ওই অবস্থাতেই পরে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করেছে উড়োজাহাজটি। গতকাল বিকালে বিমান কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটটিতে শিশুসহ ছিলেন মোট ৭১ যাত্রী।
এর আগে বেলা ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি। উড্ডয়নের পর পরই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পর পরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিসও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে ফ্লাইটটি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে অবস্থান করছিলেন। বেলা ২টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সব যাত্রী নিরাপদে নেমেছেন। বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞ দল জানায়, পেছনের এক চাকায়ও বিমান জরুরি অবতরণ করতে পারে। আর সে কারণেই বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করতে পেরেছে। তবে এমন ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে ২০১৭ সালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কাছে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে চাকা খুলে যায়। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর সকালে ঢাকা থেকে আসা সে বিমানটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়েছিল।