সুনামগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ সাত বেইলি ব্রিজ

সুনামগঞ্জের অভ্যন্তরীণ সড়কে প্রায় ২৫টি বেইলি ব্রিজ রয়েছে, যার সবই জোড়াতালি দেয়া।

সুনামগঞ্জের অভ্যন্তরীণ সড়কে প্রায় ২৫টি বেইলি ব্রিজ রয়েছে, যার সবই জোড়াতালি দেয়া। এর মধ্যে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সাতটি ব্রিজ। পাটাতন ভেঙে যানবাহন চলাচল অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়। কখনো পাটাতনের ফাঁকে গাড়ির চাকা আটকে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্রিজগুলো দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিত বেইলি ব্রিজগুলো প্রায় ৫০ বছর আগের। পুরনো এসব ব্রিজের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সাতটি। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা সদর থেকে দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা মদনপুর বেইলি ব্রিজ। সবক’টির পাটাতন ভেঙে গেছে। বিভিন্ন সময় ভাঙা স্থান মেরামত করতে হয়। একটু এদিক-ওদিক হলেই পাটাতন ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো পাটাতনের ফাঁকে গাড়ির চাকা আটকে পড়ে। মদনপুর বেইলি ব্রিজের পাশেই একটি সেতু নির্মাণকাজ চলছে। তবে তা ধীরগতির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।

এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ ব্রিজটিতে ঝুঁকি নিয়ে দূরপাল্লার বাসসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির পাশ দিয়ে বিকল্প সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এছাড়া সুনামগঞ্জ-সাচনা বাজার সড়কের খোকরাপসি ও সালমারা বেইলি ব্রিজও ঝুঁকিপূর্ণ। সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কেও রয়েছে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ। এসব ব্রিজের একাধিক স্থানে স্টিলের পাটাতন উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর ওপর আবার স্টিলের পাটাতন দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরভোগ গ্রামের আরব আলী বলেন, ‘দিরাই-মদনপুর বেইলি ব্রিজের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। জোড়াতালি দিয়ে কোনোভাবে সচল রাখা হয়েছে। মালবাহী ট্রাক উঠলে সেতুটি নড়তে শুরু করে।’

জগন্নাথপুরের ভবানীপুরের বাসিন্দা রজব আলী বলেন, ‘জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ সড়কের কাঁটাগাঙ এলাকার বেইলি ব্রিজ দিয়ে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। ভারী পণ্য নিয়ে আসে বড় ট্রাক। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।’

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে বেইলি ব্রিজগুলো অপসারণ করা হবে। পরে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে কয়েকটি সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে।’

আরও