপাট, শপিং মলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। সীমিত আকারে রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করছে।
মূলত দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায়
অবস্থান নেয়া সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে
পড়ে। এক পর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে টাউন হল অভিমুখে রওনা দেন। সিটি বাজার এলাকার কাছাকাছি
মিছিলটি পৌঁছালে সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা
ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ খবর ছড়িয়ে
পড়লে নগরীর অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করে।